আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ

হাদীস নং: ৫১০৯
১৪. যমযমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা
৫১০৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) যমযম কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে দাঁড়িয়ে পান করেছেন।
باب فِي الشُّرْبِ مِنْ زَمْزَمَ قَائِمًا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَرِبَ مِنْ زَمْزَمَ مِنْ دَلْوٍ مِنْهَا وَهُوَ قَائِمٌ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উল্লিখিত হাদীছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দাঁড়িয়ে পানি পান করেছেন। হাদীছে যমযমের পানির কথা বলা হয়েছে। অনেকে মনে করে যমযমের পানি দাঁড়িয়ে খেতে হয়। প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি সেরকম নয়। সব পানিই বসে খাওয়া সুন্নত। যমযমের পানি যদি কা'বা শরীফের তাওয়াফের পর কুয়ার কাছে পান করা হয়, তবে সেখানে যেহেতু ভিড় লেগে থাকে এবং বসে পান করার সুযোগও সেখানে কম, তাই সেখানে দাঁড়িয়ে পান করার ওজর রয়েছে। এ ওজর অন্যত্র নেই। কাজেই অন্য কোনও স্থানে যমযমের পানি হোক বা সাধারণ পানি, তা বসে পান করাই সুন্নত, যদিও দাঁড়িয়ে পান করাও জায়েয আছে। জায়েয বলেই হাদীসে আছে, হযরত আলী রাযি. দাঁড়িয়ে পান করেছেন। সেইসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলও বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আলী রাযি. তাঁকে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখেছেন।

সুতরাং এ হাদীছের দ্বারা পরিষ্কারই বোঝা যাচ্ছে যে, দাঁড়িয়ে পানি পান করা জায়েয। হারাম বা গুনাহ নয়। কারও কারও ধারণা ছিল দাঁড়িয়ে পান করা হারাম। হাদীসে আছে, হযরত আলী রাযি. তা রদ করার জন্য দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন। তবে এ কথা ঠিক যে, উত্তম ও সুন্নত হল বসে পান করা।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করা যেতে পারে, যদিও সুন্নত হল বসে পান করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন