আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৪০- সালামের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭০-১
৭. মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য স্ত্রীলোকের বাইরে যাওয়ার বৈধতা
৫৪৮২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আমাদের উপরে) পর্দার বিধান আরোপের পর সাওদা (রাযিঃ) তার প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন,তিনি ছিলেন স্থুলদেহী, দেহাকৃতিতে উচ্চতায় তিনি নারীদের উর্ধ্বে থাকতেন; যারা তাঁকে চিনে, তাদের কাছে নিজেকে লুকাতে পারতেন না। তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, হে সাওদা! আল্লাহর কসম! তুমি আমাদের কাছে লুকাতে পারবে না। ভেবে দেখ, কেমন করে তুমি বের হচ্ছ? আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, একথা শুনে তিনি উল্টা ফিরে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার ঘরে ছিলেন এবং রাতের খাবার গ্রহণ করছিলেন। তাঁর হাতে তখন অল্প গোশতযুক্ত একখানা হাড় ছিল।
সাওদা (রাযিঃ) ঢুকে পড়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি বের হয়েছিলাম, উমর আমাকে এই এই কথা বলেছে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি ওহী নাযিল করেন। তারপর তাঁর উপর থেকে (ওহীর) অবস্থার অবসান হয়। আর তখনও হাড়টি তাঁর হাতে ছিল, তা তিনি রেখে দেননি। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (এ বর্ণনা আবু কুরায়ব-এর)। আর আবু বকর (রাহঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতে রয়েছে, ″তাঁর দেহ মহিলাদের উর্ধ্বে থাকত।″ আবু বকর (রাহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে অধিক রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাবী হিশাম (রাহঃ) বলেছেন,الحاجة “প্রয়োজন” অর্থাৎ পায়খানার হাজত।
সাওদা (রাযিঃ) ঢুকে পড়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি বের হয়েছিলাম, উমর আমাকে এই এই কথা বলেছে। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি ওহী নাযিল করেন। তারপর তাঁর উপর থেকে (ওহীর) অবস্থার অবসান হয়। আর তখনও হাড়টি তাঁর হাতে ছিল, তা তিনি রেখে দেননি। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রয়োজনে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (এ বর্ণনা আবু কুরায়ব-এর)। আর আবু বকর (রাহঃ) বর্ণিত রিওয়ায়াতে রয়েছে, ″তাঁর দেহ মহিলাদের উর্ধ্বে থাকত।″ আবু বকর (রাহঃ) তাঁর বর্ণিত হাদীসে অধিক রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাবী হিশাম (রাহঃ) বলেছেন,الحاجة “প্রয়োজন” অর্থাৎ পায়খানার হাজত।
باب إِبَاحَةُ الْخُرُوجِ لِلنِّسَاءِ لِقَضَاءِ حَاجَةِ الإِنْسَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجَتْ سَوْدَةُ بَعْدَ مَا ضُرِبَ عَلَيْهَا الْحِجَابُ لِتَقْضِيَ حَاجَتَهَا وَكَانَتِ امْرَأَةً جَسِيمَةً تَفْرَعُ النِّسَاءَ جِسْمًا لاَ تَخْفَى عَلَى مَنْ يَعْرِفُهَا فَرَآهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ يَا سَوْدَةُ وَاللَّهِ مَا تَخْفَيْنَ عَلَيْنَا فَانْظُرِي كَيْفَ تَخْرُجِينَ . قَالَتْ فَانْكَفَأَتْ رَاجِعَةً وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي وَإِنَّهُ لَيَتَعَشَّى وَفِي يَدِهِ عَرْقٌ فَدَخَلَتْ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي خَرَجْتُ فَقَالَ لِي عُمَرُ كَذَا وَكَذَا . قَالَتْ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ ثُمَّ رُفِعَ عَنْهُ وَإِنَّ الْعَرْقَ فِي يَدِهِ مَا وَضَعَهُ فَقَالَ " إِنَّهُ قَدْ أُذِنَ لَكُنَّ أَنْ تَخْرُجْنَ لِحَاجَتِكُنَّ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ يَفْرَعُ النِّسَاءَ جِسْمُهَا . زَادَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ هِشَامٌ يَعْنِي الْبَرَازَ .
