আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫৪- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৮৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৩২
৫. (ক) যারা নবী (ﷺ) কে তাদের পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদের বিনিময়ে দেখতে ভালবাসবে
৬৮৮২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে আমাকে অধিক মুহাব্বতকারী ঐ সমস্ত লোকেদের মধ্যে তারাও হবে, যারা আবির্ভূত হবে আমার তিরোধানের পর, তারা কামনা করবে, হায় যদি তাদের পরিবার-পরিজন এবং ধন ঐশ্বর্যের বিনিময়েও আমাকে দেখতে পেত।
باب فِيمَنْ يَوَدُّ رُؤْيَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِأَهْلِهِ وَمَالِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِنْ أَشَدِّ أُمَّتِي لِي حُبًّا نَاسٌ يَكُونُونَ بَعْدِي يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ رَآنِي بِأَهْلِهِ وَمَالِهِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদিসটি মুসলীম শরীফ ছাড়াও ইবনে হিব্বান ও হাকেমও তদীয় কিতাবে এনেছেন।
হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানের পর কিছু ব্যাক্তির আবির্ভাব হবে যারা নবীজীকে দেখেননি কিন্ত তাদের দিলের তামান্না থাকবে, যেকোনো মুল্যেই হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার লাভ করা, চাই এর জন্য যাকিছু তাকে কুরবানী / উৎসর্গ করতে হয় তাতে সে রাজী।
হাদীসের ভাষায় সে তার পরিবার-পরিজন এবং ধন সম্পদ উৎসর্গ করতেও রাজী থাকবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার লাভের জন্য।
আর নবীর প্রতি মুমিনের এই তামান্না ও ভালবাসা ই তার ঈমানের আলামত।
একজন মুসলমান পূর্ণ মু'মিন তখনই হতে পারে, যখন দুনিয়ার সকল মানুষ থেকে এমনকি নিজের পিতা-মাতা ও সন্তানাদি থেকেও বেশী ভালবাসা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি থাকবে। এর আগের হাদীসটিতে অন্য সকলের চাইতে আল্লাহর ভালবাসা, রাসূলের ভালবাসা ইসলামের ভালবাসা অধিক হওয়াকে ঈমানের স্বাদ লাভের পূর্বশর্ত বলা হয়েছে। আর এ হাদীসে কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসল ব্যাপার এই যে, আল্লাহ এবং রাসূলের ভালবাসা এবং ইসলামের ভালবাসার মধ্যে এমন সম্পর্ক রয়েছে যে, এর একটি অন্যটি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। আল্লাহ তা'আলার প্রতি এবং ইসলামের প্রতি খাঁটি ভালবাসা আল্লাহর রাসূলের ভালবাসা ছাড়া সম্ভব নয়। অনুরূপভাবে আল্লাহর এবং ইসলামের ভালবাসা ব্যতীত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কল্পনাও করা যায় না। কেননা, রাসূলের প্রতি যে ভালবাসা রাসূল হিসাবে হবে, সেটা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের কারণেই হবে। আর এর অপরিহার্য ফল এ হবে যে, ইসলামের প্রতিও তার পূর্ণ ভালবাসা থাকবে। এ জন্য এ হাদীসে ঈমানের পূর্ণতার জন্য কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মর্ম উহাই যে, ঈমানের আলো ও এর বরকত কেবল ঐ ভাগ্যবানরাই লাভ করতে পারবে, যাদের অন্তরে আল্লাহ্ এবং রাসূলের ভালবাসা এবং ইসলামের প্রতি ভালবাসা এমন প্রবল যে, এর সামনে অন্য সকল ভালবাসা পরাভূত হয়ে যায়।
এ হাদীসসমূহে আল্লাহ্ এবং রাসূলের প্রতি ভালবাসার যে দাবী উল্লেখ করা হয়েছে, এর মর্ম নির্ধারণে হাদীস ব্যাখ্যাতাদের বক্তব্য অভিন্ন নয়। যে কারণে অনেকের পক্ষে এর মর্ম ও উদ্দেশ্য বুঝে উঠা কঠিন হয়ে পড়েছে, অথচ যে বাস্তবতাটি এ হাদীসসমূহে বর্ণনা করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও সহজ। ভালবাসা একটি পরিচিত শব্দ, আর এর অর্থও সুবিদিত, আর সে অর্থই এখানে উদ্দেশ্য। তবে আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে মু'মিনদের যে ভালবাসা হয়ে থাকে, সেটা পিতা-মাতা ও স্ত্রী-পুত্রদের ভালবাসার ন্যায় রক্তের সম্পর্ক অথবা অন্য কোন সহজাত প্রবৃত্তির কারণে হয় না; বরং আত্মিক ও জ্ঞান বিবেচনায় হয়ে থাকে। আর এই ভালবাসা যখন পূর্ণতা লাভ করে, তখন এর বাইরে অন্যান্য ভালবাসা যা মানুষের স্বভাবগত চাহিদা অথবা প্রবৃত্তির কারণে হয়ে থাকে, সেটা এর সামনে পরাজিত ও পরাভূত হয়ে যায়। এ কথাটি প্রত্যেক ঐ ব্যক্তিই বুঝতে পারে, যাকে আল্লাহ্ তা'আলা এর কিছুটা অংশ দিয়ে থাকেন।
সারকথা, এসব হাদীসে ভালবাসা দ্বারা অন্তরের ঐ অবস্থাকেই বুঝানো হয়েছে, যা ভালবাসা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে, আর আমাদের কাছে এ জিনিসটিরই দাবী করা হয়েছে। আসলে এ জিনিসটিই আমাদের ঈমানের প্রাণতুল্য। কুরআন মজীদেও এরশাদ হয়েছে। “ঈমানদাররা সবচেয়ে বেশী ভালবাসা আল্লাহর প্রতিই রাখে।” (সূরা বাকারা) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে। “হে নবী। আপনি বলে দিন, যদি তোমাদের পিতা-মাতা, তোমাদের সন্তানাদি, তোমাদের ভাই-বেরাদর, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের গোত্র, তোমাদের কষ্টার্জিত সম্পদ, তোমাদের ঐ চালু ব্যবসা, যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান, যাকে তোমরা পছন্দ কর, (দুনিয়ার এসব পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় জিনিসসমূহ) আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তাহলে তোমরা আল্লাহর হুকুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। আর আল্লাহ্ ফাসেক সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।" (সূরা তওবা)
অতএব, পবিত্র কুরআনের এ মহত্বপূর্ণ আয়াতের দাবী ও আবেদনও এটাই যে, ঈমানদারদের অন্তরে তাদের সকল প্রিয় জিনিসের চেয়ে আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীনের ভালবাসা বেশী থাকতে হবে। অন্যথায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর বিশেষ হেদায়াত লাভ করা সম্ভব হবে না এবং ঈমানের পূর্ণতাও লাভ করা যাবে না।
এটা প্রকাশ্য বিষয় যে, যে ব্যক্তি এ সম্পদ ও সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে পারবে, তার জন্য ঈমানের সকল দাবী পূরণ করা এবং আল্লাহ ও রাসূলের বিধানের উপর চলা কেবল সহজই হবে না; বরং এ পথে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেও সে অন্তরে স্বাদ অনুভব করবে। পক্ষান্তরে যার অন্তরে আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসার এই প্রাবল্য থাকবে না, তার জন্য প্রাত্যহিক ইসলামী বিধান পালন ও ঈমানের সাধারণ দাবী পুরণও কঠিন মনে হবে। সে এ পথে যতটুকু করবে, সেটা কেবল আইন পালন হিসাবেই করবে। এর বেশী কিছু তার কাছে আশা করা যায় না। এ জন্যই বলা হয়েছে যে, যে পর্যন্ত আল্লাহ এবং রাসূলের ভালবাসা অন্য সকল ভালবাসার উপর জয়ী না হবে, সে পর্যন্ত ঈমানের প্রকৃত মর্তবা লাভ করা সম্ভব হবে না এবং ঈমানের স্বাদ এবং মজাও পাওয়া যাবে না।
হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে তোমার ভালবাসা, তোমার রাসূলের ভালবাসা এবং ঐ কাজের ভালবাসা দান কর, যা আমাদেরকে তোমার ভালবাসা লাভে ধন্য করবে।
হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তিরোধানের পর কিছু ব্যাক্তির আবির্ভাব হবে যারা নবীজীকে দেখেননি কিন্ত তাদের দিলের তামান্না থাকবে, যেকোনো মুল্যেই হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার লাভ করা, চাই এর জন্য যাকিছু তাকে কুরবানী / উৎসর্গ করতে হয় তাতে সে রাজী।
হাদীসের ভাষায় সে তার পরিবার-পরিজন এবং ধন সম্পদ উৎসর্গ করতেও রাজী থাকবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীদার লাভের জন্য।
আর নবীর প্রতি মুমিনের এই তামান্না ও ভালবাসা ই তার ঈমানের আলামত।
একজন মুসলমান পূর্ণ মু'মিন তখনই হতে পারে, যখন দুনিয়ার সকল মানুষ থেকে এমনকি নিজের পিতা-মাতা ও সন্তানাদি থেকেও বেশী ভালবাসা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি থাকবে। এর আগের হাদীসটিতে অন্য সকলের চাইতে আল্লাহর ভালবাসা, রাসূলের ভালবাসা ইসলামের ভালবাসা অধিক হওয়াকে ঈমানের স্বাদ লাভের পূর্বশর্ত বলা হয়েছে। আর এ হাদীসে কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসল ব্যাপার এই যে, আল্লাহ এবং রাসূলের ভালবাসা এবং ইসলামের ভালবাসার মধ্যে এমন সম্পর্ক রয়েছে যে, এর একটি অন্যটি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। আল্লাহ তা'আলার প্রতি এবং ইসলামের প্রতি খাঁটি ভালবাসা আল্লাহর রাসূলের ভালবাসা ছাড়া সম্ভব নয়। অনুরূপভাবে আল্লাহর এবং ইসলামের ভালবাসা ব্যতীত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কল্পনাও করা যায় না। কেননা, রাসূলের প্রতি যে ভালবাসা রাসূল হিসাবে হবে, সেটা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের কারণেই হবে। আর এর অপরিহার্য ফল এ হবে যে, ইসলামের প্রতিও তার পূর্ণ ভালবাসা থাকবে। এ জন্য এ হাদীসে ঈমানের পূর্ণতার জন্য কেবল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালবাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মর্ম উহাই যে, ঈমানের আলো ও এর বরকত কেবল ঐ ভাগ্যবানরাই লাভ করতে পারবে, যাদের অন্তরে আল্লাহ্ এবং রাসূলের ভালবাসা এবং ইসলামের প্রতি ভালবাসা এমন প্রবল যে, এর সামনে অন্য সকল ভালবাসা পরাভূত হয়ে যায়।
এ হাদীসসমূহে আল্লাহ্ এবং রাসূলের প্রতি ভালবাসার যে দাবী উল্লেখ করা হয়েছে, এর মর্ম নির্ধারণে হাদীস ব্যাখ্যাতাদের বক্তব্য অভিন্ন নয়। যে কারণে অনেকের পক্ষে এর মর্ম ও উদ্দেশ্য বুঝে উঠা কঠিন হয়ে পড়েছে, অথচ যে বাস্তবতাটি এ হাদীসসমূহে বর্ণনা করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও সহজ। ভালবাসা একটি পরিচিত শব্দ, আর এর অর্থও সুবিদিত, আর সে অর্থই এখানে উদ্দেশ্য। তবে আল্লাহ এবং রাসূলের সাথে মু'মিনদের যে ভালবাসা হয়ে থাকে, সেটা পিতা-মাতা ও স্ত্রী-পুত্রদের ভালবাসার ন্যায় রক্তের সম্পর্ক অথবা অন্য কোন সহজাত প্রবৃত্তির কারণে হয় না; বরং আত্মিক ও জ্ঞান বিবেচনায় হয়ে থাকে। আর এই ভালবাসা যখন পূর্ণতা লাভ করে, তখন এর বাইরে অন্যান্য ভালবাসা যা মানুষের স্বভাবগত চাহিদা অথবা প্রবৃত্তির কারণে হয়ে থাকে, সেটা এর সামনে পরাজিত ও পরাভূত হয়ে যায়। এ কথাটি প্রত্যেক ঐ ব্যক্তিই বুঝতে পারে, যাকে আল্লাহ্ তা'আলা এর কিছুটা অংশ দিয়ে থাকেন।
সারকথা, এসব হাদীসে ভালবাসা দ্বারা অন্তরের ঐ অবস্থাকেই বুঝানো হয়েছে, যা ভালবাসা শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে, আর আমাদের কাছে এ জিনিসটিরই দাবী করা হয়েছে। আসলে এ জিনিসটিই আমাদের ঈমানের প্রাণতুল্য। কুরআন মজীদেও এরশাদ হয়েছে। “ঈমানদাররা সবচেয়ে বেশী ভালবাসা আল্লাহর প্রতিই রাখে।” (সূরা বাকারা) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে। “হে নবী। আপনি বলে দিন, যদি তোমাদের পিতা-মাতা, তোমাদের সন্তানাদি, তোমাদের ভাই-বেরাদর, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের গোত্র, তোমাদের কষ্টার্জিত সম্পদ, তোমাদের ঐ চালু ব্যবসা, যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান, যাকে তোমরা পছন্দ কর, (দুনিয়ার এসব পছন্দনীয় ও আকর্ষণীয় জিনিসসমূহ) আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তাহলে তোমরা আল্লাহর হুকুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। আর আল্লাহ্ ফাসেক সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।" (সূরা তওবা)
অতএব, পবিত্র কুরআনের এ মহত্বপূর্ণ আয়াতের দাবী ও আবেদনও এটাই যে, ঈমানদারদের অন্তরে তাদের সকল প্রিয় জিনিসের চেয়ে আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীনের ভালবাসা বেশী থাকতে হবে। অন্যথায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর বিশেষ হেদায়াত লাভ করা সম্ভব হবে না এবং ঈমানের পূর্ণতাও লাভ করা যাবে না।
এটা প্রকাশ্য বিষয় যে, যে ব্যক্তি এ সম্পদ ও সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে পারবে, তার জন্য ঈমানের সকল দাবী পূরণ করা এবং আল্লাহ ও রাসূলের বিধানের উপর চলা কেবল সহজই হবে না; বরং এ পথে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেও সে অন্তরে স্বাদ অনুভব করবে। পক্ষান্তরে যার অন্তরে আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসার এই প্রাবল্য থাকবে না, তার জন্য প্রাত্যহিক ইসলামী বিধান পালন ও ঈমানের সাধারণ দাবী পুরণও কঠিন মনে হবে। সে এ পথে যতটুকু করবে, সেটা কেবল আইন পালন হিসাবেই করবে। এর বেশী কিছু তার কাছে আশা করা যায় না। এ জন্যই বলা হয়েছে যে, যে পর্যন্ত আল্লাহ এবং রাসূলের ভালবাসা অন্য সকল ভালবাসার উপর জয়ী না হবে, সে পর্যন্ত ঈমানের প্রকৃত মর্তবা লাভ করা সম্ভব হবে না এবং ঈমানের স্বাদ এবং মজাও পাওয়া যাবে না।
হে আল্লাহ্! তুমি আমাদেরকে তোমার ভালবাসা, তোমার রাসূলের ভালবাসা এবং ঐ কাজের ভালবাসা দান কর, যা আমাদেরকে তোমার ভালবাসা লাভে ধন্য করবে।
