কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
১. পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯
৪. কিবলার দিকে মুখ করে পেশাব-পায়খানা করা মাকরূহ।
৯। মুসাদ্দাদ .... আবু আইয়ুব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেনঃ যখন তোমরা পায়খানায় আসবে তখন তোমরা কিবলামুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করবে না বরং তোমরা পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করবে। অতঃপর আমরা যখন শামে (সিরিয়া) উপনীত হই তখন আমরা সেখানকার পেশাব-পায়খানার ঘর ও গোসলখানা সমূহ কিবলামুখী করে দেখতে পাই সে কারণে আমরা উক্ত স্থানে পেশাব-পায়খানার সময় একটু মোড় দিয়ে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।*
* হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) উপরোক্ত হাদীস মদীনাবাসীদের লক্ষ্য করে বর্ণনা করেন। যেহেতু মদীনাবাসীদের কিবলা হল দক্ষিণ দিকে, সেজন্যে পেশাব-পায়খানার সময় তাদের পূর্ব-পশ্চিমমুখী হয়ে বসতে হবে। অনুরূপভাবে যাদের কিবলা পশ্চিম দিকে, তারা উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করবে। -(অনুবাদক)
* হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাযিঃ) উপরোক্ত হাদীস মদীনাবাসীদের লক্ষ্য করে বর্ণনা করেন। যেহেতু মদীনাবাসীদের কিবলা হল দক্ষিণ দিকে, সেজন্যে পেশাব-পায়খানার সময় তাদের পূর্ব-পশ্চিমমুখী হয়ে বসতে হবে। অনুরূপভাবে যাদের কিবলা পশ্চিম দিকে, তারা উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে পেশাব-পায়খানা করবে। -(অনুবাদক)
باب كَرَاهِيَةِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ عِنْدَ قَضَاءِ الْحَاجَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، رِوَايَةً قَالَ " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بَوْلٍ وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا " . فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ فَكُنَّا نَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা. হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ করেছেন যে, সিরিয়ার ইসিত্মঞ্জাখানাগুলো কিবলার দিকে ফিরিয়ে নির্মিত ছিল। তাঁরা তা ব্যবহারের সময় শরীর ঘুরিয়ে বসতেন, তার পরও আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। এ থেকে বুঝা গেলো যে, খোলা ময়দানের মত ইসিত্মঞ্জাখানার ভেতরেও কিবলার প্রতি সম্মান দেখানো জরম্নরী এবং ওযর ব্যতীত কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করা মাকরূহ। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (আলমগিরী: ১/৫০)
এর বিপরীতে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত হাফসার ঘরের ছাদে উঠে রসূল স.কে ইসিত্মঞ্জাখানার মধ্যে কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করতে দেখেছেন। (বুখারী-১৪৭) এ হাদীসের তুলনায় আমরা পূর্ববর্ণিত হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীসকে এ কারণে প্রাধান্য দিয়ে থাকি যে, কা’বার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সকলের জন্য ব্যাপক। আর হযরত ইবনে উমার রা. কর্তৃক বর্ণিত রসূল স.-এর উক্ত কাজটি তাঁর ব্যক্তিগত। সুতরাং হতে পারে এটা রসূল স.-এর বৈশিষ্ট্য যা অন্যদের জন্য বৈধ নয়। অথবা এটা তিনি কোন ওযরের কারণে করেছেন। উপরন্তু হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীস অনুসরণ করলে কা’বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়।
এর বিপরীতে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত হাফসার ঘরের ছাদে উঠে রসূল স.কে ইসিত্মঞ্জাখানার মধ্যে কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করতে দেখেছেন। (বুখারী-১৪৭) এ হাদীসের তুলনায় আমরা পূর্ববর্ণিত হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীসকে এ কারণে প্রাধান্য দিয়ে থাকি যে, কা’বার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে ইসিত্মঞ্জা করার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সকলের জন্য ব্যাপক। আর হযরত ইবনে উমার রা. কর্তৃক বর্ণিত রসূল স.-এর উক্ত কাজটি তাঁর ব্যক্তিগত। সুতরাং হতে পারে এটা রসূল স.-এর বৈশিষ্ট্য যা অন্যদের জন্য বৈধ নয়। অথবা এটা তিনি কোন ওযরের কারণে করেছেন। উপরন্তু হযরত আবু আইয়ূব আনসারী রা.-এর হাদীস অনুসরণ করলে কা’বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায়।
