আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৫৯৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০২-১
৩. উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর ফযীলত
৫৯৯৩। আব্দুল মালিক ইবনে শুআয়ব ইবনে লাইস ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনুল আস নবী (ﷺ) এর স্ত্রী আয়িশা ও উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন নিজের বিছানায় আয়িশার চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে ছিলেন। তিনি আবু বকরকে অনুমতি দিলেন। আর তিনি এ অবস্থায়ই রইলেন। আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর প্রয়োজনে শেষ করে চলে গেলেন। এরপর উমর (রাযিঃ) অনুমতি চাইলে তাঁকে অনুমতি দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ অবস্থায়ই রইলেন। উমর (রাযিঃ) তাঁর কাজ সেরে চলে গেলেন।
উসমান (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি অনুমতি চাইলাম, তিনি উঠে বসে পড়লেন এবং আমাকে বললেন, ভালোমতো তোমার গায়ে কাপড় ঠিক করে নাও। আমি আমার কাজ শেষ করে চলে গেলে আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কি ব্যাপার, আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এলে আপনাকে এমন ব্যতিব্যস্ত হতে দেখলাম না, যেমন উসমান আসতেই আপনি ব্যতিব্যস্ত হলেন! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ উসমান (রাযিঃ) বড়ই লাজুক পুরুষ। তাই আমি ভাবলাম, এ অবস্থায় তাকে আসতে বললে হয়ত সে তার প্রয়োজন আমার কাছে পেশ করতে পারবে না।
উসমান (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি অনুমতি চাইলাম, তিনি উঠে বসে পড়লেন এবং আমাকে বললেন, ভালোমতো তোমার গায়ে কাপড় ঠিক করে নাও। আমি আমার কাজ শেষ করে চলে গেলে আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কি ব্যাপার, আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) এলে আপনাকে এমন ব্যতিব্যস্ত হতে দেখলাম না, যেমন উসমান আসতেই আপনি ব্যতিব্যস্ত হলেন! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ উসমান (রাযিঃ) বড়ই লাজুক পুরুষ। তাই আমি ভাবলাম, এ অবস্থায় তাকে আসতে বললে হয়ত সে তার প্রয়োজন আমার কাছে পেশ করতে পারবে না।
باب مِنْ فَضَائِلِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ، بْنُ خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعُثْمَانَ حَدَّثَاهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ اسْتَأْذَنَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ لاَبِسٌ مِرْطَ عَائِشَةَ فَأَذِنَ لأَبِي بَكْرٍ وَهُوَ كَذَلِكَ فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ ثُمَّ اسْتَأْذَنَ عُمَرُ فَأَذِنَ لَهُ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَقَضَى إِلَيْهِ حَاجَتَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ . قَالَ عُثْمَانُ ثُمَّ اسْتَأْذَنْتُ عَلَيْهِ فَجَلَسَ وَقَالَ لِعَائِشَةَ " اجْمَعِي عَلَيْكِ ثِيَابَكِ " . فَقَضَيْتُ إِلَيْهِ حَاجَتِي ثُمَّ انْصَرَفْتُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لِي لَمْ أَرَكَ فَزِعْتَ لأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا كَمَا فَزِعْتَ لِعُثْمَانَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ عُثْمَانَ رَجُلٌ حَيِيٌّ وَإِنِّي خَشِيتُ إِنْ أَذِنْتُ لَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ أَنْ لاَ يَبْلُغَ إِلَىَّ فِي حَاجَتِهِ " .
