আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫৫- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
হাদীস নং: ৭০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৩২-২
১৯. ইবনে সাইয়্যাদের আলোচনা
৭০৯৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, ইবনে সাইয়্যাদের সাথে আমার দু’বার সাক্ষাত হয়েছে একবার সাক্ষাতের পর আমি জনৈক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি বলেন যে, সে-ই (ইবনে সাইয়্যাদ) দাজ্জাল? জবাবে সে বলল, আল্লাহর শপথ, কখনো না। আমি বললাম, তাহলে তো আমাকে মিথ্যা বলেছেন। আল্লাহর কসম! আপনাদের জনৈক ব্যক্তি তো আমাকে এ মর্মে সংবাদ দিয়েছে যে, সে মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আপনাদের মধ্যে সর্বাধিক বিত্তশালী এবং সন্তান-সন্ততি সস্পন্ন না হবে। আজ তো অনুরূপই হয়েছে বলে তারা বলছে। অতঃপর (ইবনে সাইয়্যাদ) আমাদের সাথে আলোচনা করল। এরপর আমি তাকে ছেড়ে চলে আসলাম।
ইবনে সাইয়্যাদের সাথে আরেকবার আমার সাক্ষাত হল। তখন তার চোখ ফুলে উঠে ছিল। আমি তাকে বললাম, তোমার চোখের এ অবস্থা কখন হল, যা আমি দেখতে পাচ্ছি? সে বলল, আমি জানিনা। আমি বললাম, সেটি তোমার মাথায়ই রয়েছে অথচ তুমি জাননা! অতঃপর সে বলল, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমার এ লাঠিতেও তিনি চোখ পয়দা করে দিতে পারেন। এরপর সে গাধার ন্যায় এমন বিকট আওয়াজে চিৎকার করল।
তিনি (ইবনে উমর) বলেন, পরে আমার কোন সাথী বলেছে যে, আমি তাকে আমার সাথে থাকা লাঠি দ্বারা প্রহার করেছি যে, লাঠিটি টুকরা টুকরা হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কসম অথচ এ সম্পর্কে আমি তা অনুভব করতে পারি না। নাফি (রাহঃ) বলেন, তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) উম্মুল মু'মিনীন [হাফসা (রাযিঃ)] এর নিকট এলেন এবং তার নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। একথা শুনে তিনি বললেন, ইবনে সাইয়্যাদের নিকট তোমার কি প্রয়োজন ছিল? তুমি কি জান না যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বলেছেনঃ কারো প্রতি ক্রোধই প্রথমে দাজ্জালের প্রথম প্রকাশ ঘটবে।
ইবনে সাইয়্যাদের সাথে আরেকবার আমার সাক্ষাত হল। তখন তার চোখ ফুলে উঠে ছিল। আমি তাকে বললাম, তোমার চোখের এ অবস্থা কখন হল, যা আমি দেখতে পাচ্ছি? সে বলল, আমি জানিনা। আমি বললাম, সেটি তোমার মাথায়ই রয়েছে অথচ তুমি জাননা! অতঃপর সে বলল, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমার এ লাঠিতেও তিনি চোখ পয়দা করে দিতে পারেন। এরপর সে গাধার ন্যায় এমন বিকট আওয়াজে চিৎকার করল।
তিনি (ইবনে উমর) বলেন, পরে আমার কোন সাথী বলেছে যে, আমি তাকে আমার সাথে থাকা লাঠি দ্বারা প্রহার করেছি যে, লাঠিটি টুকরা টুকরা হয়ে পড়েছে। আল্লাহর কসম অথচ এ সম্পর্কে আমি তা অনুভব করতে পারি না। নাফি (রাহঃ) বলেন, তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) উম্মুল মু'মিনীন [হাফসা (রাযিঃ)] এর নিকট এলেন এবং তার নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। একথা শুনে তিনি বললেন, ইবনে সাইয়্যাদের নিকট তোমার কি প্রয়োজন ছিল? তুমি কি জান না যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বলেছেনঃ কারো প্রতি ক্রোধই প্রথমে দাজ্জালের প্রথম প্রকাশ ঘটবে।
باب ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، - يَعْنِي ابْنَ حَسَنِ بْنِ يَسَارٍ - حَدَّثَنَا ابْنُ، عَوْنٍ عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ نَافِعٌ يَقُولُ ابْنُ صَيَّادٍ . قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ لَقِيتُهُ مَرَّتَيْنِ - قَالَ - فَلَقِيتُهُ فَقُلْتُ لِبَعْضِهِمْ هَلْ تَحَدَّثُونَ أَنَّهُ هُوَ قَالَ لاَ وَاللَّهِ - قَالَ - قُلْتُ كَذَبْتَنِي وَاللَّهِ لَقَدْ أَخْبَرَنِي بَعْضُكُمْ أَنَّهُ لَنْ يَمُوتَ حَتَّى يَكُونَ أَكْثَرَكُمْ مَالاً وَوَلَدًا فَكَذَلِكَ هُوَ زَعَمُوا الْيَوْمَ - قَالَ - فَتَحَدَّثْنَا ثُمَّ فَارَقْتُهُ - قَالَ - فَلَقِيتُهُ لَقْيَةً أُخْرَى وَقَدْ نَفَرَتْ عَيْنُهُ - قَالَ - فَقُلْتُ مَتَى فَعَلَتْ عَيْنُكَ مَا أَرَى قَالَ لاَ أَدْرِي - قَالَ - قُلْتُ لاَ تَدْرِي وَهِيَ فِي رَأْسِكَ قَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ خَلَقَهَا فِي عَصَاكَ هَذِهِ . قَالَ فَنَخَرَ كَأَشَدِّ نَخِيرِ حِمَارٍ سَمِعْتُ - قَالَ - فَزَعَمَ بَعْضُ أَصْحَابِي أَنِّي ضَرَبْتُهُ بِعَصًا كَانَتْ مَعِيَ حَتَّى تَكَسَّرَتْ وَأَمَّا أَنَا فَوَاللَّهِ مَا شَعَرْتُ - قَالَ - وَجَاءَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فَحَدَّثَهَا فَقَالَتْ مَا تُرِيدُ إِلَيْهِ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّهُ قَدْ قَالَ " إِنَّ أَوَّلَ مَا يَبْعَثُهُ عَلَى النَّاسِ غَضَبٌ يَغْضَبُهُ " .


বর্ণনাকারী: