কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫
৯৮. অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে।
২৪৫. মুসাদ্দাদ .... কুরায়েব হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর খালা মায়মুনা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তা দিয়ে তিনি অপবিত্রতার গোসল করেন। নবী (ﷺ) বদনা নিজের ডান হাতের উপর কাৎ করে তা দুই বা তিনবার ধৌত করেন। অতঃপর তিনি তাঁর লজ্জাস্থানের উপর পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ধৌত করেন। পরে তিনি মাটির উপর হাত ঘষে (দুর্গন্ধ মুক্ত হওয়ার জন্য) তা পানি দিয়ে ধৌত করেন।
অতঃপর তিনি কুলি করেন এবং নাক পরিষ্কার করেন। অতঃপর মুখমণ্ডল ও দুই হাত ধৌত করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় মাথা ও সর্বাংগে পানি ঢালেন। পরে তিনি উক্ত স্থান হতে অল্প দূরে সরে গিয়ে উভয় পা ধৌত করেন। তখন আমি তাঁর দিকে রুমাল এগিয়ে দেই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি বরং নিজের হাত দিয়ে শরীর হতে পানি ঝারাতে থাকেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি এ সম্পর্কে ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরামগণ রুমাল ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা এটাকে (রুমাল ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা খারাপ মনে করতেন।
অতঃপর তিনি কুলি করেন এবং নাক পরিষ্কার করেন। অতঃপর মুখমণ্ডল ও দুই হাত ধৌত করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় মাথা ও সর্বাংগে পানি ঢালেন। পরে তিনি উক্ত স্থান হতে অল্প দূরে সরে গিয়ে উভয় পা ধৌত করেন। তখন আমি তাঁর দিকে রুমাল এগিয়ে দেই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি বরং নিজের হাত দিয়ে শরীর হতে পানি ঝারাতে থাকেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি এ সম্পর্কে ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরামগণ রুমাল ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা এটাকে (রুমাল ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা খারাপ মনে করতেন।
باب الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لاَ يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُسَدَّدٌ فَقُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَاوُدَ كَانُوا يَكْرَهُونَهُ لِلْعَادَةِ فَقَالَ هَكَذَا هُوَ وَلَكِنْ وَجَدْتُهُ فِي كِتَابِي هَكَذَا .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, শরীরের কোথাও নাপাক লেগে থাকলে গোসলের পূর্বে তা ধুয়ে নিবে। তারপর নামাযের অযুর ন্যায় অযু করবে। এটাই হানাফী মাযহবের মত। (শামী: (১/১৫৭) এ বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে বুখারী-২৪৬ নাম্বার হাদীসে। গোসলের জায়গা যদি এমন হয় যে, পায়ের নিচে পানি জমে থাকে তাহলে হাদীসে বর্ণিত নিয়মে গোসলের জায়গা হতে সরে গিয়ে অযু করতে হবে। আর যদি পায়ের নিচে পানি জমে না থাকে তাহলে অযুর স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী পা ধুয়ার মাধ্যমে অযুর কাজ শেষ করে গোসল শুরু করবে। (হিদায়াহ- গোসল অধ্যায়)
