কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪
১০৮. রক্ত প্রদরের রোগিণীর বর্ণনা এবং যে ব্যক্তি বলে — এমন স্ত্রীলোক হায়যের সমপরিমাণ সময় নামায ত্যাগ করবে।
২৭৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা .... উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাযিঃ) হাত বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে এক মহিলার (হায়য-নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও) রক্ত প্রবাহিত হত। উম্মে সালামা (রাযিঃ) ঐ স্ত্রীলোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বিধান জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, ঐ স্ত্রীলোকটির কর্তব্য হল, ইতিপূর্বে প্রতি মাসের নির্ধারিত যে কয়দিন সে ঋতুবতী থাকত- তা নির্ধারণ করা। অতঃপর সে ততদিন নামায আদায় করা থেকে বিরত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত পরিমাণ সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সে গোসল করে লজ্জাস্থানে মজবুত ভাবে কাপড়ের পট্টি বেঁধে নামায আদায় করবে।*
* হায়েয অথবা নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও যে সব স্ত্রীলোকের রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাকে ইস্তেহাযা (রক্তপ্রদর) বলে। এরূপ স্ত্রীলোকের জন্য শরীআতের হুকুম এই যে, তারা তাদের হায়েয নিফাসকালীন পূর্ব নির্ধারিত স্বাভাবিক সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর গোসল করে নিয়মিতভাবে নামায আদায় করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য তাদেরকে উযু করতে হবে। অপরপক্ষে যে সমস্ত মহিলার ঋতুবর্তী হওয়ার প্রথম হতে "ইস্তেহাযা” দেখা দিবে তারা শরীআতের নির্ধারিত সময় (হায়েযের জন্য ১০ দিন এবং নিফাসের জন্য ৪০ দিন সর্বোচ্চ) অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করবে। ইস্তেহাজার সময় স্ত্রীসহবাস বৈধ। – (অনুবাদক)
* হায়েয অথবা নিফাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও যে সব স্ত্রীলোকের রক্তস্রাব হয়ে থাকে তাকে ইস্তেহাযা (রক্তপ্রদর) বলে। এরূপ স্ত্রীলোকের জন্য শরীআতের হুকুম এই যে, তারা তাদের হায়েয নিফাসকালীন পূর্ব নির্ধারিত স্বাভাবিক সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার পর গোসল করে নিয়মিতভাবে নামায আদায় করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য তাদেরকে উযু করতে হবে। অপরপক্ষে যে সমস্ত মহিলার ঋতুবর্তী হওয়ার প্রথম হতে "ইস্তেহাযা” দেখা দিবে তারা শরীআতের নির্ধারিত সময় (হায়েযের জন্য ১০ দিন এবং নিফাসের জন্য ৪০ দিন সর্বোচ্চ) অতিবাহিত হওয়ার পর গোসল করে নামায আদায় করবে। ইস্তেহাজার সময় স্ত্রীসহবাস বৈধ। – (অনুবাদক)
باب فِي الْمَرْأَةِ تُسْتَحَاضُ وَمَنْ قَالَ تَدَعُ الصَّلاَةَ فِي عِدَّةِ الأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُ
دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدِّمَاءَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ مِنَ الشَّهْرِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهَا الَّذِي أَصَابَهَا فَلْتَتْرُكِ الصَّلاَةَ قَدْرَ ذَلِكَ مِنَ الشَّهْرِ فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ لْتُصَلِّ
