আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪৬- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯৩২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭১
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯৩২। আবু তাহির (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নবী ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কখনো মিথ্যা বলেন নি; তিনবার (রূপক মিথ্যা) ব্যতীত। দু’বার আল্লাহ সস্পর্কিত। একবার তো তিনি বলেছিলেন, আমি অসুস্থ আর তাঁর কথা, ″বরং এদের বড়টাই একাজ করেছে″ (মূর্তি ভেঙ্গেছে)। আরেকটা ’সারা’ সম্পর্কে। যখন তিনি এক অত্যাচারীর দেশে গিয়েছিলেন, (স্ত্রী) সারাও সঙ্গে ছিলেন। সারা ছিলেন সেরা সুন্দরী। তখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সারাকে বললেন, এ অত্যাচারী রাজা যদি জানতে পারে যে, তুমি আমার স্ত্রী, তবে তোমাকে ছিনিয়ে নেবে। কাজেই তোমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, তুমি বলবে যে, তুমি আমার বোন। ইসলামের দিক দিয়ে তুমি তো আমার বোনই হও। কেননা তুমি আর আমি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম আছে বলে আমার জানা নেই।
যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সে অত্যাচারীর দেশে পৌছলেন, তখন রাজার লোকজন তাঁর কাছে নারীকে দেখতে পেয়ে রাজার কাছে এসে বলল, আপনার দেশে এমন একজন স্ত্রীলোক এসেছে, আপনিই শুধু তার উপযুক্ত। রাজা সারাকে ডেকে পাঠালে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। সারা যখন রাজার কাছে পৌছলেন, সে সম্মোহিতের মত সারার দিকে হাত বাড়াতেই তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এটে গেলো। রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে যাওয়ার জন্য দুআ কর, আমি তোমাকে বিরক্ত করবো না। তিনি দুআ করলেন।
পুনরায় সে হাত বাড়াল, তখন প্রথম মুষ্টির চেয়ে অধিক শক্ত হয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। সারাকে সে আগের মতই বললো। তিনি দুআ করলেন। পুনরায় সে হাত বাড়াল। তখন প্রথম দুবারের চেয়ে আরো অধিক কঠিনভাবে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেলো। তখন রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে দেয়ার জন্য দুআ কর। আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি উত্যক্ত করব না। তিনি দুআ করলেন। তার হাত খুলে গেলো।
তখন সে ঐ লোকটিকে ডাকলো যে সারাকে এনেছিলো। বললো, তুই তো আমার কাছে শয়তান নিয়ে এসেছিস, মানুষ আনিস নি। একে আমার দেশ থেকে বের করে দে। সাথে হাজেরাকে দিয়ে দে। বর্ণনাকারী বলেন, সারা এগিয়ে চললেন। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁদের দেখে এগিয়ে এলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি খবর? তিনি বললেন, ভালোই আল্লাহ তাআলা আমার উপর থেকে পাপাচারীর হাতকে ফিরিয়ে রেখেছেন। আর একটা সেবিকাও দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এই (সেবিকাই) তোমাদের মা, হে আসমানের [ কুদরতী ] পানির সন্তানেরা!
যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সে অত্যাচারীর দেশে পৌছলেন, তখন রাজার লোকজন তাঁর কাছে নারীকে দেখতে পেয়ে রাজার কাছে এসে বলল, আপনার দেশে এমন একজন স্ত্রীলোক এসেছে, আপনিই শুধু তার উপযুক্ত। রাজা সারাকে ডেকে পাঠালে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। সারা যখন রাজার কাছে পৌছলেন, সে সম্মোহিতের মত সারার দিকে হাত বাড়াতেই তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এটে গেলো। রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে যাওয়ার জন্য দুআ কর, আমি তোমাকে বিরক্ত করবো না। তিনি দুআ করলেন।
পুনরায় সে হাত বাড়াল, তখন প্রথম মুষ্টির চেয়ে অধিক শক্ত হয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। সারাকে সে আগের মতই বললো। তিনি দুআ করলেন। পুনরায় সে হাত বাড়াল। তখন প্রথম দুবারের চেয়ে আরো অধিক কঠিনভাবে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেলো। তখন রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে দেয়ার জন্য দুআ কর। আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি উত্যক্ত করব না। তিনি দুআ করলেন। তার হাত খুলে গেলো।
তখন সে ঐ লোকটিকে ডাকলো যে সারাকে এনেছিলো। বললো, তুই তো আমার কাছে শয়তান নিয়ে এসেছিস, মানুষ আনিস নি। একে আমার দেশ থেকে বের করে দে। সাথে হাজেরাকে দিয়ে দে। বর্ণনাকারী বলেন, সারা এগিয়ে চললেন। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁদের দেখে এগিয়ে এলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি খবর? তিনি বললেন, ভালোই আল্লাহ তাআলা আমার উপর থেকে পাপাচারীর হাতকে ফিরিয়ে রেখেছেন। আর একটা সেবিকাও দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এই (সেবিকাই) তোমাদের মা, হে আসমানের [ কুদরতী ] পানির সন্তানেরা!
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَطُّ إِلاَّ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ ثِنْتَيْنِ فِي ذَاتِ اللَّهِ قَوْلُهُ ( إِنِّي سَقِيمٌ) . وَقَوْلُهُ ( بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا) وَوَاحِدَةً فِي شَأْنِ سَارَةَ فَإِنَّهُ قَدِمَ أَرْضَ جَبَّارٍ وَمَعَهُ سَارَةُ وَكَانَتْ أَحْسَنَ النَّاسِ فَقَالَ لَهَا إِنَّ هَذَا الْجَبَّارَ إِنْ يَعْلَمْ أَنَّكِ امْرَأَتِي يَغْلِبْنِي عَلَيْكِ فَإِنْ سَأَلَكِ فَأَخْبِرِيهِ أَنَّكِ أُخْتِي فَإِنَّكِ أُخْتِي فِي الإِسْلاَمِ فَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ فِي الأَرْضِ مُسْلِمًا غَيْرِي وَغَيْرَكِ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْضَهُ رَآهَا بَعْضُ أَهْلِ الْجَبَّارِ أَتَاهُ فَقَالَ لَهُ لَقَدْ قَدِمَ أَرْضَكَ امْرَأَةٌ لاَ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تَكُونَ إِلاَّ لَكَ . فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَأُتِيَ بِهَا فَقَامَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ لَمْ يَتَمَالَكْ أَنْ بَسَطَ يَدَهُ إِلَيْهَا فَقُبِضَتْ يَدُهُ قَبْضَةً شَدِيدَةً فَقَالَ لَهَا ادْعِي اللَّهَ أَنْ يُطْلِقَ يَدِي وَلاَ أَضُرُّكِ . فَفَعَلَتْ فَعَادَ فَقُبِضَتْ أَشَدَّ مِنَ الْقَبْضَةِ الأُولَى فَقَالَ لَهَا مِثْلَ ذَلِكَ فَفَعَلَتْ فَعَادَ فَقُبِضَتْ أَشَدَّ مِنَ الْقَبْضَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ فَقَالَ ادْعِي اللَّهَ أَنْ يُطْلِقَ يَدِي فَلَكِ اللَّهَ أَنْ لاَ أَضُرَّكِ . فَفَعَلَتْ وَأُطْلِقَتْ يَدُهُ وَدَعَا الَّذِي جَاءَ بِهَا فَقَالَ لَهُ إِنَّكَ إِنَّمَا أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ وَلَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ فَأَخْرِجْهَا مِنْ أَرْضِي وَأَعْطِهَا هَاجَرَ . قَالَ فَأَقْبَلَتْ تَمْشِي فَلَمَّا رَآهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ انْصَرَفَ فَقَالَ لَهَا مَهْيَمْ قَالَتْ خَيْرًا كَفَّ اللَّهُ يَدَ الْفَاجِرِ وَأَخْدَمَ خَادِمًا . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَتِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِي مَاءِ السَّمَاءِ .
