আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ

হাদীস নং: ৫১৩০
১৭. আঙ্গুল ও বর্তন চেটে খাওয়া এবং পড়ে যাওয়া খাদ্যে যে ধুলাবালু লেগেছে তা মুছে খাওয়া মুস্তাহাব। আর চেটে খাওয়ার পূর্বে হাত মুছে ফেলা মাকরূহ। কারণ ঐ অবশিষ্ট অংশের মধ্যে খাদ্যের বরকত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং তিন আঙ্গুলে খাওয়া সুন্নত হওয়া প্রসঙ্গে
৫১৩০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁদের উভয়ের হাদীসে আছে, সে যেন তার হাত রুমাল দ্বারা মুছে না ফেলে যতক্ষণ না সে নিজে তা চেটে খায় বা অন্যকে দিয়ে চাটায়। এরপরে অবশিষ্ট অংশ বর্ণনা করেছেন।
باب استحباب لعق الأصابعوالقصعة وأكل اللقمة الساقطة بعد مسح مايصيبها مِنْ أَذًى وَكَرَاهَةِ مَسْحِ الْيَدِ قَبْلَ لَعْقِهَا لاحتمال كون بركة الطعام فى ذلك الباقى وأن السنة الأكل بثلاثة أصابع
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، ح وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ، رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنْ سُفْيَانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . وَفِي حَدِيثِهِمَا " وَلاَ يَمْسَحْ يَدَهُ بِالْمِنْدِيلِ حَتَّى يَلْعَقَهَا أَوْ يُلْعِقَهَا " . وَمَا بَعْدَهُ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীসটি বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। নসীহতের শব্দ বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্নভাবে এসেছে। নিম্নে সকল বর্ণনার আলোকে ব্যাখ্যা পেশ করা হল।

কোন কোন বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাবার খেতেন, তখন তিনও আঙ্গুল চেটে নিতেন। হযরত আনাস রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারও লোকমা পড়ে গেলে তা থেকে ময়লা দূর করে নেবে এবং তা খেয়ে ফেলবে। তা শয়তানের জন্য ফেলে রাখবে না। হযরত আনাস রাযি. বলেন, তিনি পেয়ালা চেটে খাওয়ারও আদেশ করেছেন এবং বলেছেন, তোমরা জান না তোমাদের খাবারের কোন অংশে বরকত থাকে।

এ হাদীছে খানা খাওয়ার কয়েকটি আদব সম্পর্কে শিক্ষা পাওয়া যায়। শুরুতে বলা হয়েছে-
أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا أَكَلَ طَعَامًا، لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلَاثَ (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাবার খেতেন, তখন তিনও আঙ্গুল চেটে নিতেন)। আঙ্গুল তিনটি হল বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনি ও মধ্যমা। হযরত কা'ব ইবন উজরা রাযি. থেকে বর্ণিত-
رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ بِأَصَابِعِهِ الثَّلَاثِ بِالْإِبْهَامِ، وَالَّتِي تَلِيهَا، وَالْوُسْطَى، ثُمَّ رَأَيْتُهُ يَلْعَقُ أَصَابِعَهُ الثَّلَاثَ قَبْلَ أَنْ يَمْسَحَهَا، وَيَلْعَقُ الْوُسْطَى، ثُمَّ الَّتِي تَلِيهَا ، ثُمَّ الْإِبْهَامَ
‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর তিন আঙ্গুল দিয়ে খেতে দেখেছি। বৃদ্ধাঙ্গুলি, তার পাশের আঙ্গুল ও মধ্যমা। তারপর তাঁকে তাঁর আঙ্গুল তিনটি মোছার আগে চাটতে দেখেছি। প্রথমে চেটেছেন মধ্যমা, তারপর তার পাশেরটি, তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলি।(তাবারানী, আল-মু'জামুল আওসাত: ১৬৪৯; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ: ১৯৫৫৬)

উল্লেখ্য, খাওয়ায় তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করা রুটি বা এরূপ শুকনো খাবারের বেলায় সহজ। ভাত জাতীয় খাবারের বেলায় এটা কঠিন। তাই সাধারণভাবে সকল খাবারে তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করার কথা বলাটা সঙ্গত নয়।

তবে আঙ্গুল যতটিই ব্যবহার করা হোক, খাওয়ার শেষে তা চেটে খাওয়া অবশ্যই সুন্নত। এ হাদীছে বলা হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তা চাটতেন। এর দ্বারা যেমন খাদ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়, তেমনি এর দ্বারা বিনয়ও প্রকাশ পায়। এতে লজ্জাবোধ করাটা অহংকারের লক্ষণ।

খানা খাওয়ার আরেকটি সুন্নত ও আদব হল পড়ে যাওয়া খাদ্য তুলে পরিষ্কার করে খাওয়া। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِطْ عَنْهَا الْأَذى، وَلْيَأْكُلْهَا (তোমাদের কারও লোকমা পড়ে গেলে তা থেকে ময়লা দূর করে নেবে এবং তা খেয়ে ফেলবে)। অর্থাৎ খাদ্য আল্লাহ তা'আলার নি'আমত। কাজেই প্লেট বা হাত থেকে কোনও খাবার নিচে পড়ে গেলে তা অবশ্যই তুলে খেতে হবে। এটা নি'আমতের শোকর। ফেলে রাখাটা নাশোকরি। কাজেই পড়ে যাওয়া খাদ্য তুলে খেতে লজ্জাবোধ করতে নেই। সেটা অহমিকা। খাদ্যের ক্ষেত্রে অহমিকা দেখানো নিতান্তই নিন্দনীয়।

পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়ার হুকুম দিতে গিয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন যে, তাতে ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নেবে। এটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি ইসলামের বিশেষ গুরুত্বদানের প্রমাণ বহন করে। ইসলামে পাক-পবিত্রতার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় যত্নবান থাকার প্রতিও তাগিদ রয়েছে। পড়ে যাওয়া খাদ্য যখন পরিষ্কার করে খেতে বলা হয়েছে, তখন যে-কোনও খাদ্য খাওয়ার আগেও যে তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ রাখা বাঞ্ছনীয় তা স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায়। খাদ্যসহ যাবতীয় বিষয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার নির্দেশনা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীছ রয়েছে। তা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে একরকম অবহেলা লক্ষ করা যায়। এটা বিচ্ছিন্ন কোনও বিষয় নয়; বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা অনুসরণে আমাদের সামগ্রিক গাফলাতিরই অংশ।

পড়ে যাওয়া খাদ্য ফেলে রাখা কিছুতেই উচিত নয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- وَلَا يَدَعْهَا لِلشَّيْطَانِ (তা শয়তানের জন্য ফেলে রাখবে না)। অর্থাৎ ফেলে রাখলে তা শয়তান খাবে। শয়তান মানুষের ঘোর শত্রু। মানুষ যখন যে হালে থাকে, তাতেই সে শরীক হয়ে মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। খাওয়ার বেলায়ও সে তাতে সচেষ্ট থাকে। কাজেই সে যাতে ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। এজন্যই এ হাদীছে পড়ে যাওয়া খাদ্য তুলে খেতে বলা হয়েছে। তা তুলে না খেলে শয়তান নিয়ে নেবে। হয় তা সে নিজে খাবে, কিংবা তা দ্বারা মানুষের কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। যদি সে নিজে খায়ও, তাও তো মু'মিনদের জন্য এক প্রকার ক্ষতিই বটে। কেননা শত্রুর খেয়ে-দেয়ে পরিপুষ্ট হওয়াটাও ক্ষতির কারণ বৈ কি।

খানা খাওয়া বা অন্য কোনও কাজের সময় শয়তানের উপস্থিতি আমরা টের না পেলেও এ হাদীছ যখন বলছে সে উপস্থিত হয়, তখন আমাদেরকে তা বিশ্বাস করতেই হবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত প্রতিটি কথা বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য জরুরি। আমরা দেখতে পাই না বলে সন্দেহ করার কোনও সুযোগ নেই। শয়তানকে এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে আমাদের কাছে থেকেও চোখের আড়াল থাকে। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ
সে ও তার দল এমন স্থান থেকে তোমাদেরকে দেখে, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না।(সূরা আ'রাফ (৭), আয়াত ২৭)

আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে কুচক্রী শয়তান ও তার চেলাদের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন।
খানা খাওয়ার আরেকটি আদব হল পাত্র চেটে খাওয়া। সুতরাং এ হাদীছে বলা হয়েছে- وَأَمَرَ أَنْ تُسْلَتَ الْقَصْعَةُ (তিনি পেয়ালা চেটে খাওয়ারও আদেশ করেছেন)। পেয়ালা বলতে যে প্লেটে খাওয়া হয় কেবল সেটিই নয়; বরং খাবার বেলায় খাদ্যসামগ্রীতে যা-কিছু ব্যবহার হয় তার সবগুলোই এর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশের জন্য এর মধ্যে রয়েছে ভাত বা খিচুড়ির গামলা, তরকারির পেয়ালা ও চামচ। এর প্রত্যেকটিই ভালোভাবে পরিষ্কার করে এবং চাটার বস্তু হলে চেটে খাওয়া চাই। কেন চেটে খেতে বলা হয়েছে, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
فَإِنَّكُمْ لَا تَدْرُوْنَ فِي أَيِّ طَعَامِكُمُ الْبَرَكَةُ (তোমরা জান না তোমাদের খাবারের কোন অংশে বরকত থাকে)। 'বরকত'-এর শাব্দিক অর্থ বৃদ্ধি। এ বৃদ্ধি কখনও প্রকাশ্যভাবে হয়, যা চোখে দেখতে পাওয়া যায়। আবার কখনও হয় গুপ্তভাবে, যা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। পরিভাষায় কোনও জিনিসের বরকত বলতে সেই জিনিসটি ব্যবহারের যা উদ্দেশ্য তা যথাযথভাবে পূরণ হওয়া। সুতরাং খাদ্যের বরকত হচ্ছে ক্ষুধা মেটা, শরীরে শক্তি ও পুষ্টি লাভ হওয়া, মুখে খাদ্যের স্বাদ অনুভূত হওয়া এবং খাবার খেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ হওয়া ইত্যাদি।

এ বরকত মূলত লাভ হয় অদৃশ্যভাবে আল্লাহর কুদরতে। আল্লাহ তা'আলা বান্দাকে তা দান করেন ঈমান ও তাকওয়ার ভিত্তিতে। এজন্যই যে ব্যক্তি প্রকৃত মু'মিন, সামান্য একটু খাবার খেয়েও উপরে বর্ণিত খাদ্যের উদ্দেশ্যসমূহ তার অর্জিত হয়ে যায়। অর্থাৎ অল্প খাবারেই তার পেট ভরে যায় এবং সে পরিতৃপ্তি লাভ করে। সামান্য একটু খাবারেই তার শরীরে যথেষ্ট শক্তি অর্জিত হয়। সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে বর্ণিত আছে, এক- একটি খেজুর খেয়ে তাঁরা অমিত বিক্রমে যুদ্ধ করতেন। এটা বরকতেরই ফল। যার মধ্যে তাকওয়া-পরহেযগারী নেই সে এ বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে। ফলে অনেক খেয়েও তার তৃপ্তি হয় না। ভালো দামি খাবারেও সে স্বাদ পায় না। ভালো ভালো খাবার খায়, অথচ শরীরে শক্তি পায় না। যে খাবারে নানারকম উপকার লাভ হওয়ার কথা, তার জন্য তা বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। তা এ কারণেই হয় যে, তার খাবারে বরকত থাকে না। বরকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন- রিয়াযুস সালিহীন ৫৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা।

খাদ্যে বরকত যেহেতু আল্লাহ তা'আলার দান, তাই তিনি তা চাইলে পাত্রের সম্পূর্ণ খাদ্যের মধ্যেও দিতে পারেন এবং বিশেষ কোনও অংশেও দিতে পারেন। কীভাবে দেবেন তা তিনিই জানেন, আমাদের জানা নেই। যেহেতু আমাদের জানা নেই তাই পাত্রের সব খাবারকেই মর্যাদা দেওয়া উচিত। যে খাদ্য আঙ্গুলে লেগে আছে কিংবা যা নিচে পড়ে গেছে তাও গুরুত্বের সঙ্গে খাওয়া উচিত, যেমনটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। কেননা হতে পারে আল্লাহপ্রদত্ত বরকত তার মধ্যেই আছে।
সারকথা এ হাদীছটিতে খানা খাওয়ার পাঁচটি সুন্নত ও আদবের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তা হল-
এক. তিনটি আঙ্গুল দিয়ে খাওয়া।
দুই. খানা খাওয়া শেষে আঙ্গুল চেটে খাওয়া।
তিন. থালা, বাসন ইত্যাদি চেটে পরিষ্কার করে খাওয়া
চার. খাদ্যের কিছু অংশ পড়ে গেলে তা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলা।
পাঁচ. পড়ে যাওয়া খাদ্যে ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করে খাওয়া।
আমরা অবশ্যই এগুলো পালনের চেষ্টা করব।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারা খানা খাওয়ার বিভিন্ন আদব ও সুন্নত জানা যায়। আমরা অবশ্যই তা রক্ষায় যত্নবান থাকব।

খ. খাদ্যেও বরকত আছে। সুন্নত মোতাবেক খাওয়ার দ্বারাই সে বরকতলাভ সম্ভব।

গ. খাদ্যেও শয়তান শরীক থাকার চেষ্টা করে। সে যাতে তাতে সক্ষম না হয় সেজন্য সুন্নত মোতাবেক খাওয়া উচিত।

ঘ. আঙ্গুল ও পাত্র চেটে খাওয়া এবং পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া যখন সুন্নত, তখন লোকে কী না কী বলে তার তোয়াক্কা না করে গৌরবের সঙ্গেই এ সুন্নতটি পালন করতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
rabi
বর্ণনাকারী:
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ৫১৩০ | মুসলিম বাংলা