আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২০- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩২
৯০৩. সাদ্কা দেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান ও সুপারিশ করা।
১৩৪৮। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আবু মুসা (আশআরী) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কেউ কিছু চাইলে বা প্রয়োজনীয় কিছু চাওয়া হলে তিনি বলতেনঃ তোমরা সুপারিশ কর, সাওয়াব পাবে। আল্লাহ যেন তাঁর ইচ্ছা তাঁর রাসূলের মুখে চূড়ান্ত করেন।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
اشفعوا (সুপারিশ করো)-এর উৎপত্তি الشفاعة । (শাফাআত) থেকে। শাফাআতের অর্থ ও এ সম্পর্কিত জরুরি ব্যাখ্যা ভূমিকায় চলে গেছে। এ হাদীছে প্রথমত সুপারিশের আদেশ করা হয়েছে, দ্বিতীয়ত এর ফযীলত বয়ান করা হয়েছে এবং তৃতীয়ত এর হাকীকতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
সুপারিশের আদেশ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কাজটিকে তাঁর শরীআতের একটি ঐচ্ছিক অঙ্গ বানিয়ে দিয়েছেন। কারও সুপারিশের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কারণে। কেউ যখন অর্থসংকটে পড়ে, তখন আর্থিক অনুদান বা ঋণ গ্রহণের জন্য অনেক সময় সুপারিশের দরকার হয়। যার কাছে তা পাওয়া যাবে, তার কাছে সে নিজে সরাসরি যেতে পারে না। এ অবস্থায় তার কাছে যার যাতায়াত আছে বা তার সঙ্গে যার সুসম্পর্ক আছে, তাকে সুপারিশের জন্য ধরা হয়। সে বলে দিলে ওই ব্যক্তি তাকে ঋণ বা আর্থিক অনুদান দেবে বলে আশা আছে। এমনিভাবে এটা প্রয়োজন হয় মিথ্যা মামলায় সুবিচারের জন্য, প্রয়োজন হয় চাকরি-বাকরি বা কোনও কাজ পাওয়ার জন্য। এমনকি সুপারিশ প্রয়োজন হয় বেচাকেনা, বিবাহশাদি ইত্যাদিতেও। যে-কোনও ঠ্যাকার ক্ষেত্রে যার দ্বারা সেই ঠ্যাকার সমাধান হতে পারে, নিজে সরাসরি তার কাছে পৌঁছার সুযোগ না পেলে বা নিজ কথায় কাজ না হলে তখন মানুষ উপযুক্ত ব্যক্তির সুপারিশ কামনা করে। সে সুপারিশ করলে তার কাজটি হয়ে যায়, অন্যথায় তার পেরেশানি চলতে থাকে। এক মুমিন আরেক মুমিনের ভাই। তাই প্রত্যেকের কর্তব্য অন্যের পেরেশানিকে নিজ পেরেশানি গণ্য করা। যদি মুখের একটি কথা দ্বারা অন্যের পেরেশানি দূর হওয়ার আশা থাকে, এক মুমিন তা করবে না কেন? এ হাদীছে তাই উৎসাহ দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অভাবগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করো।
সুপারিশ করার দ্বারা কারও উপকার হওয়ার আশা থাকলে নৈতিকভাবেই তা করা বাঞ্ছনীয় হয়ে যায়। তা ঈমানেরও দাবি। কাজেই একজন আদর্শ মুমিন তা করবে বৈকি। তবে যেহেতু এটা ফরয-ওয়াজিব নয়, তাই হয়তো কেউ সুপারিশের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তা করতে আগ্রহ দেখাবে না। এরূপ লোককে আগ্রহী করে তোলার জন্য হাদীছে সুপারিশ করার ফায়দাও বলে দেওয়া হয়েছে। বলাবাহুল্য আমাদের মহান দীন কোনও কাজে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে সাধারণত পরকালীন ফায়দাই বর্ণনা করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- تؤجروا - (তোমরা প্রতিদান পাবে)। অর্থাৎ সরাসরি প্রয়োজনগ্রস্ত ব্যক্তির প্রয়োজন মেটানোর দ্বারা যেই ছাওয়াব পাওয়া যায়, সুপারিশ করার দ্বারা তোমরাও অনুরূপ ছাওয়াবের অধিকারী হয়ে যাবে, তাতে তোমাদের সুপারিশ গৃহীত হোক বা নাই হোক।
হযরত মুআবিয়া রাযি. সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি তাঁর কাছে কোনও অভাবী বা বিপদগ্রস্ত লোক সাহায্যের জন্য আসলে তিনি সাহায্য করতে বিলম্ব করতেন, সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার আবেদন মঞ্জুর করতেন না। তিনি নিজেই এর কারণ ব্যাখ্যা করেন যে, আমি বিলম্ব করি এই ইচ্ছায় যে, তোমরা তার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করবে। কেননা সুপারিশ করার দ্বারা ছাওয়াব পাওয়া যায়। এই বলে তিনি আলোচ্য হাদীছটি বর্ণনা করেন। এভাবে অন্যকে ছাওয়াব অর্জনের সুযোগ দান করাটা ছিল তাঁর এক মহত্ত্ব।
তৃতীয় পর্যায়ে হাদীছটিতে সুপারিশের হাকীকতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে- ويقضي الله على لسان نبيه ما أحب (আল্লাহ যা পসন্দ করেন, তাঁর নবীর জবানিতে তারই ফয়সালা করবেন)। অর্থাৎ তোমরা যা সুপারিশ করবে তাই হবে। এমন কোনও কথা নেই। হবে তাই, যা আল্লাহ চান। তিনি তাঁর নবীকে দিয়ে নিজ মর্জি মোতাবেক ফয়সালা করাবেন। তোমাদের সুপারিশে তার কোনও নড়চড় হবে না। তা সত্ত্বেও তোমরা সুপারিশ করবে। তা করবে এজন্য যে, তাতে নিজ ভাইয়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পাবে আর এ কারণে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে আজর ও ছাওয়াব দান করবেন।
আল্লাহর ফয়সালা যেহেতু তোমাদের সুপারিশের উপর নির্ভরশীল নয় আবার তোমাদের সুপারিশও বৃথা যায় না, তোমরা ছাওয়াব ঠিকই পেয়ে যাও, তাই ফয়সালা যাই হোক তাতে তোমাদের সন্তুষ্ট থাকা চাই। কেন সুপারিশ মোতাবেক কাজ করা হল না, এই আপত্তি তোলা বাঞ্ছনীয় নয়। এর দ্বারা ফায়দা তো কিছু হয়ই না, উল্টো তাতে সুপারিশটি মন্দ সুপারিশ হয়ে যায় এবং ছাওয়াব নষ্ট হয়।
এস্থলে যে বলা হয়েছে আল্লাহ তাঁর রাসূলের মাধ্যমে নিজ পসন্দমত ফয়সালা করিয়ে থাকেন, এ কথাটি কেবল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সর্বকালীন বিধান। প্রত্যেক সুপারিশকারীকেই সুপারিশকালে মনে রাখতে হবে যে, আমার সুপারিশ মোতাবেক কাজ হওয়া জরুরি নয়; হবে সেটাই, যা আল্লাহ চান। কাজেই আমি যার কাছে সুপারিশ করছি তিনি আমার সুপারিশ রাখলেও আমি খুশি থাকব, না রাখলেও খুশি থাকব। কোনও অবস্থায়ই তার উপর চাপ সৃষ্টি করব না ও নাখোশ হব না। ব্যস এটাই সুপারিশের হাকীকত যে, এর দ্বারা মুমিন ব্যক্তিকে মানবিকতাবোধে উজ্জীবিত করা ও আখেরাতের পুরস্কারে ভূষিত করা উদ্দেশ্য। এটা কোনও বাধ্যতামূলক বিষয় নয়, যা রক্ষা করা অবশ্যকর্তব্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সুপারিশ করা একটি মহৎ কাজ। এর দ্বারা আখেরাতের প্রভূত ছাওয়াব লাভ করা যায়।
খ. সুপারিশ রক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। কাজেই যার কাছে সুপারিশ করা হবে, তার সে অনুযায়ী কাজ করা বা না করা উভয় এখতিয়ারই থাকে।
গ. সুপারিশকালে তা রক্ষার জন্য চাপ সৃষ্টি করা বাঞ্ছনীয় নয়। তাতে সুপারিশের মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়।
ঘ. সুপারিশ রক্ষা করা না হলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা উচিত নয়। কেননা আখেরাতের প্রতিদান পাওয়াই এর একমাত্র লক্ষ্য। সুপারিশ রক্ষা করা না হলেও সে প্রতিদান ঠিকই পাওয়া যাবে। কাজেই সুপারিশ না রাখায় সুপারিশ করা বৃথা যায়নি।
সুপারিশের আদেশ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কাজটিকে তাঁর শরীআতের একটি ঐচ্ছিক অঙ্গ বানিয়ে দিয়েছেন। কারও সুপারিশের প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কারণে। কেউ যখন অর্থসংকটে পড়ে, তখন আর্থিক অনুদান বা ঋণ গ্রহণের জন্য অনেক সময় সুপারিশের দরকার হয়। যার কাছে তা পাওয়া যাবে, তার কাছে সে নিজে সরাসরি যেতে পারে না। এ অবস্থায় তার কাছে যার যাতায়াত আছে বা তার সঙ্গে যার সুসম্পর্ক আছে, তাকে সুপারিশের জন্য ধরা হয়। সে বলে দিলে ওই ব্যক্তি তাকে ঋণ বা আর্থিক অনুদান দেবে বলে আশা আছে। এমনিভাবে এটা প্রয়োজন হয় মিথ্যা মামলায় সুবিচারের জন্য, প্রয়োজন হয় চাকরি-বাকরি বা কোনও কাজ পাওয়ার জন্য। এমনকি সুপারিশ প্রয়োজন হয় বেচাকেনা, বিবাহশাদি ইত্যাদিতেও। যে-কোনও ঠ্যাকার ক্ষেত্রে যার দ্বারা সেই ঠ্যাকার সমাধান হতে পারে, নিজে সরাসরি তার কাছে পৌঁছার সুযোগ না পেলে বা নিজ কথায় কাজ না হলে তখন মানুষ উপযুক্ত ব্যক্তির সুপারিশ কামনা করে। সে সুপারিশ করলে তার কাজটি হয়ে যায়, অন্যথায় তার পেরেশানি চলতে থাকে। এক মুমিন আরেক মুমিনের ভাই। তাই প্রত্যেকের কর্তব্য অন্যের পেরেশানিকে নিজ পেরেশানি গণ্য করা। যদি মুখের একটি কথা দ্বারা অন্যের পেরেশানি দূর হওয়ার আশা থাকে, এক মুমিন তা করবে না কেন? এ হাদীছে তাই উৎসাহ দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অভাবগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত ভাইয়ের জন্য সুপারিশ করো।
সুপারিশ করার দ্বারা কারও উপকার হওয়ার আশা থাকলে নৈতিকভাবেই তা করা বাঞ্ছনীয় হয়ে যায়। তা ঈমানেরও দাবি। কাজেই একজন আদর্শ মুমিন তা করবে বৈকি। তবে যেহেতু এটা ফরয-ওয়াজিব নয়, তাই হয়তো কেউ সুপারিশের প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তা করতে আগ্রহ দেখাবে না। এরূপ লোককে আগ্রহী করে তোলার জন্য হাদীছে সুপারিশ করার ফায়দাও বলে দেওয়া হয়েছে। বলাবাহুল্য আমাদের মহান দীন কোনও কাজে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে সাধারণত পরকালীন ফায়দাই বর্ণনা করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- تؤجروا - (তোমরা প্রতিদান পাবে)। অর্থাৎ সরাসরি প্রয়োজনগ্রস্ত ব্যক্তির প্রয়োজন মেটানোর দ্বারা যেই ছাওয়াব পাওয়া যায়, সুপারিশ করার দ্বারা তোমরাও অনুরূপ ছাওয়াবের অধিকারী হয়ে যাবে, তাতে তোমাদের সুপারিশ গৃহীত হোক বা নাই হোক।
হযরত মুআবিয়া রাযি. সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি তাঁর কাছে কোনও অভাবী বা বিপদগ্রস্ত লোক সাহায্যের জন্য আসলে তিনি সাহায্য করতে বিলম্ব করতেন, সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার আবেদন মঞ্জুর করতেন না। তিনি নিজেই এর কারণ ব্যাখ্যা করেন যে, আমি বিলম্ব করি এই ইচ্ছায় যে, তোমরা তার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করবে। কেননা সুপারিশ করার দ্বারা ছাওয়াব পাওয়া যায়। এই বলে তিনি আলোচ্য হাদীছটি বর্ণনা করেন। এভাবে অন্যকে ছাওয়াব অর্জনের সুযোগ দান করাটা ছিল তাঁর এক মহত্ত্ব।
তৃতীয় পর্যায়ে হাদীছটিতে সুপারিশের হাকীকতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে- ويقضي الله على لسان نبيه ما أحب (আল্লাহ যা পসন্দ করেন, তাঁর নবীর জবানিতে তারই ফয়সালা করবেন)। অর্থাৎ তোমরা যা সুপারিশ করবে তাই হবে। এমন কোনও কথা নেই। হবে তাই, যা আল্লাহ চান। তিনি তাঁর নবীকে দিয়ে নিজ মর্জি মোতাবেক ফয়সালা করাবেন। তোমাদের সুপারিশে তার কোনও নড়চড় হবে না। তা সত্ত্বেও তোমরা সুপারিশ করবে। তা করবে এজন্য যে, তাতে নিজ ভাইয়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ পাবে আর এ কারণে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে আজর ও ছাওয়াব দান করবেন।
আল্লাহর ফয়সালা যেহেতু তোমাদের সুপারিশের উপর নির্ভরশীল নয় আবার তোমাদের সুপারিশও বৃথা যায় না, তোমরা ছাওয়াব ঠিকই পেয়ে যাও, তাই ফয়সালা যাই হোক তাতে তোমাদের সন্তুষ্ট থাকা চাই। কেন সুপারিশ মোতাবেক কাজ করা হল না, এই আপত্তি তোলা বাঞ্ছনীয় নয়। এর দ্বারা ফায়দা তো কিছু হয়ই না, উল্টো তাতে সুপারিশটি মন্দ সুপারিশ হয়ে যায় এবং ছাওয়াব নষ্ট হয়।
এস্থলে যে বলা হয়েছে আল্লাহ তাঁর রাসূলের মাধ্যমে নিজ পসন্দমত ফয়সালা করিয়ে থাকেন, এ কথাটি কেবল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি সর্বকালীন বিধান। প্রত্যেক সুপারিশকারীকেই সুপারিশকালে মনে রাখতে হবে যে, আমার সুপারিশ মোতাবেক কাজ হওয়া জরুরি নয়; হবে সেটাই, যা আল্লাহ চান। কাজেই আমি যার কাছে সুপারিশ করছি তিনি আমার সুপারিশ রাখলেও আমি খুশি থাকব, না রাখলেও খুশি থাকব। কোনও অবস্থায়ই তার উপর চাপ সৃষ্টি করব না ও নাখোশ হব না। ব্যস এটাই সুপারিশের হাকীকত যে, এর দ্বারা মুমিন ব্যক্তিকে মানবিকতাবোধে উজ্জীবিত করা ও আখেরাতের পুরস্কারে ভূষিত করা উদ্দেশ্য। এটা কোনও বাধ্যতামূলক বিষয় নয়, যা রক্ষা করা অবশ্যকর্তব্য।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. সুপারিশ করা একটি মহৎ কাজ। এর দ্বারা আখেরাতের প্রভূত ছাওয়াব লাভ করা যায়।
খ. সুপারিশ রক্ষা করা বাধ্যতামূলক নয়। কাজেই যার কাছে সুপারিশ করা হবে, তার সে অনুযায়ী কাজ করা বা না করা উভয় এখতিয়ারই থাকে।
গ. সুপারিশকালে তা রক্ষার জন্য চাপ সৃষ্টি করা বাঞ্ছনীয় নয়। তাতে সুপারিশের মহিমা ক্ষুণ্ণ হয়।
ঘ. সুপারিশ রক্ষা করা না হলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা উচিত নয়। কেননা আখেরাতের প্রতিদান পাওয়াই এর একমাত্র লক্ষ্য। সুপারিশ রক্ষা করা না হলেও সে প্রতিদান ঠিকই পাওয়া যাবে। কাজেই সুপারিশ না রাখায় সুপারিশ করা বৃথা যায়নি।


বর্ণনাকারী: