আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬০৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪২-২
১৩. আয়িশা (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬০৭২। হাসান ইবনে আলী আল হুলওয়ানী, আবু বকর ইবনে নযর ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) স্ত্রী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণ রাসুল তনয়া ফাতিমাকে তাঁর কাছে পঠালেন। সে এসে অনুমতি চাইলো। তিনি তখন আমার চাদর গায়ে, আমার সাথে শোয়া ছিলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার বিবিগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, আবু কুহাফার কন্যার (আয়িশা) ব্যাপারে তাঁরা আপনার সুবিচার চান। আমি চুপ করে রইলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেনঃ হে স্নেহের মেয়ে! আমি যা ভালবাসি, তা কি তুমি ভালবাস না? সে বলল, হ্যাঁ, অবশ্যই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে একে ভালবাসো।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ কথা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) স্ত্রীদের কাছে ফিরে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাঁকে যা উত্তর দিয়েছেন, তা তাঁদেরকে বললেন। তারা বললেনঃ তুমি আমাদের কোন উপকার করতে পারলে না। তুমি আবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে বল, আপনার বিবিগণ আবু কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে আপনার কাছে সুবিচার চাচ্ছে। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! তার ব্যাপারে আমি কোনদিন তার সাথে কথা বলতে যাবো না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণনবী (ﷺ) এর (অন্যতম) স্ত্রী যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) তাঁর কাছে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চোখে তিনি ছিলেন আমার সমপর্যায়ের। যয়নাবের চেয়ে দ্বীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিনী, মায়ামযী, দানশীনা এবং আল্লাহর নৈকট্যলাভের পথে ও দান-খয়রাতের জন্যে নিজেকে শক্তভাবে ব্যবহার করার মত কোন মহিলা আমি দেখি নি। তবে তাঁর মাঝে শুধু একটা হঠাৎ ক্ষিপ্ততা ছিল, এটা থেকেও তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যেতেন।
তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে অনুমতি চাইলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চাঁদরে আবৃত থাকা অবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমা (রাযিঃ) তার কাছে এসেছিল। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার বিবিগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবু কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে তাঁরা আপনার সুবিচার চান।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে এলেন এবং কিছু বড় বড় কথা বললেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দিবেন কিনা? আমি বুঝতে পারলাম যে, যয়নাবের কথার উত্তর দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তিনি বলেন, তখন আমিও তাঁর উপর কথা বলতে লাগলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে চুপ করিয়ে দিলাম। তিনি বলেন, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেসে বললেনঃ এটা তো আবু বকরের মেয়ে (না)।
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুহযায (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে এর সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ″যখন আমিও তাঁর সাথে কথা বলা শুরু করলাম তখন অল্প সময়েই তাকে পরাভূত করে দিলাম″ বলেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ কথা শুনে ফাতিমা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) স্ত্রীদের কাছে ফিরে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাঁকে যা উত্তর দিয়েছেন, তা তাঁদেরকে বললেন। তারা বললেনঃ তুমি আমাদের কোন উপকার করতে পারলে না। তুমি আবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে বল, আপনার বিবিগণ আবু কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে আপনার কাছে সুবিচার চাচ্ছে। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! তার ব্যাপারে আমি কোনদিন তার সাথে কথা বলতে যাবো না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণনবী (ﷺ) এর (অন্যতম) স্ত্রী যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাযিঃ) তাঁর কাছে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চোখে তিনি ছিলেন আমার সমপর্যায়ের। যয়নাবের চেয়ে দ্বীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিনী, মায়ামযী, দানশীনা এবং আল্লাহর নৈকট্যলাভের পথে ও দান-খয়রাতের জন্যে নিজেকে শক্তভাবে ব্যবহার করার মত কোন মহিলা আমি দেখি নি। তবে তাঁর মাঝে শুধু একটা হঠাৎ ক্ষিপ্ততা ছিল, এটা থেকেও তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যেতেন।
তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে অনুমতি চাইলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চাঁদরে আবৃত থাকা অবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমা (রাযিঃ) তার কাছে এসেছিল। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার বিবিগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবু কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে তাঁরা আপনার সুবিচার চান।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে এলেন এবং কিছু বড় বড় কথা বললেন। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দিবেন কিনা? আমি বুঝতে পারলাম যে, যয়নাবের কথার উত্তর দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তিনি বলেন, তখন আমিও তাঁর উপর কথা বলতে লাগলাম এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে চুপ করিয়ে দিলাম। তিনি বলেন, পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেসে বললেনঃ এটা তো আবু বকরের মেয়ে (না)।
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুহযায (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে এর সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ″যখন আমিও তাঁর সাথে কথা বলা শুরু করলাম তখন অল্প সময়েই তাকে পরাভূত করে দিলাম″ বলেছেন।
باب فِي فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله تعالى عنها
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ مَعِي فِي مِرْطِي فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَأَنَا سَاكِتَةٌ - قَالَتْ - فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَىْ بُنَيَّةُ أَلَسْتِ تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ " . فَقَالَتْ بَلَى . قَالَ " فَأَحِبِّي هَذِهِ " . قَالَتْ فَقَامَتْ فَاطِمَةُ حِينَ سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعَتْ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُنَّ بِالَّذِي قَالَتْ وَبِالَّذِي قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَ لَهَا مَا نُرَاكِ أَغْنَيْتِ عَنَّا مِنْ شَىْءٍ فَارْجِعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولِي لَهُ إِنَّ أَزْوَاجَكَ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . فَقَالَتْ فَاطِمَةُ وَاللَّهِ لاَ أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا . قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْهُنَّ فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ أَرَ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ وَأَتْقَى لِلَّهِ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ صَدَقَةً وَأَشَدَّ ابْتِذَالاً لِنَفْسِهَا فِي الْعَمَلِ الَّذِي تَصَدَّقُ بِهِ وَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حَدٍّ كَانَتْ فِيهَا تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَتْ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا عَلَى الْحَالَةِ الَّتِي دَخَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا وَهُوَ بِهَا فَأَذِنَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . قَالَتْ ثُمَّ وَقَعَتْ بِي فَاسْتَطَالَتْ عَلَىَّ وَأَنَا أَرْقُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَرْقُبُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي فِيهَا - قَالَتْ - فَلَمْ تَبْرَحْ زَيْنَبُ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ - قَالَتْ - فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا حِينَ أَنْحَيْتُ عَلَيْهَا - قَالَتْ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَبَسَّمَ " إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ " .
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِيهِ عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ فِي الْمَعْنَى غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا أَنْ أَثْخَنْتُهَا غَلَبَةً .
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِيهِ عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ فِي الْمَعْنَى غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا أَنْ أَثْخَنْتُهَا غَلَبَةً .
