আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
أهل অর্থ কথা বলা استهللنا ও أهللنا الهلال কথা বলা প্রকাশ পাওয়ার অর্থে ব্যবহৃত এবং استهل المطر অর্থ মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়া {وما أهل لغير الله به} যে পশু যবেহ করার সময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারণ করা হয়। এ অর্থ استهلال الصبي (সদ্যজাত শিশুর আওয়াজ) অর্থ থেকে গৃহীত।
১৪৬২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের সময় নবী (ﷺ) এর সাথে বের হয়ে উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধি। নবী (ﷺ) বললেনঃ যার সঙ্গে কুরবানীর পশু আছে সে যেন উমরার সাথে হজ্জের ইহরামও বেঁধে নেয়। তারপর সে উমরা ও হজ্জ উভয়টি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত হালাল হতে পারবে না। [আয়িশা (রাযিঃ) বলেন] এরপর আমি মক্কায় ঋতুবতী অবস্থায় পৌঁছলাম। কাজেই বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ার সা‘ঈ কোনটিই আদায় করতে সমর্থ হলাম না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমার অসুবিধার কথা জানালে তিনি বললেনঃ মাথার চুল খুলে নাও এবং তা আঁচড়িয়ে নাও এবং হজ্জের ইহরাম বহাল রাখ এবং উমরা ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম, হজ্জ সম্পন্ন করার পর আমাকে নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) এর সঙ্গে তান‘ঈম-এ প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আমি উমরার ইহরাম বাঁধি। নবী (ﷺ) বলেনঃ এ তোমার (ছেড়ে দেওয়া) উমরার স্থলবর্তী। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন, তাঁরা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা‘য়ী সমাপ্ত করে হালাল হয়ে যান এবং মিনা থেকে ফিরে আসার পর দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করেন আর যাঁরা হজ্জ ও উমরা উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন তাঁরা একবার তাওয়াফ করেন।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন