আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৭২
৯৯৭. পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তা (হজ্জে তামাত্তু) তাদের জন্য, যাদের পরিবার-পরিজন মসজিদুল হারামের (হারামের সীমার) মধ্যে বাস করে না (২ঃ ১৯৬)।
আবু কামিল ফুযাইল ইবনে হুসাইন (রাহঃ) ... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, হজ্জে তামাত্তু সম্পর্কে তার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বললেন, বিদায় হজ্জের বছর আনসার ও মুহাজির সাহাবীগণ, নবী-সহধর্মিণীগণ ইহরাম বাঁধলেন, আর আমরাও ইহরাম বাঁধলাম। আমরা মক্কায় পৌছলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা হজ্জ এর ইহরামকে উমরায় পরিণত কর। তবে যারা কুরবানীর পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, তাদের কথা ব্যতিক্রম (তারা ইহরাম ভঙ্গ করতে পারবে না) আমরা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা’য়ী করলাম। এরপর স্ত্রী সহবাস করলাম এবং কাপড়-চোপড় পরিধান করলাম। নবী (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্য উপস্থিত করার উদ্দেশ্যে পশুর গলায় মালা ঝুলিয়েছে, পশু কুরবানীর স্থানে না পৌছা পর্যন্ত সে হালাল হতে পারে না। এরপর যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ বিকালে আমাদেরকে হজ্জ এর ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন। যখন আমরা হজ্জ এর সকল কার্য শেষ করে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সা’য়ী করে অবসর হলাম তখন আমাদের হজ্জ পূর্ণ হল এবং আমাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হল। যেমন মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ যার পক্ষে সম্ভব সে একটি কুরবানী করবে, আর যার পক্ষে সম্ভব নয় সে হজ্জ চলাকালে তিনটি রোযা পালন করবে এবং ফিরে এসে সাত দিন অর্থাৎ নিজ দেশে ফিরে (২ঃ ১৯৮)
একটি বকরীই দম হিসেবে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট। একই বছরে সাহাবীগণ হজ্জ ও উমরা একসাথে আদায় করলেন। আল্লাহ তার কুরআনে এ বিধান নাযিল করেছেন এবং নবী (ﷺ) এ তরিকা জারী করেছেন আর মক্কাবাসী ব্যতীত অন্যদের জন্য তা বৈধ করেছেন।
আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ (হজ্জে তামাত্তু) তাদের জন্য যাদের পরিবার-পরিজন মসজিদুল হারামের (হারামের সীমার) মধ্যে বাস করে না। আল্লাহ তাঁর কুরআনে হজ্জের যে মাসগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন তা হলোঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জ। যারা এ মাসগুলোতে তামাত্তু হজ্জ করবে তাদের অবশ্য দম দিতে হবে অথবা রোযা পালন করতে হবে।
رفث অর্থ স্ত্রী সহবাস فسوق অর্থ গুনাহ, جدال অর্থ বিবাদ।

৯৯৮. মক্কা প্রবেশের সময় গোসল করা।
১৪৭৮। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... নাফি‘ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) হারামের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছলে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন। তারপর যী-তুয়া নামক স্থানে রাত যাপন করতেন। এরপর সেখানে ফজরের নামায আদায় করতেন ও গোসল করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) এরূপ করতেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন