আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬১৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৩-৩
২৮. আবু যর (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৩৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না আনাযী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু যর (রাযিঃ) বলেছেন , হে ভ্রাতুষ্পুত্র! নবী (ﷺ) এর আবির্ভাবের পূর্বে আমি দুই বছর নামায আদায় করেছি। রাবী বললেন, আমি বললাম, আপনি কোন দিকে মুখ করতেন। তিনি [আবু যর (রাযিঃ)] বললেন, আল্লাহ যে দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে দিতেন সেদিকে। ...... এরপর তিনি সুলাইমান ইবনে মুগীরা (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
আর তিনি হাদীসে বলেছেন, এরপর (কাব্য রচনায় শ্রেষ্ঠত্বের বাজি ধরেন) উভয়ে এক জ্যোতিষীর কাছে গেলেন। তিনি [আবু যর (রাযিঃ)] বলেন, আমার ভাই উনায়স কবিতায় এই জ্যোতিষীর প্রশংসা করতে লাগল, অবশেষে প্রতিপক্ষের উপর জয়ী হল। রাবী বলেন, তারপর আমরা তার পশুগুলো নিলাম এবং আমাদের পশুগুলোর সাথে মিলিয়ে ফেললাম।
তিনি তার হাদীসে আরও বলেছেন, তারপর নবী (ﷺ) আসলেন এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। এরপর মাকামে ইবরাহীম এর পিছনে দু’রাক'আত নামায আদায় করলেন। তিনি [আবু যর (রাযিঃ)] বলেন, আমি তাঁর [নবী (ﷺ)] এর নিকট এলাম এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে তাঁকে ইসলামী নিয়মে সালাম করলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, আস সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! (হে আল্লাহর রাসূল আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক!) তিনি [নবী (ﷺ)] বললেন, ‘ওয়া আলাইকাস সালাম’ (তোমার প্রতিও সালাম বর্ষিত হোক)। তুমি কে?
তার বর্ণিত হাদীসে আরও আছে যে, তারপর তিনি বললেন, তুমি এখানে কতদিন যাবৎ আছ? আমি বললাম, পনের (দিন) ধরে অবস্থান করছি। এই হাদীসে আরও আছে, তারপর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন , তাঁকে এক রাত্রির মেহমানদারীর সুযোগ আমাকে দিন।
আর তিনি হাদীসে বলেছেন, এরপর (কাব্য রচনায় শ্রেষ্ঠত্বের বাজি ধরেন) উভয়ে এক জ্যোতিষীর কাছে গেলেন। তিনি [আবু যর (রাযিঃ)] বলেন, আমার ভাই উনায়স কবিতায় এই জ্যোতিষীর প্রশংসা করতে লাগল, অবশেষে প্রতিপক্ষের উপর জয়ী হল। রাবী বলেন, তারপর আমরা তার পশুগুলো নিলাম এবং আমাদের পশুগুলোর সাথে মিলিয়ে ফেললাম।
তিনি তার হাদীসে আরও বলেছেন, তারপর নবী (ﷺ) আসলেন এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। এরপর মাকামে ইবরাহীম এর পিছনে দু’রাক'আত নামায আদায় করলেন। তিনি [আবু যর (রাযিঃ)] বলেন, আমি তাঁর [নবী (ﷺ)] এর নিকট এলাম এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে তাঁকে ইসলামী নিয়মে সালাম করলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, আস সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! (হে আল্লাহর রাসূল আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক!) তিনি [নবী (ﷺ)] বললেন, ‘ওয়া আলাইকাস সালাম’ (তোমার প্রতিও সালাম বর্ষিত হোক)। তুমি কে?
তার বর্ণিত হাদীসে আরও আছে যে, তারপর তিনি বললেন, তুমি এখানে কতদিন যাবৎ আছ? আমি বললাম, পনের (দিন) ধরে অবস্থান করছি। এই হাদীসে আরও আছে, তারপর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন , তাঁকে এক রাত্রির মেহমানদারীর সুযোগ আমাকে দিন।
باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي ذَرٍّ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ يَا ابْنَ أَخِي صَلَّيْتُ سَنَتَيْنِ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قُلْتُ فَأَيْنَ كُنْتَ تَوَجَّهُ قَالَ حَيْثُ وَجَّهَنِيَ اللَّهُ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَتَنَافَرَا إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْكُهَّانِ . قَالَ فَلَمْ يَزَلْ أَخِي أُنَيْسٌ يَمْدَحُهُ حَتَّى غَلَبَهُ - قَالَ - فَأَخَذْنَا صِرْمَتَهُ فَضَمَمْنَاهَا إِلَى صِرْمَتِنَا . وَقَالَ أَيْضًا فِي حَدِيثِهِ قَالَ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَلْفَ الْمَقَامِ - قَالَ - فَأَتَيْتُهُ فَإِنِّي لأَوَّلُ النَّاسِ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ الإِسْلاَمِ - قَالَ - قُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ مَنْ أَنْتَ " . وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا فَقَالَ " مُنْذُ كَمْ أَنْتَ هَا هُنَا " . قَالَ قُلْتُ مُنْذُ خَمْسَ عَشْرَةَ . وَفِيهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَتْحِفْنِي بِضِيَافَتِهِ اللَّيْلَةَ .


বর্ণনাকারী: