আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪১- চিকিৎসা অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৫১৫
১৭. যাদু-টোনা
৫৫১৫। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লাবীদ ইবনে আ’সাম নামে বনু যুরায়ক গোত্রের এক ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে যাদু করল। তিনি বলেন, এ যাদুর ক্রিয়ায় এমনও হতো যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেয়াল হতো যে কোন (পার্থিব) বিষয় তিনি করছেন, অথচ (বাস্তবে) তিনি তা করছিলেন না। অবশেষে একদিনে অথবা এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেন; পূনরায় দুআ করলেন এবং পূনরায় দুআ করলেন। এরপর বললেন, হে আয়িশা, তুমি কি বুঝতে পেরেছো যে, আল্লাহ আমাকে সে বিষয়ে সমাধান দিয়েছেন, যে বিষয়ে আমি তার কাছে সমাধান চেয়েছিলাম? (তা এভাবে যে) (দুজন ফিরিশতা) দু’ব্যক্তি (রূপে) আমার কাছে এল। তাদের একজন আমার মাথার কাছে এবং অন্য জন আমার পায়ের কাছে বসল। তারপর আমার মাথার কাছের ব্যক্তি পায়ের কাছের ব্যক্তিকে কিংবা আমার পায়ের কাছের লোকটি আমার মাথার কাছের লোকটিকে বলল, লোকটির রোগ কি?
অপরজন বলল, যাদু গ্রস্ত। (প্রথমজন) বলল, কে তাকে যাদু করেছে? (দ্বিতীয়জন) বলল, লাবীদ ইবনে আ‘সাম। (প্রথমজন) বলল, কোন জিনিসে? (দ্বিতীয়জন) বলল (ভাঙ্গা) চিরুনী (আচড়ানোকালে চিরুণির সাথে) উঠা চুল, (আরও) বলল, নর খেজুরের ফুলের আবরণীতে। (প্রথমজন) বলল, তা কোথায়? (দ্বিতীয়জন) বলল- ‘যী-আরওয়ান কূপে’।
তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে গেলেন। এরপর (ফিরে এসে) বললেন, হে আয়িশা, আল্লাহর কসম! সে (কূপের) পানি যেন মেহেদীপাতা ভিজানো, (পানি)। আর সেখানকার খেজুর গাছ যেন শয়তানের মাথা। তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাহলে আপনি তা (জনসমক্ষে) পুড়ে ফেললেন না কেন? তিনি বললেন, না, (আমি তা সমীচিন মনে করিনি)। কারণ, আমাকে তো আল্লাহ আরোগ্য করেছেন আর মানুষকে কোন অকল্যাণে উত্তেজিত করা আমি অপছন্দ করি। আমি সে বিষয়ে হুকুম দিলে তা দাফন করে দেওয়া হয়েছে।
অপরজন বলল, যাদু গ্রস্ত। (প্রথমজন) বলল, কে তাকে যাদু করেছে? (দ্বিতীয়জন) বলল, লাবীদ ইবনে আ‘সাম। (প্রথমজন) বলল, কোন জিনিসে? (দ্বিতীয়জন) বলল (ভাঙ্গা) চিরুনী (আচড়ানোকালে চিরুণির সাথে) উঠা চুল, (আরও) বলল, নর খেজুরের ফুলের আবরণীতে। (প্রথমজন) বলল, তা কোথায়? (দ্বিতীয়জন) বলল- ‘যী-আরওয়ান কূপে’।
তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে গেলেন। এরপর (ফিরে এসে) বললেন, হে আয়িশা, আল্লাহর কসম! সে (কূপের) পানি যেন মেহেদীপাতা ভিজানো, (পানি)। আর সেখানকার খেজুর গাছ যেন শয়তানের মাথা। তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাহলে আপনি তা (জনসমক্ষে) পুড়ে ফেললেন না কেন? তিনি বললেন, না, (আমি তা সমীচিন মনে করিনি)। কারণ, আমাকে তো আল্লাহ আরোগ্য করেছেন আর মানুষকে কোন অকল্যাণে উত্তেজিত করা আমি অপছন্দ করি। আমি সে বিষয়ে হুকুম দিলে তা দাফন করে দেওয়া হয়েছে।
باب السِّحْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَحَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَهُودِيٌّ مِنْ يَهُودِ بَنِي زُرَيْقٍ يُقَالُ لَهُ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ - قَالَتْ - حَتَّى كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَفْعَلُ الشَّىْءَ وَمَا يَفْعَلُهُ حَتَّى إِذَا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَوْ ذَاتَ لَيْلَةٍ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ دَعَا ثُمَّ دَعَا ثُمَّ قَالَ " يَا عَائِشَةُ أَشَعَرْتِ أَنَّ اللَّهَ أَفْتَانِي فِيمَا اسْتَفْتَيْتُهُ فِيهِ جَاءَنِي رَجُلاَنِ فَقَعَدَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي وَالآخَرُ عِنْدَ رِجْلَىَّ . فَقَالَ الَّذِي عِنْدَ رَأْسِي لِلَّذِي عِنْدَ رِجْلَىَّ أَوِ الَّذِي عِنْدَ رِجْلَىَّ لِلَّذِي عِنْدَ رَأْسِي مَا وَجَعُ الرَّجُلِ قَالَ مَطْبُوبٌ . قَالَ مَنْ طَبَّهُ قَالَ لَبِيدُ بْنُ الأَعْصَمِ . قَالَ فِي أَىِّ شَىْءٍ قَالَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ . قَالَ وَجُبِّ طَلْعَةِ ذَكَرٍ . قَالَ فَأَيْنَ هُوَ قَالَ فِي بِئْرِ ذِي أَرْوَانَ " . قَالَتْ فَأَتَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ ثُمَّ قَالَ " يَا عَائِشَةُ وَاللَّهِ لَكَأَنَّ مَاءَهَا نُقَاعَةُ الْحِنَّاءِ وَلَكَأَنَّ نَخْلَهَا رُءُوسُ الشَّيَاطِينِ " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أَحْرَقْتَهُ قَالَ " لاَ أَمَّا أَنَا فَقَدْ عَافَانِي اللَّهُ وَكَرِهْتُ أَنْ أُثِيرَ عَلَى النَّاسِ شَرًّا فَأَمَرْتُ بِهَا فَدُفِنَتْ " .
