কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩
১৩০. জুমআর দিন গোসল না করা সম্পর্কে।
৩৫৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা .... আমর থেকে ইকরিমা (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইরাকের একটি প্রতিনিধি দল এসে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বললেন, হে ইবনে আব্বাস! আপনার মতে কি জুমআর দিন গোসল করা ওয়াজিব? তিনি বলেন- না, কিন্তু গোসল করা খুবই উত্তম ও পবিত্রতম কাজ- যে ব্যক্তি তা করে এবং যে ব্যক্তি তা করে না- তার জন্য এটা ওয়াজিব নয়। আমি তোমাদেরকে গোসলের ইতিবৃত্ত বলব। অতঃপর তিনি বলেন- ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানরা মোটা কাপড় পরিধান করে দৈহিক পরিশ্রম- এমন কি বোঝা বহনের কাজও করত। তাদের মসজিদ ছিলাম অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং নীচু ছাদ বিশিষ্ট। একদা গরমের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে গিয়ে দেখতে পান যে, অত্যধিক গরমের ফলে মুসল্লীদের শরীরের ঘাম কাপড়ে লেগে তা হতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং এ কারণে সকলেই কষ্ট অনুভব করছে নবী (ﷺ) নিজেও এই দুর্গন্ধ অনুভব করে বললেনঃ “হে লোকসকল! যখন এই (জুমআর) দিন আসবে তোমরা গোসল করে সাধ্যানুযায়ী তৈল ও সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করবে”।
অতঃপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, পরবর্তীকালে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যখন মুসলমানদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন, তখন তারা মেটা কাপড় পরিধান ত্যাগ করে উত্তম পোশাক পরিধান করতে থাকে, নিজেদের কাজ অন্যদের দ্বারা করাতে থাকে এবং তাদের মসজিদও প্রশস্ত হয় এর ফলশ্রুতিতে ইতিপূর্বে তারা ঘর্মাক্ত হওয়ায় যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হত তা দূরীভূত হয়।
অতঃপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, পরবর্তীকালে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যখন মুসলমানদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন, তখন তারা মেটা কাপড় পরিধান ত্যাগ করে উত্তম পোশাক পরিধান করতে থাকে, নিজেদের কাজ অন্যদের দ্বারা করাতে থাকে এবং তাদের মসজিদও প্রশস্ত হয় এর ফলশ্রুতিতে ইতিপূর্বে তারা ঘর্মাক্ত হওয়ায় যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হত তা দূরীভূত হয়।
باب فِي الرُّخْصَةِ فِي تَرْكِ الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أُنَاسًا، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ جَاءُوا فَقَالُوا يَا ابْنَ عَبَّاسٍ أَتَرَى الْغُسْلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاجِبًا قَالَ لاَ وَلَكِنَّهُ أَطْهَرُ وَخَيْرٌ لِمَنِ اغْتَسَلَ وَمَنْ لَمْ يَغْتَسِلْ فَلَيْسَ عَلَيْهِ بِوَاجِبٍ وَسَأُخْبِرُكُمْ كَيْفَ بَدْءُ الْغُسْلِ كَانَ النَّاسُ مَجْهُودِينَ يَلْبَسُونَ الصُّوفَ وَيَعْمَلُونَ عَلَى ظُهُورِهِمْ وَكَانَ مَسْجِدُهُمْ ضَيِّقًا مُقَارِبَ السَّقْفِ إِنَّمَا هُوَ عَرِيشٌ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ حَارٍّ وَعَرِقَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ الصُّوفِ حَتَّى ثَارَتْ مِنْهُمْ رِيَاحٌ آذَى بِذَلِكَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَلَمَّا وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِلْكَ الرِّيحَ قَالَ " أَيُّهَا النَّاسُ إِذَا كَانَ هَذَا الْيَوْمُ فَاغْتَسِلُوا وَلْيَمَسَّ أَحَدُكُمْ أَفْضَلَ مَا يَجِدُ مِنْ دُهْنِهِ وَطِيبِهِ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ جَاءَ اللَّهُ بِالْخَيْرِ وَلَبِسُوا غَيْرَ الصُّوفِ وَكُفُوا الْعَمَلَ وَوُسِّعَ مَسْجِدُهُمْ وَذَهَبَ بَعْضُ الَّذِي كَانَ يُؤْذِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا مِنَ الْعَرَقِ .
