আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৩- উযূর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২
১০৪। শৌচাগারে কি বলতে হয়?
১৪২। আদম (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন,اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার শরণ নিচ্ছি।)

ইবনে আরআরা (রাহঃ) শু‘বা (রাহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেন। গুনদার (রাহঃ) শু‘বা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন,إِذَا أَتَى الْخَلاَءَ (যখন শৌচাগারে যেতেন)। মুসা (রাহঃ) হাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, إِذَا دَخَلَ (যখন প্রবেশ করতেন)। সাঈদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করতেন।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইস্তিঞ্জাখানায় প্রবেশের পূর্বে উপরযুক্ত দুআ পড়া মুস্তাহাব। অবশ্য হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. উক্ত দুআর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা-৫) সুতরাং বিসমিল্লাহসহ দুআটি পড়া উত্তম হবে। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৪৫) উল্লেখ্য খোলা ময়দানে কেউ ইস্তিঞ্জা করতে চাইলে সতর খোলার পূর্বে উক্ত দুআ পাঠ করবে। কেউ দুআ পড়তে ভুলে গিয়ে ইস্তিঞ্জাখানায় ঢুকে পড়লে ইস্তিঞ্জাখানার ভেতর পরিচ্ছন্ন হলে দুআ পড়বে। আর অপরিচ্ছন্ন হলে শব্দ উচ্চারণ ব্যতীত মনে মনে দুআ পড়বে। কারণ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে আল্লাহর জিকির করা উচিত নয়।
বর্তমানে টয়লেট ও গোসলখানা একই কক্ষে বা রম্নমে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গোসলখানা যদি বড় হয় এবং টয়লেটের প্যান বা কমোড অযুর বেসিন বা ট্যাপ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকে তাহলে সেখানে অযু-গোসলের সময় দুআ পড়া যাবে। আর যদি একই জায়গায় হয় তবে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দুআ পড়ার অবকাশ রয়েছে। (মাআরিফুস সুনান ১/৭৭, রদ্দুল মুহতার ১/৩৪৪)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন