আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬১৪২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৬-২
- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
২৯. জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৪২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে জারীর! তুমি কি আমাকে খাছ’আম গোত্রের গৃহ (প্রতিমা মন্দির) যুলখালাসা থেকে চিন্তা মুক্ত করবে না? যেটিকে ইয়ামানী কাবাও বলা হত। জারীর বলেন, আমি দেড়শ অশ্বারোহীসহ সেদিকে রওয়ানা হলাম। আমি অশ্বপৃষ্ঠে স্থিরভাবে থাকতে পারতাম না। আমি এই বিষয়টি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি আমার বুকে তাঁর হাত মারলেন এবং দুআ করলেনঃ اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا “হে আল্লাহ! তাকে (অশ্বপৃষ্ঠে) স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।”
রাবী বলেন, এরপর তিনি চলে গেলেন এবং সেটি (যুলখালাসা মন্দির) আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। তারপর জারীর (রাযিঃ) আমাদের মধ্যে থেকে আবু আরতাত (রাযিঃ) নামে এক ব্যক্তিকে সুসংবাদ পৌঁছানোর জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পাঠালেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে তাঁকে বললেন, আমরা যুলখালাসাকে পাঁচড়ার কারণে আলকাতরার প্রলেপযুক্ত (কালো) উটের মত করে দিয়ে আপনার কাছে এসেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহমাস’ এর ঘোড়া সওয়ার ও পদাতিকদের জন্য পাঁচবার বরকতের দুআ করলেন।
রাবী বলেন, এরপর তিনি চলে গেলেন এবং সেটি (যুলখালাসা মন্দির) আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। তারপর জারীর (রাযিঃ) আমাদের মধ্যে থেকে আবু আরতাত (রাযিঃ) নামে এক ব্যক্তিকে সুসংবাদ পৌঁছানোর জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে পাঠালেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে তাঁকে বললেন, আমরা যুলখালাসাকে পাঁচড়ার কারণে আলকাতরার প্রলেপযুক্ত (কালো) উটের মত করে দিয়ে আপনার কাছে এসেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহমাস’ এর ঘোড়া সওয়ার ও পদাতিকদের জন্য পাঁচবার বরকতের দুআ করলেন।
كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم
باب مِنْ فَضَائِلِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضى الله تعالى عنه
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ، بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا جَرِيرُ أَلاَ تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ " . بَيْتٍ لِخَثْعَمَ كَانَ يُدْعَى كَعْبَةَ الْيَمَانِيَةِ . قَالَ فَنَفَرْتُ فِي خَمْسِينَ وَمِائَةِ فَارِسٍ وَكُنْتُ لاَ أَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبَ يَدَهُ فِي صَدْرِي فَقَالَ " اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا " . قَالَ فَانْطَلَقَ فَحَرَّقَهَا بِالنَّارِ ثُمَّ بَعَثَ جَرِيرٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يُبَشِّرُهُ يُكْنَى أَبَا أَرْطَاةَ مِنَّا فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ مَا جِئْتُكَ حَتَّى تَرَكْنَاهَا كَأَنَّهَا جَمَلٌ أَجْرَبُ . فَبَرَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى خَيْلِ أَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ .