আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১৯- জানাযার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৬
৮৬৭. মুনাফিকদের জানাযার নামায আদায় করা এবং মুশরিকদের জন্য মাগফিরাত কামনা করা মাকরূহ হওয়া।
(আব্দুল্লাহ্) ইবনে উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে বিষয়টি রিওয়ায়াত করেছেন।
১২৮২। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মুনাফিক সর্দার) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূল* মারা গেলে তার জানাযার নামাযের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আহবান করা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে) দাঁড়ালে আমি দ্রুত তাঁর কাছে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি ইবনে উবাই-এর জানাযার নামায আদায় করতে যাচ্ছেন? অথচ সে অমুক অমুক দিন (আপনার শানে এবং ঈমানদারদের সম্পর্কে) এই এই কথা বলেছে। এ বলে আমি তার উক্তিগুলো গুণেগুণে পুনরাবৃত্তি করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, উমর, সরে যাও! আমি বারবার আপত্তি করলে তিনি বললেন, আমাকে (তার নামায আদায় করার ব্যাপারে) ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমি তা গ্রহণ করলাম। আমি যদি জানতাম যে, সত্তর বারের অধিক মাগফিরাত কামনা করলে তাকে মাফ করা হবে তা হলে আমি অবশ্যই তার চাইতে অধিক বার মাফ চাইতাম।
উমর (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জানাযার নামায আদায় করেন এবং ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সূরা বারাআতের এ দু’টি আয়াত নাযিল হলঃ وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا... وَهُمْ فَاسِقُونَ তাদের কেউ মারা গেলে আপনি কখনো তার জানাযার নামায আদায় করবেন না...... এমতাবস্থায় যে তারা ফাসিক। (সূরা তাওবাঃ ৮৪)
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে আমার ঐদিনের দুঃসাহসিক আচরণ করায় আমি বিস্মিত হয়েছি। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই সমধিক অবগত।

* মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ‌র পিতার নাম ছিল উবাই, আর মাতার নাম ছিল সালূল। তাই তাকে ইবনে সালূলও বলা হত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন