আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৮-১
৩৪. হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৬৬। বিশর ইবনে খালিক (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তাঁর কাছে হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি সে সময় তাঁর জন্য কবিতা আবৃতি করে শোনাচ্ছিলেন এবং তাঁর কবিতাটির কয়েকটি পংক্তি দ্বারা (নবীর) স্তুতিকাব্য আবৃতি করছিলেন। তিনি বলছিলেন,
“তিনি সতী (আত্মা)! বুদ্ধিমতী, কোন সন্দেহ দ্বারা তাকে অপবাদ দেয়া যাবে না। তিনি উদাসীনদের গোশত থেকে অভুক্ত থেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করেন (কারো গিবত করেন না)”
তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, কিন্তু আপনি তো এমন নন। মাসরুক (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে (আয়িশাকে) বললাম, আপনি তাকে আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি দেন কেন? অথচ আল্লাহ বলেছেন, وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ “এবং তার মধ্যে যে এ ব্যাপারে [আয়িশা (রাযিঃ)]-এর দুর্নাম করার ব্যাপারে প্রধান ভুমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি” (২৪ঃ ১১)
তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, এর চাইতে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে যে, সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে? এরপর তিনি বললেন, তিনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে কবিতা দ্বারা প্রতিহত (যুদ্ধ) করতেন অথবা ব্যাঙ্গ কবিতার দ্বারা বাকযুদ্ধ করতেন।
“তিনি সতী (আত্মা)! বুদ্ধিমতী, কোন সন্দেহ দ্বারা তাকে অপবাদ দেয়া যাবে না। তিনি উদাসীনদের গোশত থেকে অভুক্ত থেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় শয্যা ত্যাগ করেন (কারো গিবত করেন না)”
তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, কিন্তু আপনি তো এমন নন। মাসরুক (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে (আয়িশাকে) বললাম, আপনি তাকে আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি দেন কেন? অথচ আল্লাহ বলেছেন, وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ “এবং তার মধ্যে যে এ ব্যাপারে [আয়িশা (রাযিঃ)]-এর দুর্নাম করার ব্যাপারে প্রধান ভুমিকা গ্রহণ করেছে তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি” (২৪ঃ ১১)
তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, এর চাইতে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে যে, সে অন্ধ হয়ে গিয়েছে? এরপর তিনি বললেন, তিনি তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পক্ষ থেকে তাদের (কাফিরদের) বিরুদ্ধে কবিতা দ্বারা প্রতিহত (যুদ্ধ) করতেন অথবা ব্যাঙ্গ কবিতার দ্বারা বাকযুদ্ধ করতেন।
باب فَضَائِلِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَعِنْدَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يُنْشِدُهَا شِعْرًا يُشَبِّبُ بِأَبْيَاتٍ لَهُ فَقَالَ حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ لَكِنَّكَ لَسْتَ كَذَلِكَ . قَالَ مَسْرُوقٌ فَقُلْتُ لَهَا لِمَ تَأْذَنِينَ لَهُ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ ( وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ) فَقَالَتْ فَأَىُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمَى إِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ أَوْ يُهَاجِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .


বর্ণনাকারী: