কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬
২০. যে সমস্ত জিনিস দ্বারা ইস্তিনজা করা নিষেধ।
৩৬. ইয়াযীদ ইবনে খালিদ .... শাইবান আল-কিতবাণী হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই মাসলামা ইবনে মুখাল্লাদ (রাযিঃ) রুয়াইফে ইবনে ছাবিতকে আসফালে আরবের (মিসরে অবস্হিত একটি অঞ্চলের নাম) আমীর নিযুক্ত করেন। শাইবান বলেন, অতঃপর আমরা তাঁর সাথে ‘কুমে শারীক’ (স্থানের নাম) হতে আলকামা (স্থানের নাম) অথবা আলকামা হতে কুমে শারীক দিকে সফর করছিলাম। তাঁর গণ্তব্য স্থান ছিল আলকাম।*

রুয়াইফে (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সময় আমাদের (আর্থিক) অবস্থা এমন (শোচনীয়) ছিল যে, একজন তার ধর্মীয় ভাই হতে দূর্বল উট (যেহেতু মুসলমানদের নিকট বলিষ্ঠ উট সে সময় ছিল না) এই শর্তে গ্রহণ করত যে, জিহাদে যে গনিমতের মাল পাওয়া যাবে তার অর্ধাংশ উট গ্রহণকারীর (যোদ্ধার) এবং বাকী অর্ধাংশ উটের মালিকের প্রাপ্য। (ইসলামের প্রথম দিকে গনিমতের মালের পরিমাণও এত কম ছিল যে) একজনের ভাগে যদি তরবারির খাপ ও তীরের পালক পড়ত, তবে অপরের অংশে পড়ত পালকবিহীন তীর।

অতঃপর তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেনঃ হে রুয়াইফে! সম্ভবতঃ তুমি আমার পরে দীর্ঘদিন জীবিত থাকবে। অতএব তুমি লোকদেরকে এই খবর দিবেঃ যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দেয়, গলায় তাবিজ লাগায়, অথবা চতুষ্পদ জন্তুর মল বা হাড় দ্বারা ইস্তিনজা করে নিশ্চয়ই (আমি) মুহাম্মাদ (ﷺ) তার উপর অসন্তষ্ট।

* আলকামা-মিসরে অবস্থিত একটি বিশেষ স্থানের নাম। আলকাম ও আলকামা এক নয়, বরং বিভিন্ন স্থানের নাম। – (অনুবাদক)
باب مَا يُنْهَى عَنْهُ أَنْ يُسْتَنْجَى بِهِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، - يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ الْمِصْرِيَّ - عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيِّ، أَنَّ شُيَيْمَ بْنَ بَيْتَانَ، أَخْبَرَهُ عَنْ شَيْبَانَ الْقِتْبَانِيِّ، قَالَ إِنَّ مَسْلَمَةَ بْنَ مُخَلَّدٍ اسْتَعْمَلَ رُوَيْفِعَ بْنَ ثَابِتٍ، عَلَى أَسْفَلِ الأَرْضِ . قَالَ شَيْبَانُ فَسِرْنَا مَعَهُ مِنْ كُومِ شَرِيكٍ إِلَى عَلْقَمَاءَ أَوْ مِنْ عَلْقَمَاءَ إِلَى كُومِ شَرِيكٍ - يُرِيدُ عَلْقَامَ - فَقَالَ رُوَيْفِعٌ إِنْ كَانَ أَحَدُنَا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَأْخُذُ نِضْوَ أَخِيهِ عَلَى أَنَّ لَهُ النِّصْفَ مِمَّا يَغْنَمُ وَلَنَا النِّصْفُ وَإِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَطِيرُ لَهُ النَّصْلُ وَالرِّيشُ وَلِلآخَرِ الْقَدَحُ . ثُمَّ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا رُوَيْفِعُ لَعَلَّ الْحَيَاةَ سَتَطُولُ بِكَ بَعْدِي فَأَخْبِرِ النَّاسَ أَنَّهُ مَنْ عَقَدَ لِحْيَتَهُ أَوْ تَقَلَّدَ وَتَرًا أَوِ اسْتَنْجَى بِرَجِيعِ دَابَّةٍ أَوْ عَظْمٍ فَإِنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم مِنْهُ بَرِيءٌ " .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ - হাদীস নং ৩৬ | মুসলিম বাংলা