আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪১- চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৫৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২২১-১
৩২. সংক্রমন, কুলক্ষণ, পাখির (পেঁচার) কুলক্ষণ, ক্ষুধায় পেট কামড়ানো পোকা, নক্ষত্র প্রভাবে বর্ষণ ও পথ বিভ্রমের ভুত-প্রেতের অস্তিত্ব নেই এবং অসুস্থ উটের মালিক তার উট সুস্থ উটের নিকট আনবে না
৫৫৯৭। আবু তাহির ও হারামালা (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সংক্রমণ (-এর অস্তিত্ব) নেই। তিনি আরও হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ অসুস্থ উটপালের মালিক (অসুস্থ উটগুলিকে) সুস্থ উটপালের মালিকের (উটের) কাছে আনবে না। আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এ দুটি হাদীস রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করতেন। পরে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর (প্রথম হাদীসের) ‘সংক্রমণ ...... নেই’ বলা থেকে নীরব থাকেন এবং অসুস্থ উটপালের মালিক সুস্থ উটপালের মালিকের কাছে আনবেনা এর বর্ণনায় দৃঢ় থাকেন।
রাবী বলেনঃ (একদিন) হারিস ইবনে আবু যুবাব (রাহঃ), তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর চাচাত ভাই, বললেন, হে আবু হুরায়রা! আমি তে শুনতে পেতাম যে, আপনি এ হাদীসের সাথে আরও একটি হাদীস আমাদের কাছে রিওয়ায়াত করতেন যা বর্ণনায় আপনি এখন নীরব থাকছেন। আপনি বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সংক্রমণ ...... নেই। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তা মেনে নিতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, অসুস্থ পালের মালিক সুস্থপালের মালিকের কাছে নিয়ে যাবে না। তখন হারিস (রাহঃ) এ ব্যাপারে তাঁর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলেন। ফলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাগাম্বিত হয়ে হাবশী ভাষায় কিছু বললেন।
তিনি হাবিস (রাহঃ) কে বললেন, তুমি কি বুঝতে পেরেছো, আমি কি বলেছি? তিনি বললেন, না। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, আমি বলেছি, আমি অস্বীকার করছি। আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আমার জীবনের শপথ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) অবশ্যই আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ’সংক্রমণ ...... নেই’। এখন আমি জানি না যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ভুলে গেলেন, নাকি একটি অপরটিকে (মানসূখ) রহিত করে দিয়েছে।
রাবী বলেনঃ (একদিন) হারিস ইবনে আবু যুবাব (রাহঃ), তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর চাচাত ভাই, বললেন, হে আবু হুরায়রা! আমি তে শুনতে পেতাম যে, আপনি এ হাদীসের সাথে আরও একটি হাদীস আমাদের কাছে রিওয়ায়াত করতেন যা বর্ণনায় আপনি এখন নীরব থাকছেন। আপনি বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সংক্রমণ ...... নেই। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তা মেনে নিতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, অসুস্থ পালের মালিক সুস্থপালের মালিকের কাছে নিয়ে যাবে না। তখন হারিস (রাহঃ) এ ব্যাপারে তাঁর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলেন। ফলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) রাগাম্বিত হয়ে হাবশী ভাষায় কিছু বললেন।
তিনি হাবিস (রাহঃ) কে বললেন, তুমি কি বুঝতে পেরেছো, আমি কি বলেছি? তিনি বললেন, না। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, আমি বলেছি, আমি অস্বীকার করছি। আবু সালামা (রাহঃ) বলেন, আমার জীবনের শপথ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) অবশ্যই আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ’সংক্রমণ ...... নেই’। এখন আমি জানি না যে, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) ভুলে গেলেন, নাকি একটি অপরটিকে (মানসূখ) রহিত করে দিয়েছে।
باب لا عدوى، ولا طيرة، ولا هامة، ولا صفر، ولا نوء، ولا غول، ولا يورد ممرض على مصح
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى " . وَيُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ " .
قَالَ أَبُو سَلَمَةَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُهُمَا كِلْتَيْهِمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ " لاَ عَدْوَى " . وَأَقَامَ عَلَى " أَنْ لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ " . قَالَ فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ذُبَابٍ - وَهُوَ ابْنُ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ - قَدْ كُنْتُ أَسْمَعُكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ تُحَدِّثَنَا مَعَ هَذَا الْحَدِيثِ حَدِيثًا آخَرَ قَدْ سَكَتَّ عَنْهُ كُنْتَ تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ عَدْوَى " . فَأَبَى أَبُو هُرَيْرَةَ أَنْ يَعْرِفَ ذَلِكَ وَقَالَ " لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ " . فَمَا رَآهُ الْحَارِثُ فِي ذَلِكَ حَتَّى غَضِبَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَرَطَنَ بِالْحَبَشِيَّةِ فَقَالَ لِلْحَارِثِ أَتَدْرِي مَاذَا قُلْتُ قَالَ لاَ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ . قُلْتُ أَبَيْتُ . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى " . فَلاَ أَدْرِي أَنَسِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَوْ نَسَخَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ الآخَرَ
قَالَ أَبُو سَلَمَةَ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُهُمَا كِلْتَيْهِمَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَمَتَ أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ قَوْلِهِ " لاَ عَدْوَى " . وَأَقَامَ عَلَى " أَنْ لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ " . قَالَ فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ذُبَابٍ - وَهُوَ ابْنُ عَمِّ أَبِي هُرَيْرَةَ - قَدْ كُنْتُ أَسْمَعُكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ تُحَدِّثَنَا مَعَ هَذَا الْحَدِيثِ حَدِيثًا آخَرَ قَدْ سَكَتَّ عَنْهُ كُنْتَ تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ عَدْوَى " . فَأَبَى أَبُو هُرَيْرَةَ أَنْ يَعْرِفَ ذَلِكَ وَقَالَ " لاَ يُورِدُ مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ " . فَمَا رَآهُ الْحَارِثُ فِي ذَلِكَ حَتَّى غَضِبَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَرَطَنَ بِالْحَبَشِيَّةِ فَقَالَ لِلْحَارِثِ أَتَدْرِي مَاذَا قُلْتُ قَالَ لاَ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ . قُلْتُ أَبَيْتُ . قَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ عَدْوَى " . فَلاَ أَدْرِي أَنَسِيَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَوْ نَسَخَ أَحَدُ الْقَوْلَيْنِ الآخَرَ


বর্ণনাকারী: