কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়

হাদীস নং: ৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১
৩১. উযু ফরয হওয়া সম্পর্কে।
৬১. উছমান ইবনে আবি শাঈবা .... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ নামাযের চাবি হল পবিত্রতা (অর্থাৎ উযু বা গোসল), এর তাকবীর পার্থিব যাবতীয় কাজকে হারাম করে এবং সালাম (অর্থাং সালাম ফিরানো) যাবতীয়। ক্রিয়া-কর্মকে হালাল করে দেয়।
باب فَرْضِ الْوُضُوءِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাকবীরে তাহরীমা হলো আলস্নাহু আকবার বলা। তাকবীরে তাহরীমার মাধ্যমে নামাযে অবৈধ হওয়া কাজগুলো যেহেতু সালামের দ্বারা পুনরায় হালাল হয় তাই সালামকে হালালকারী বলা হয়।
উল্লেখ্য, আল্লাহ তাআলার বাণী -وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى তাঁর রবের নাম স্মরণ করে নামায আদায় করলো। (ছূরা আলা-১৪, ১৫) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর নাম নিয়ে নামায আদায় শুরু করতে হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৭৯) রসূলুল্লাহ স. তাঁর জীবনীতে এ আয়াতের আমল দেখিয়েছেন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নামায শুরু করার মাধ্যমে। আর নামাযের শুরুতে দেয়া ঐ তাকবীরটির নাম তাকবীরে তাহরীমা। আল্লাহর নাম নিয়ে নামায শুরু করার উদ্দেশ্য তাঁর বড়ত্ব বর্ণনা করা। আর বড়ত্ব প্রকাশের জন্য নিতানত্ম প্রয়োজন তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে গিয়ে শব্দগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা জরম্নরী যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আকবার’-এর ‘বা’ টেনে পড়া। অথবা অর্থগত এমন ভুল থেকে বেঁচে থাকা যা দ্বারা তাঁর প্রতি বিশ্বাসের পরিপন্থী কথা হয়ে যায়। যেমন, ‘আল্লাহ’ শব্দের ‘হামজা’ টেনে পড়া, যার অর্থ: আল্লাহ কি এক? এর দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার একত্ববাদের উপর প্রশ্ন তোলা হয়। এটা কোনক্রমে একজন মুসলমানের আচার ও বিশ্বাস হতে পারে না। আর এ যাতীয় ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে তাকবীরে তাহরীমা সহীহ হবে না; নামাযও শুরু হবে না। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৮০)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান