আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৩- উযূর অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫
৯৬. উযুর বর্ণনা।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ (হে মুমিনগণ!) তোমরা যখন নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধুবে ও তোমাদের মাথা মাসাহ করবে এবং পা গিরা পর্যন্ত ধুয়ে নিবে। (৫ঃ ৬)।
আবু আব্দুল্লাহ্ বুখারী (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ উযুর ফরয হল এক-একবার ধোয়া। তিনি দু’-দু’বার করে এবং তিন-তিনবার করেও উযু করেছেন, কিন্তু তিনবারের অধিক ধৌত করেন নি। পানির অপচয় করা এবং নবী (ﷺ) এর আমলের সীমা অতিক্রম করাকে উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।
পরিচ্ছেদ: ৯৭. পবিত্রতা ছাড়া নামায আদায় করলে কবুল হয় না।
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ (হে মুমিনগণ!) তোমরা যখন নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধুবে ও তোমাদের মাথা মাসাহ করবে এবং পা গিরা পর্যন্ত ধুয়ে নিবে। (৫ঃ ৬)।
আবু আব্দুল্লাহ্ বুখারী (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ উযুর ফরয হল এক-একবার ধোয়া। তিনি দু’-দু’বার করে এবং তিন-তিনবার করেও উযু করেছেন, কিন্তু তিনবারের অধিক ধৌত করেন নি। পানির অপচয় করা এবং নবী (ﷺ) এর আমলের সীমা অতিক্রম করাকে উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।
পরিচ্ছেদ: ৯৭. পবিত্রতা ছাড়া নামায আদায় করলে কবুল হয় না।
১৩৫। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির হাদস হয় তাঁর নামায কবুল হবে না, যতক্ষণ না সে উযু করে। হাযরা-মাওতের এক ব্যক্তি বলেন, হে আবু হুরায়রা! হাদস কী? তিনি বলেন, নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।
كتاب الوضوء
باب ما جاء في الوضوء
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ)
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَبَيَّنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ فَرْضَ الْوُضُوءِ مَرَّةً مَرَّةً وَتَوَضَّأَ أَيْضًا مَرَّتَيْنِ وَثَلاَثًا وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ثَلاَثٍ وَكَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ الْإِسْرَافَ فِيهِ وَأَنْ يُجَاوِزُوا فِعْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
باب لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
باب ما جاء في الوضوء
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ)
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَبَيَّنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ فَرْضَ الْوُضُوءِ مَرَّةً مَرَّةً وَتَوَضَّأَ أَيْضًا مَرَّتَيْنِ وَثَلاَثًا وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ثَلاَثٍ وَكَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ الْإِسْرَافَ فِيهِ وَأَنْ يُجَاوِزُوا فِعْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
باب لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ". قَالَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ مَا الْحَدَثُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ فُسَاءٌ أَوْ ضُرَاطٌ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পেশাব-পায়খানা বা এ জাতীয় কোন কারণে শরীর সাধারণ নাপাক হলে অযুর মাধ্যমে পবিত্র হতে হবে। আর গোসল ফরয হওয়ার দ্বারা শরীর বড় নাপাক হলে গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হতে হবে। আর অযু বা গোসলের মাধ্যমে নামাযের জন্য পবিত্রতা করা শর্ত। (শামী: ১৪০২)
