আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৫১- যিকর, দুআ, তাওবা ও ইসতিগফারের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৭৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭০-৩
৩৭. অপবাদ রটনার ঘটনা এবং অপবাদ রটনাকারীর তাওবা কবুল হওয়া
৬৭৬৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে লোকেরা যখন কুৎসা রটাতে আরম্ভ করল, যা আমি জানিনা, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাষণ দেয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে তাশাহহুদ পাঠ করলেন এবং আল্লাহর শানের উপযুক্ত শব্দের মাধ্যমে তাঁর প্রশংসা বর্ণনা করলেন। তারপর বললেন, অতঃপর যারা আমার স্ত্রীর ব্যাপারে অপবাদ রটাচ্ছে তাদের সম্বন্ধে তোমরা আমাকে পরামর্শ দাও। আল্লাহর কসম! আমি আমার স্ত্রী সম্বন্ধে মন্দ কোন কিছু জানিনা এবং তারা যার ব্যাপারে অপবাদ রটাচ্ছে তাঁর সম্বন্ধেও খারাপ কিছু আমি জানিনা। আমার অনুপস্থিতিতে সে আমার গৃহে কখনো প্রবেশ করেনি এবং আমি যখন সফরে বের হয়েছি সেও তখন আমার সাথে সফরে বের হয়েছে। অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্ণ কাহিনী সহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
অবশ্য এতে অধিক রয়েছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার গৃহে প্রবেশ করে আমার বাঁদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তখন সে বললো, আল্লাহর কসম! আয়িশা (রাযিঃ) এর মধ্যে আমি কোন দোষ দেখিনি। তবে তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন, আর বকরী এসে মথিত আটা খেয়ে ফেলতো। অথবা বললেন, খামীর খেয়ে ফেলতো। বর্ণনাকারী হিশাম عَجِينَ অথবা خَمِيرَ এতে সন্দেহ করেছেন। তখন নবী (ﷺ) এর কোন সাহাবী তাকে ধমক দিয়ে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে সত্য কথা বল। এমনকি তাঁরা তার সামনে ঘটনা তুলে ধরলেন। তখন বারীরা বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর কসম! স্বর্ণকার খাটি স্বর্ণের টুকরা সম্বন্ধে যেমন জানে আমিও আয়িশা সম্পর্কে সেরূপ জানি। যে ব্যক্তি সম্বন্ধে এ অপবাদ রটানো হচ্ছিল তার নিকট এ সংবাদ পৌছার পর তিনিও বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর কসম! কোন মহিলার আবরণ আমি কখনো উন্মোচন করিনি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, পরে তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হন।
এতে আরো অধিক রয়েছে যে, অপবাদ রটনাকারীদের মধ্যে ছিলেন মিসতাহ, হামনা ও হাসসান। আর মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই সে ছিল ঐ ব্যক্তি যে খুঁজে খুজে বের করে এসব ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করতো। সে এবং হামনাই এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
অবশ্য এতে অধিক রয়েছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার গৃহে প্রবেশ করে আমার বাঁদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তখন সে বললো, আল্লাহর কসম! আয়িশা (রাযিঃ) এর মধ্যে আমি কোন দোষ দেখিনি। তবে তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন, আর বকরী এসে মথিত আটা খেয়ে ফেলতো। অথবা বললেন, খামীর খেয়ে ফেলতো। বর্ণনাকারী হিশাম عَجِينَ অথবা خَمِيرَ এতে সন্দেহ করেছেন। তখন নবী (ﷺ) এর কোন সাহাবী তাকে ধমক দিয়ে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে সত্য কথা বল। এমনকি তাঁরা তার সামনে ঘটনা তুলে ধরলেন। তখন বারীরা বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর কসম! স্বর্ণকার খাটি স্বর্ণের টুকরা সম্বন্ধে যেমন জানে আমিও আয়িশা সম্পর্কে সেরূপ জানি। যে ব্যক্তি সম্বন্ধে এ অপবাদ রটানো হচ্ছিল তার নিকট এ সংবাদ পৌছার পর তিনিও বললেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর কসম! কোন মহিলার আবরণ আমি কখনো উন্মোচন করিনি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, পরে তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হন।
এতে আরো অধিক রয়েছে যে, অপবাদ রটনাকারীদের মধ্যে ছিলেন মিসতাহ, হামনা ও হাসসান। আর মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই সে ছিল ঐ ব্যক্তি যে খুঁজে খুজে বের করে এসব ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করতো। সে এবং হামনাই এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
باب فِي حَدِيثِ الإِفْكِ وَقَبُولِ تَوْبَةِ الْقَاذِفِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ، بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ذُكِرَ مِنْ شَأْنِي الَّذِي ذُكِرَ وَمَا عَلِمْتُ بِهِ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا فَتَشَهَّدَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي أُنَاسٍ أَبَنُوا أَهْلِي وَايْمُ اللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَى أَهْلِي مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَأَبَنُوهُمْ بِمَنْ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ قَطُّ وَلاَ دَخَلَ بَيْتِي قَطُّ إِلاَّ وَأَنَا حَاضِرٌ وَلاَ غِبْتُ فِي سَفَرٍ إِلاَّ غَابَ مَعِي " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ وَفِيهِ وَلَقَدْ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْتِي فَسَأَلَ جَارِيَتِي فَقَالَتْ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا عَيْبًا إِلاَّ أَنَّهَا كَانَتْ تَرْقُدُ حَتَّى تَدْخُلَ الشَّاةُ فَتَأْكُلَ عَجِينَهَا أَوْ قَالَتْ خَمِيرَهَا - شَكَّ هِشَامٌ - فَانْتَهَرَهَا بَعْضُ أَصْحَابِهِ فَقَالَ اصْدُقِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَسْقَطُوا لَهَا بِهِ فَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ عَلَيْهَا إِلاَّ مَا يَعْلَمُ الصَّائِغُ عَلَى تِبْرِ الذَّهَبِ الأَحْمَرِ . وَقَدْ بَلَغَ الأَمْرُ ذَلِكَ الرَّجُلَ الَّذِي قِيلَ لَهُ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا كَشَفْتُ عَنْ كَنَفِ أُنْثَى قَطُّ . قَالَتْ عَائِشَةُ وَقُتِلَ شَهِيدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . وَفِيهِ أَيْضًا مِنَ الزِّيَادَةَ وَكَانَ الَّذِينَ تَكَلَّمُوا بِهِ مِسْطَحٌ وَحَمْنَةُ وَحَسَّانُ وَأَمَّا الْمُنَافِقُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ فَهُوَ الَّذِي كَانَ يَسْتَوْشِيهِ وَيَجْمَعُهُ وَهُوَ الَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ وَحِمْنَةُ .
