আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬১
৯৯৪. তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ হজ্জ করা এবং যার সাথে কুরবানীর পশু নেই তার জন্য হজ্জের ইহরাম ছেড়ে দেওয়া।
১৪৬৭। উসমান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বের হলাম এবং একে হজ্জের সফর বলেই জানতাম। আমরা যখন (মক্কায়) পৌঁছে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম তখন নবী (ﷺ) নির্দেশ দিলেনঃ যারা কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়ে আসেনি তারা যেন ইহরাম ছেড়ে দেয়। তাই যিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনেননি তিনি ইহরাম ছেড়ে দেন। আর নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণীগণ তাঁরা ইহরাম ছেড়ে দিলেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি ঋতুবতী হয়েছিলাম বিধায় বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করতে পারিনি। (ফিরতি পথে) মুহাসসাব নামক স্থানে রাত যাপনকালে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকলেই উমরা ও হজ্জ উভয়টি সমাধা করে ফিরছে আর আমি কেবল হজ্জ করে ফিরছি।
তিনি বললেনঃ আমরা মক্কা পৌঁছলে তুমি কি সে দিনগুলোতে তওয়াফ করনি? আমি বললাম, জী-না। তিনি বললেন, তোমার ভাই-এর সাথে তান‘ঈম চলে যাও, সেখান থেকে উমরার ইহরাম বাঁধবে। তারপর অমুক স্থানে তোমার সাথে সাক্ষাত ঘটবে। সাফিয়্যা (রাযিঃ) বললেন, আমার মনে হয় আমি আপনাদেরকে আটকে রাখার কারণ হয়ে যাচ্ছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ কি বললে! তুমি কি কুরবানীর দিনগুলোতে তাওয়াফ করনি! আমি বললাম, হ্যাঁ করেছি। তিনি বললেনঃ তবে কোন অসুবিধা নেই, তুমি চল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী (ﷺ) এর সাথে এমতাবস্থায় আমার সাক্ষাত হল যখন তিনি মক্কা ছেড়ে উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি মক্কার দিকে অবতরণ করছি। অথবা আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি উঠছি ও তিনি অবতরণ করছেন।
তিনি বললেনঃ আমরা মক্কা পৌঁছলে তুমি কি সে দিনগুলোতে তওয়াফ করনি? আমি বললাম, জী-না। তিনি বললেন, তোমার ভাই-এর সাথে তান‘ঈম চলে যাও, সেখান থেকে উমরার ইহরাম বাঁধবে। তারপর অমুক স্থানে তোমার সাথে সাক্ষাত ঘটবে। সাফিয়্যা (রাযিঃ) বললেন, আমার মনে হয় আমি আপনাদেরকে আটকে রাখার কারণ হয়ে যাচ্ছি। নবী (ﷺ) বললেনঃ কি বললে! তুমি কি কুরবানীর দিনগুলোতে তাওয়াফ করনি! আমি বললাম, হ্যাঁ করেছি। তিনি বললেনঃ তবে কোন অসুবিধা নেই, তুমি চল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী (ﷺ) এর সাথে এমতাবস্থায় আমার সাক্ষাত হল যখন তিনি মক্কা ছেড়ে উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি মক্কার দিকে অবতরণ করছি। অথবা আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি উঠছি ও তিনি অবতরণ করছেন।
