আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৮- সদ্ব্যবহার,আত্নীয়তা রক্ষা (মুআশারা) ও বিবিধ শিষ্টাচার
হাদীস নং: ৬৩৫২
১৭. মু’মিনদের পারস্পরিক দয়ার্দ্রতা সহমর্মিতা ও সহযোগিতা
৬৩৫২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু সাঈদ আশাজ্জ (রাহঃ) ......... নু’মান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুমিন সম্প্রদায় এক ব্যক্তির ন্যায়। যখন তার মাথায় অসুস্থতা দেখা দেয় তখন সমগ্র দেহই তাপ ও অনিদ্রায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
باب تَرَاحُمِ الْمُؤْمِنِينَ وَتَعَاطُفِهِمْ وَتَعَاضُدِهِمْ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمُؤْمِنُونَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ إِنِ اشْتَكَى رَأْسُهُ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالْحُمَّى وَالسَّهَرِ " .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে মূলত মুমিনদেরকে পরস্পর সহমর্মী ও সমব্যথী হয়ে থাকতে আদেশ করা হয়েছে। এ সমবেদনা ও সহমর্মিতার দাবি হচ্ছে মুসলিমগণ একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থাকবে। কেউ কাউকে কোনওভাবেই কষ্ট দেবে না। কেউ কারও কোনও হক নষ্ট করবে না। যখন অন্যের ব্যথা-বেদনাকে নিজের ব্যথা-বেদনা গণ্য করতে বলা হয়েছে, তখন নিজে কিভাবে অন্যকে কষ্ট দেওয়ার কথা ভাবতে পারে? যখন অন্যের দুঃখ-কষ্ট নিবারণের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে, তখন নিজেকে কিভাবে অন্যের দুঃখ-কষ্টের কারণ বানানো যেতে পারে? যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, সে অবশ্যই লক্ষ রাখবে যাতে তার দ্বারা অন্য কারও জান, মাল ও ইজ্জতের কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়। নিজের জান, মাল ও ইজ্জতের যেভাবে হেফাজত করা হয়ে থাকে, সে অন্যের জান, মাল ও ইজ্জতের হেফাজতেও সেরকম ভূমিকা রাখবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ মুমিনদেরকে পারস্পরিক সহমর্মিতার শিক্ষাদান করে।
খ. মুমিন ব্যক্তির কর্তব্য অন্যের দুঃখ-কষ্টকে নিজ দুঃখ-কষ্ট গণ্য করা এবং নিজ সাধ্য অনুযায়ী তা লাঘবের চেষ্টা করা।
গ. মুমিন ব্যক্তি অন্যের হক সম্পর্কে সচেতন থাকবে। সে তার কাছে অন্যের যা-কিছু প্রাপ্য আছে তা আদায়ে যত্নবান থাকবে এবং সতর্ক থাকবে, যাতে তার দ্বারা অন্যের জান, মাল ও ইজ্জতের কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ মুমিনদেরকে পারস্পরিক সহমর্মিতার শিক্ষাদান করে।
খ. মুমিন ব্যক্তির কর্তব্য অন্যের দুঃখ-কষ্টকে নিজ দুঃখ-কষ্ট গণ্য করা এবং নিজ সাধ্য অনুযায়ী তা লাঘবের চেষ্টা করা।
গ. মুমিন ব্যক্তি অন্যের হক সম্পর্কে সচেতন থাকবে। সে তার কাছে অন্যের যা-কিছু প্রাপ্য আছে তা আদায়ে যত্নবান থাকবে এবং সতর্ক থাকবে, যাতে তার দ্বারা অন্যের জান, মাল ও ইজ্জতের কোনও ক্ষতি না হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
