আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫৩- কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৮০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৭
৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ "সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।
৬৮০৮। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা কায়সী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু জাহল বলেছিল, মুহাম্মাদ কি তার মুখমণ্ডল যমীনের উপর রাখছে? লোকেরা বলল, হ্যাঁ রাখছে। তখন সে বলল, আমি লাত এবং উযযার কসম করে বলছি, আমি যদি তাকে এমন করতে দেখি তবে অবশ্যই আমি তার ঘাড় পদদলিত করবো। অথবা তার মুখমণ্ডল আমি মাটিতে মেখে দিব। (নাউযুবিল্লাহ) অতঃপর একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায়ে মগ্ন ছিলেন। এমতাবস্থায় আবু জাহল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘাড়কে পদদলিত করার লক্ষ্যে তার নিকট আসল। হঠাৎ করে লোকেরা দেখতে পেল যে, সে একা একা নিজের দু’হাত দ্বারা কোন কিছুকে প্রতিহত করা অবস্থায় পা পা করে পেছনের দিকে সরে আসছে। এ দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তোমার কি হায়ছে? উত্তরে সে বলল, আমি দেখেছি যে, আমার এবং তাঁর মাঝে আগুণের একটি প্রকান্ড খাদক, ভয়াবহ অবস্থা এবং কতগুলো ডানা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সে যদি আমার নিকটে আসতো, তবে ফিরিশতাগণ তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে নিয়ে যেতো। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, (বর্ণনাকারী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসের মধ্যে এ কথাটি আছে, না এ মর্মে তার নিকট সংবাদ পৌছেছে, এ বিষয়টি আমার জানা নেই!) “কখনো ঠিক নয়, মানুষ তো সীমালঙ্গণ করেই থাকে, কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যার্বতন সুনিশ্চিত। আপনি কি তাকে দেখেদেছেন, যে বাধা দেয় এক বান্দাকে যখন সে নামায আদায় করে? আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, যদি সে সৎপথে থাকে অথবা তাকওয়ার নির্দেশ দেয়, আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, যদি সে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সে কি জানেনা যে, আল্লাহ দেখেন? সাবধান, সে যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাব বৈঠকীদের সম্মুখ ভাগের কেশগুচ্ছ ধরে, মিথ্যাচারী পাপিষ্ঠ কেশগুচ্ছ অতএব সে তার নাদিয়া অর্থাৎ তার সম্প্রদায়কে আহবান করুক।”
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) এর হাদীসে অধিক আছে তাকে যা আদেশ দেয়ার তা আদেশ দিলেন। (অর্থাৎ তা ছিল হুকমী।) ইবনে আব্দুল আলা অধিক বলেছেন,نَادِيَهُ অর্থ তার সম্প্রসারিত দলবল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সে যদি আমার নিকটে আসতো, তবে ফিরিশতাগণ তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে নিয়ে যেতো। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, (বর্ণনাকারী বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর হাদীসের মধ্যে এ কথাটি আছে, না এ মর্মে তার নিকট সংবাদ পৌছেছে, এ বিষয়টি আমার জানা নেই!) “কখনো ঠিক নয়, মানুষ তো সীমালঙ্গণ করেই থাকে, কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যার্বতন সুনিশ্চিত। আপনি কি তাকে দেখেদেছেন, যে বাধা দেয় এক বান্দাকে যখন সে নামায আদায় করে? আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, যদি সে সৎপথে থাকে অথবা তাকওয়ার নির্দেশ দেয়, আপনি লক্ষ্য করেছেন কি, যদি সে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে সে কি জানেনা যে, আল্লাহ দেখেন? সাবধান, সে যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাব বৈঠকীদের সম্মুখ ভাগের কেশগুচ্ছ ধরে, মিথ্যাচারী পাপিষ্ঠ কেশগুচ্ছ অতএব সে তার নাদিয়া অর্থাৎ তার সম্প্রদায়কে আহবান করুক।”
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) এর হাদীসে অধিক আছে তাকে যা আদেশ দেয়ার তা আদেশ দিলেন। (অর্থাৎ তা ছিল হুকমী।) ইবনে আব্দুল আলা অধিক বলেছেন,نَادِيَهُ অর্থ তার সম্প্রসারিত দলবল।
باب قَوْلِهِ { إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى * أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى}
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو جَهْلٍ هَلْ يُعَفِّرُ مُحَمَّدٌ وَجْهَهُ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ قَالَ فَقِيلَ نَعَمْ . فَقَالَ وَاللاَّتِ وَالْعُزَّى لَئِنْ رَأَيْتُهُ يَفْعَلُ ذَلِكَ لأَطَأَنَّ عَلَى رَقَبَتِهِ أَوْ لأُعَفِّرَنَّ وَجْهَهُ فِي التُّرَابِ - قَالَ - فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي زَعَمَ لِيَطَأَ عَلَى رَقَبَتِهِ - قَالَ - فَمَا فَجِئَهُمْ مِنْهُ إِلاَّ وَهُوَ يَنْكِصُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَيَتَّقِي بِيَدَيْهِ - قَالَ - فَقِيلَ لَهُ مَا لَكَ فَقَالَ إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُ لَخَنْدَقًا مِنْ نَارٍ وَهَوْلاً وَأَجْنِحَةً . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ دَنَا مِنِّي لاَخْتَطَفَتْهُ الْمَلاَئِكَةُ عُضْوًا عُضْوًا " . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لاَ نَدْرِي فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ شَىْءٌ بَلَغَهُ ( كَلاَّ إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى * أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى * إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى * أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى * عَبْدًا إِذَا صَلَّى * أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ عَلَى الْهُدَى * أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى * أَرَأَيْتَ إِنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى) - يَعْنِي أَبَا جَهْلٍ - ( أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى * كَلاَّ لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ * نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ * فَلْيَدْعُ نَادِيَهُ * سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ * كَلاَّ لاَ تُطِعْهُ) زَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي حَدِيثِهِ قَالَ وَأَمَرَهُ بِمَا أَمَرَهُ بِهِ . وَزَادَ ابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى فَلْيَدْعُ نَادِيَهُ يَعْنِي قَوْمَهُ .
