আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল

হাদীস নং: ৬১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৮৪-১
৩৩. আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৫৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... কায়স ইবনে উবাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদীনাতে এমন লোকদের মধ্যে ছিলাম, যাদের মাঝে নবী (ﷺ) এর কতিপয় সাহাবী বিদ্যমান ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এল, যার মুখমণ্ডলে ভয় ভীতির চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। তখন লোকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ বললেন, এই ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন, এই ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন। তিনি সেখানে দুই রাকআত নামায আদায় করলেন এবং তা সংক্ষেপ করলেন। তারপর বেরিয়ে গেলেন, আমি তাকে অনুসরণ করলাম। তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করলেন। আমিও প্রবেশ করলাম। তারপর আমরা আলাপ আলোচনা করলাম। যখন তিনি অন্তরং্গ হলেন তখন আমি তাকে বললাম, আপনি যখন একটু আগে (মসজিদে) প্রবেশ করেছিলেন, তখন এক ব্যক্তি এইরূপ বলেছিল (এ ব্যক্তি জান্নাতিদের একজন)।

তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! কারো পক্ষে এমন কিছু বলা উচিৎ নয়, যা সে (নিশ্চিত) জানে না। তিনি বললেন, আমি আপনাকে বলছি, কেন এরূপ বলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় একবার আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি সেই স্বপ্নের কথা তাঁর কাছে ব্যাক্ত করেছিলাম। আমি আমাকে একটি বাগানে দেখতে পাই। এই বাগানের প্রশস্ততা, ঘাসপাতা (সজীবতা) ও সৌন্দর্যের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এই বাগানের মধ্যভাগে একটি লৌহদণ্ড ছিল যার নিম্নভাগ ছিল মাটির মধ্যে আর উপরভাগ ছিল আকাশে। এর উপরিভাগে ছিল একটি রশি। তখন আমাকে বলা হল, তুমি এতে আরোহণ কর। আমি বললাম, আমি পারব না। এরপর একজন মিনসাফ (সেবক) আসলো। তিনি বলেন, ইবনে আউন (রাহঃ) বলেন, মিনসাফ (মানে খাদিম)।

তিনি বলেন, তিনি পিছন থেকে আমার কাপড় ধরলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, সে (খাদিম) তাঁর হাত দ্বারা তাঁর পিছন থেকে তাকে তুলে দিল। আমি আরোহণ করলাম, এমনকি সেই স্তম্ভের চূড়ায় পৌঁছলাম, এরপর রশিটি ধরলাম। তারপর আমাকে বলা হল, একে মজবুত করে ধর। যখন আমি জাগ্রত হলাম, তখনও ঐ রশিটি আমার হাতে। আমি নবী (ﷺ) এর কাছে এই স্বপ্নের কথা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, সেই বাগানটি হচ্ছে ইসলাম। আর সে স্তম্ভটি হচ্ছে ইসলামের স্তম্ভ এবং সেই রশিটি হচ্ছে মজবুত দৃঢ় রশি। তুমি আমৃত্যু ইসলামের উপরে থাকবে। রাবী বলেন, আর সেই ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)।
باب مِنْ فَضَائِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ كُنْتُ بِالْمَدِينَةِ فِي نَاسٍ فِيهِمْ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ فِي وَجْهِهِ أَثَرٌ مِنْ خُشُوعٍ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ . فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ يَتَجَوَّزُ فِيهِمَا ثُمَّ خَرَجَ فَاتَّبَعْتُهُ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ وَدَخَلْتُ فَتَحَدَّثْنَا فَلَمَّا اسْتَأْنَسَ قُلْتُ لَهُ إِنَّكَ لَمَّا دَخَلْتَ قَبْلُ قَالَ رَجُلٌ كَذَا وَكَذَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ مَا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ مَا لاَ يَعْلَمُ وَسَأُحَدِّثُكَ لِمَ ذَاكَ رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ رَأَيْتُنِي فِي رَوْضَةٍ - ذَكَرَ سَعَتَهَا وَعُشْبَهَا وَخُضْرَتَهَا - وَوَسْطَ الرَّوْضَةِ عَمُودٌ مِنْ حَدِيدٍ أَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ وَأَعْلاَهُ فِي السَّمَاءِ فِي أَعْلاَهُ عُرْوَةٌ . فَقِيلَ لِي ارْقَهْ . فَقُلْتُ لَهُ لاَ أَسْتَطِيعُ . فَجَاءَنِي مِنْصَفٌ - قَالَ ابْنُ عَوْنٍ وَالْمِنْصَفُ الْخَادِمُ - فَقَالَ بِثِيَابِي مِنْ خَلْفِي - وَصَفَ أَنَّهُ رَفَعَهُ مِنْ خَلْفِهِ بِيَدِهِ - فَرَقِيتُ حَتَّى كُنْتُ فِي أَعْلَى الْعَمُودِ فَأَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقِيلَ لِيَ اسْتَمْسِكْ . فَلَقَدِ اسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِي يَدِي فَقَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " تِلْكَ الرَّوْضَةُ الإِسْلاَمُ وَذَلِكَ الْعَمُودُ عَمُودُ الإِسْلاَمِ وَتِلْكَ الْعُرْوَةُ عُرْوَةُ الْوُثْقَى وَأَنْتَ عَلَى الإِسْلاَمِ حَتَّى تَمُوتَ " . قَالَ وَالرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ৬১৫৭ | মুসলিম বাংলা