আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২০- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৫৩
৯১৯. যার উপর বিনতে মাখায যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়েছে অথচ তার কাছে তা নেই।
১৩৬৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে আল্লাহ তাঁর রাসূল (ﷺ) কে যে বিধান দিয়েছেন তা লিখে পাঠানঃ যে ব্যক্তির উপর উটের যাকাত হিসাবে জাযাআ* ফরয হয়েছে, অথচ তার কাছে জাযাআ নেই বরং তার নিকট হিককা** রয়েছে, তখন হিককা গ্রহণ করা হবে। এর সাথে সম্ভব হলে (পরিপূরকরূপে) দু’টি বকরী দিবে, অথবা বিশটি দিরহাম দিবে। আর যার উপর যাকাত হিসাবে হিককা ফরয হয়েছে, অথচ তার কাছে হিককা নেই বরং জাযাআ রয়েছে, তখন তার থেকে জাযাআ গ্রহণ করা হবে। আর যাকাত উসূলকারী (ক্ষতিপূরণ স্বরূপ) মালিককে বিশটি দিরহাম বা দু’টি বকরী দিবে। যার উপর হিককা ফরয হয়েছে, অথচ তার নিকট বিনতে লাবূন রয়েছে, তখন বিনতে লাবূনই গ্রহণ করা হবে। তবে মালিক দু’টি বকরী বা বিশটি দিরহাম দিবে। আর যার উপর বিনতে লাবূন ফরয হয়েছে, কিন্তু তার কাছে হিককা রয়েছে, তখন তার থেকে হিককা গ্রহণ করা হবে এবং আদায়কারী মালিককে বিশটি দিরহাম বা দু’টি বকরী দিবে। আর যার উপর বিনতে লাবূন ফরয হয়েছে, কিন্তু তার নিকট তা নেই বরং বিনতে মাখায রয়েছে, তবে তাই গ্রহণ করা হবে, অবশ্য মালিক বিশটি দিরহাম বা দু’টি বকরী দিবে।
*জাযাআঃ যে উটের বয়স চার বছর পূর্ণ হয়েছে।
**হিককাঃ যে উটের বয়স তিন বছর পূর্ণ হয়েছে।
*জাযাআঃ যে উটের বয়স চার বছর পূর্ণ হয়েছে।
**হিককাঃ যে উটের বয়স তিন বছর পূর্ণ হয়েছে।
