আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৮- সদ্ব্যবহার,আত্নীয়তা রক্ষা (মুআশারা) ও বিবিধ শিষ্টাচার
হাদীস নং: ৬৩৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০৩
- সদ্ব্যবহার,আত্নীয়তা রক্ষা (মুআশারা) ও বিবিধ শিষ্টাচার
২৫. যাদের উপর নবী (ﷺ) লানত করেছেন, তিরস্কার করেছেন অথবা বদ দুআ করেছেন; অথচ তারা এর যোগ্য নয়, তাদের জন্য তা পবিত্রতা, পুরস্কার ও রহমত স্বরূপ
৬৩৮৯। যুহাইর ইবনে হারব ও আবু মা’আন রাকাশী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাযিঃ) এর মাতা উম্মে সুলায়মের কাছে একটি ইয়াতিম বালিকা ছিল। রাসুলূল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখে বললেনঃ এই মেয়ে, তুমি তো বেশ বড় হয়েছ; তবে (আমার বয়স বড় না হোক) তুমি দীর্ঘজীবী না হও। তখন ইয়াতীম বালিকাটি উম্মে সুলায়মের কাছে ফিরে গেল। তখন উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) বললেন, তোমার কী হয়েছে? ওহে আমার পিচ্চি মিষ্টি মেয়ে! মেয়েটি বলল, নবী (ﷺ) আমাকে বদ দুআ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমার বয়স যেন বড় না হয় (আমি দীর্ঘজীবী না হই)। সুতরাং এখন থেকে আমি আর বয়সে বড় হব না। অথবা সে سِنِّي এর স্থলে قَرْنِي (আমার চুল) বলেছিল।
একথা শুনে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) তাড়াতাড়ি ওড়না পরে বেরিয়ে পড়েন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তখন তাঁকে (লক্ষ করে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কী ব্যাপার, হে উম্মে সুলায়ম! তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আমার ইয়াতীম বালিকাটিকে বদ দুআ করেছেন? তিনি বললেন, হে উম্মে সুলায়ম! তা কি? (কিসের বদ দুআ?) উম্মে সুলায়ম বললেন, সে তো বলছে যে, আপনি তাকে বদ দুআ করেছেন যেন তার বয়স না বাড়ে কিংবা তার চুল বৃদ্ধি না পায়।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকী হাসি দিয়ে বললেন, হে উম্মে সুলায়ম! তুমি কি জাননা যে, আমার প্রতিপালকের সঙ্গে এই মর্মে আমি শর্ত (প্রতিশ্রুতি) বদ্ধ হয়েছি এবং আমি বলেছি যে, আমি তো একজন মানুষ। মানুষ যাতে সন্তুষ্ট হয় আমিও তাতে সন্তুষ্ট হই। আমিও অসন্তুস্ত হই যেভাবে মানুষ রাগান্বিত হয়ে থাকে। সুতরাং আমি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি কে বদ দুআ করলে সে যদি তার যোগ্য না হয় তাহলে তা তার জন্য পবিত্রতা, আত্মশুদ্ধি ও নৈকট্যের মাধ্যম বানিয়ে দিন, যা তাকে কিয়ামত দিবসে সে আপনার নৈকট্য লাভ করিয়ে দিবে। আবু মা’আন (রাহঃ) উল্লেখিত তার হাদীসে তিন জায়গায় (يتيمة এর স্থলে) يُتَيِّمَةٌ (তাসগীর) রূপে উল্লেখ করেছেন, (যার অর্থ ছোট ইয়াতীম বালিকা)।
একথা শুনে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) তাড়াতাড়ি ওড়না পরে বেরিয়ে পড়েন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তখন তাঁকে (লক্ষ করে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কী ব্যাপার, হে উম্মে সুলায়ম! তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি আমার ইয়াতীম বালিকাটিকে বদ দুআ করেছেন? তিনি বললেন, হে উম্মে সুলায়ম! তা কি? (কিসের বদ দুআ?) উম্মে সুলায়ম বললেন, সে তো বলছে যে, আপনি তাকে বদ দুআ করেছেন যেন তার বয়স না বাড়ে কিংবা তার চুল বৃদ্ধি না পায়।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকী হাসি দিয়ে বললেন, হে উম্মে সুলায়ম! তুমি কি জাননা যে, আমার প্রতিপালকের সঙ্গে এই মর্মে আমি শর্ত (প্রতিশ্রুতি) বদ্ধ হয়েছি এবং আমি বলেছি যে, আমি তো একজন মানুষ। মানুষ যাতে সন্তুষ্ট হয় আমিও তাতে সন্তুষ্ট হই। আমিও অসন্তুস্ত হই যেভাবে মানুষ রাগান্বিত হয়ে থাকে। সুতরাং আমি আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি কে বদ দুআ করলে সে যদি তার যোগ্য না হয় তাহলে তা তার জন্য পবিত্রতা, আত্মশুদ্ধি ও নৈকট্যের মাধ্যম বানিয়ে দিন, যা তাকে কিয়ামত দিবসে সে আপনার নৈকট্য লাভ করিয়ে দিবে। আবু মা’আন (রাহঃ) উল্লেখিত তার হাদীসে তিন জায়গায় (يتيمة এর স্থলে) يُتَيِّمَةٌ (তাসগীর) রূপে উল্লেখ করেছেন, (যার অর্থ ছোট ইয়াতীম বালিকা)।
كتاب البر والصلة والآداب
اب من لعنه النبي صلى الله عليه وسلم أو سبه أو دعا عليه وليس هو أهلا لذلك كان له زكاة وأجرا ورحمة
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو مَعْنٍ الرَّقَاشِيُّ - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ، بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانَتْ عِنْدَ أُمِّ سُلَيْمٍ يَتِيمَةٌ وَهِيَ أُمُّ أَنَسٍ فَرَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْيَتِيمَةَ فَقَالَ " آنْتِ هِيَهْ لَقَدْ كَبِرْتِ لاَ كَبِرَ سِنُّكِ " . فَرَجَعَتِ الْيَتِيمَةُ إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تَبْكِي فَقَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ مَا لَكِ يَا بُنَيَّةُ قَالَتِ الْجَارِيَةُ دَعَا عَلَىَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ يَكْبَرَ سِنِّي فَالآنَ لاَ يَكْبَرُ سِنِّي أَبَدًا - أَوْ قَالَتْ قَرْنِي - فَخَرَجَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ مُسْتَعْجِلَةً تَلُوثُ خِمَارَهَا حَتَّى لَقِيَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ " . فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَدَعَوْتَ عَلَى يَتِيمَتِي قَالَ " وَمَا ذَاكِ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ " . قَالَتْ زَعَمَتْ أَنَّكَ دَعَوْتَ أَنْ لاَ يَكْبَرَ سِنُّهَا وَلاَ يَكْبَرَ قَرْنُهَا - قَالَ - فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا أُمَّ سُلَيْمٍ أَمَا تَعْلَمِينَ أَنَّ شَرْطِي عَلَى رَبِّي أَنِّي اشْتَرَطْتُ عَلَى رَبِّي فَقُلْتُ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ أَرْضَى كَمَا يَرْضَى الْبَشَرُ وَأَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُ الْبَشَرُ فَأَيُّمَا أَحَدٍ دَعَوْتُ عَلَيْهِ مِنْ أُمَّتِي بِدَعْوَةٍ لَيْسَ لَهَا بِأَهْلٍ أَنْ تَجْعَلَهَا لَهُ طَهُورًا وَزَكَاةً وَقُرْبَةً يُقَرِّبُهُ بِهَا مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . وَقَالَ أَبُو مَعْنٍ يُتَيِّمَةٌ . بِالتَّصْغِيرِ فِي الْمَوَاضِعِ الثَّلاَثَةِ مِنَ الْحَدِيثِ .