আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৬- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭৩-২
৪০. মুসা (আলাইহিস সালাম) এর ফযীলত
৫৯৩৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, এক ইয়াহুদী কিছু মাল বিক্রি করছিল, মূল্য বলা হলে সে তা অপছন্দ করল অথবা তাতে সন্তুষ্ট হলো না, অথবা এটাকে খারাপ মনে করল। বলল, না হবে না, তাঁর শপথ যিনি মুসা (আলাইহিস সালাম) কে মানুষদের জন্য মনোনীত করেছেন। এ কথা এক আনসারী শুনতে পেয়ে ইয়াহুদীর মুখে একটি থাপ্পড় মারলেন এবং বললেন, তুই বলিস, মুসা (আলাইহিস সালাম) কে লোকদের ভেতর হতে মনোনীত করেছেন অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদ্যমান রয়েছেন! ঐ ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, হে আবুল কাসিম! আমি যিম্মী এবং (মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত) চুক্তিবদ্ধ। আমাকে অমুক ব্যক্তি থাপ্পড় মেরেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি তার মুখে থাপ্পড় দিলে? আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে বলেছে, যিনি মানুষের মাঝে মুসা (আলাইহিস সালাম) কে মনোনীত করেছেন। অথচ আপনি আমাদের মাঝে রয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুব রাগাম্বিত হলেন। রাগের চিহ্ন তাঁর চেহারায় ফুটে উঠলো। বললেনঃ নবীদের মধ্যে একজনকে অপরজনের উপর মর্যাদা দিও না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, তখন আসমান ও যমীনের সবাই বেহুশ হয়ে পড়বে শুধু আল্লাহ যাদের চাইবেন তাঁরা ছাড়া। পরে দ্বিতীয়বার যখন ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম উপস্থিত হব এবং দেখতে পাব যে, মুসা (আলাইহিস সালাম) আরশ ধরে রয়েছেন। আমার জানা নেই যে, তুর পাহাড়ে তাঁর বেহুশ হওয়াটাই হিসাব করা হয়েছে (যা তার এখনকার বেহুশ না হওয়ার কারণ), না আমার আগেই তাঁকে হুশ দান করা হয়েছে? আর আমি এ কথাও বলি না যে, কোনো পয়গাম্বর ইউনূস ইবনে মাত্তা (আলাইহিস সালাম) এর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান।
মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি তার মুখে থাপ্পড় দিলে? আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে বলেছে, যিনি মানুষের মাঝে মুসা (আলাইহিস সালাম) কে মনোনীত করেছেন। অথচ আপনি আমাদের মাঝে রয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুব রাগাম্বিত হলেন। রাগের চিহ্ন তাঁর চেহারায় ফুটে উঠলো। বললেনঃ নবীদের মধ্যে একজনকে অপরজনের উপর মর্যাদা দিও না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, তখন আসমান ও যমীনের সবাই বেহুশ হয়ে পড়বে শুধু আল্লাহ যাদের চাইবেন তাঁরা ছাড়া। পরে দ্বিতীয়বার যখন ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম উপস্থিত হব এবং দেখতে পাব যে, মুসা (আলাইহিস সালাম) আরশ ধরে রয়েছেন। আমার জানা নেই যে, তুর পাহাড়ে তাঁর বেহুশ হওয়াটাই হিসাব করা হয়েছে (যা তার এখনকার বেহুশ না হওয়ার কারণ), না আমার আগেই তাঁকে হুশ দান করা হয়েছে? আর আমি এ কথাও বলি না যে, কোনো পয়গাম্বর ইউনূস ইবনে মাত্তা (আলাইহিস সালাম) এর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান।
মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ مُوسَى صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا يَهُودِيٌّ يَعْرِضُ سِلْعَةً لَهُ أُعْطِيَ بِهَا شَيْئًا كَرِهَهُ أَوْ لَمْ يَرْضَهُ - شَكَّ عَبْدُ الْعَزِيزِ - قَالَ لاَ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ . قَالَ فَسَمِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَطَمَ وَجْهَهُ - قَالَ - تَقُولُ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَالَ فَذَهَبَ الْيَهُودِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ لِي ذِمَّةً وَعَهْدًا . وَقَالَ فُلاَنٌ لَطَمَ وَجْهِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِمَ لَطَمْتَ وَجْهَهُ " . قَالَ . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ وَأَنْتَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا . قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى عُرِفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ " لاَ تُفَضِّلُوا بَيْنَ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَيَصْعَقُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ - قَالَ - ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ أَوْ فِي أَوَّلِ مَنْ بُعِثَ فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ آخِذٌ بِالْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَحُوسِبَ بِصَعْقَتِهِ يَوْمَ الطُّورِ أَوْ بُعِثَ قَبْلِي وَلاَ أَقُولُ إِنَّ أَحَدًا أَفْضَلُ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى عَلَيْهِ السَّلاَمُ " .
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ سَوَاءً .
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ سَوَاءً .
