আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৮- পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জা সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ৫২৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৭০
২. নারী ও পুরুষের জন্য সোনা-রূপার পাত্র, আর পুরুষের জন্য সোনার আংটি ও রেশমজাত কাপড় ব্যবহার করা হারাম এবং স্ত্রীলোকের জন্য এগুলো ব্যবহার করা মুবাহ। সোনা-রূপা ও রেশমের অনধিক চার আঙ্গুল পরিমাণ নকলী (পাড় ও আচল) অনুরূপ কিছু পুরুষের জন্য মুবাহ
৫২৪৫। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী, ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ও হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) খাঁটি রেশমের তৈরী একটি কাবা পরিধান করলেন, যা তাঁকে হাদিয়া (উপঢৌকন) দেয়া হয়েছিলো। এরপর তিনি সেটি ততক্ষণাৎ খুলে ফেললেন। তারপর সেটি উমর ইবনে খাত্তাবের নিকট পাঠিয়ে দিলেন। তাকে বলা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি অবিলম্বে এটি খুলে ফেললেন? তিনি বললেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে এটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এরপর উমর (রাযিঃ) ক্রন্দনরত অবস্থায় তাঁর কাছে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যে বস্তু অপছন্দ করলেন তা আমাকে দিলেন, আমার উপায় কি? তখন তিনি বললেন, আমি এটি তোমাকে পরতে দেইনি। আমি কেবল তোমাকে বিক্রি করার জন্য দিয়েছি। পরে উমর (রাযিঃ) সেটি দু’হাজার দিরহামে বিক্রি করলেন।
باب تَحْرِيمِ اسْتِعْمَالِ إِنَاءِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ عَلَى الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ عَلَى الرَّجُلِ وَإِبَاحَتِهِ لِلنِّسَاءِ وَإِبَاحَةِ الْعَلَمِ وَنَحْوِهِ لِلرَّجُلِ مَا لَمْ يَزِدْ عَلَى أَرْبَعِ أَصَابِعَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَبِيبٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَبِسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا قَبَاءً مِنْ دِيبَاجٍ أُهْدِيَ لَهُ ثُمَّ أَوْشَكَ أَنْ نَزَعَهُ فَأَرْسَلَ بِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقِيلَ لَهُ قَدْ أَوْشَكَ مَا نَزَعْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " نَهَانِي عَنْهُ جِبْرِيلُ " . فَجَاءَهُ عُمَرُ يَبْكِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَرِهْتَ أَمْرًا وَأَعْطَيْتَنِيهِ فَمَا لِي قَالَ " إِنِّي لَمْ أُعْطِكَهُ لِتَلْبَسَهُ إِنَّمَا أَعْطَيْتُكَهُ تَبِيعُهُ " . فَبَاعَهُ بِأَلْفَىْ دِرْهَمٍ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
তবে এ নিষেধাজ্ঞা কেবল পুরুষের জন্য। নারীর জন্য রেশমী পোশাক পরা জায়েয, যেমন তাদের জন্য স্বর্ণালঙ্কারও জায়েয। হযরত উকবা ইবন আমির রাযি থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ- الذهب والحرير حل لإناث أمتي وحرام على ذكورها সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
হযরত আলী রাযি. বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বাম হাতে রেশম এবং ডান হাতে স্বর্ণ ধরলেন। তারপর দু'হাত তুলে বললেনঃ- إن هذين حرام على ذكور أمتي، حل لإنائهم ‘এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম, মহিলাদের জন্য হালাল।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ রহ. এ নিষেধাজ্ঞার হিকমত বর্ণনা করেন যে, সাজসজ্জার ব্যাপারে নারীদের সংযম কম। তাই এটা তাদের জন্য হালাল করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের সাজসজ্জা হবে কেবল স্বামীদের জন্য। এর দ্বারা বোঝা যায় পুরুষদের জন্য বেশি সাজসজ্জা ও উপভোগের বস্তু ব্যবহার করা ভালো নয়। কেননা এটা নারীর বৈশিষ্ট্য।
