আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৯- জানাযার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৬
৮১৫. নবী (ﷺ)-এর বাণী: পরিজনের কান্নার কারণে মৃত ব্যক্তি কে আযাব দেওয়া হয়, যদি বিলাপ করা তার অভ্যাস হয়ে থাকে। ......আর বিলাপ ছাড়া কান্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১২১১। আবদান (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কায় উসমান (রাযিঃ) এর এক কন্যার ওফাত হল। আমরা সেখানে (জানাযায়) শরীক হওয়ার জন্য গেলাম। ইবনে উমর এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)ও সেখানে হাযির হলেন। আমি তাদের দু’জনের মাঝে বসা ছিলাম, অথবা তিনি বলেছেন, আমি তাঁদের এক জনের পাশে গিয়ে বসলাম, পরে অন্য জন এসে আমার পাশে বসলেন। (কান্নার আওয়াজ শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) আমর ইবনে উসমানকে বললেন, তুমি কেন কাঁদতে নিষেধ করছ না? কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিজনদের কান্নার কারণে আযাব দেওয়া হয়। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, উমর (রাযিঃ)ও এরকম কিছু বলতেন।
এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাযিঃ) বাবলাগাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাযিঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাযিঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাযিঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপনজনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাযিঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করলেন, উমর (রাযিঃ) এর সাথে মক্কা থেকে ফিরছিলাম। আমরা বায়দা (নামক স্থানে) পৌঁছলে উমর (রাযিঃ) বাবলাগাছের ছায়ায় একটি কাফেলা দেখতে পেয়ে আমাকে বললেন, গিয়ে দেখোতো এ কাফেলা কার? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি গিয়ে দেখলাম সেখানে সুহাইব (রাযিঃ) রয়েছেন। আমি তাকে তা জানালাম। তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আস। আমি সুহাইব (রাযিঃ)-এর নিকটে আবার গেলাম এবং বললাম, চলুন, আমীরুল মু’মিনীনের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। এরপর যখন উমর (রাযিঃ) (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন, তখন সুহাইব (রাযিঃ) তাঁর কাছে এসে এ বলে কাঁদতে লাগলেন, হায় আমার ভাই! হায় আমার বন্ধু! এতে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি আমার জন্য কাঁদছো? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির জন্য তার আপনজনের কোন কোন কান্নার কারণে অবশ্যই তাকে আযাব দেওয়া হয়।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, উমর (রাযিঃ)-এর ওফাতের পর আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে আমি উমর (রাযিঃ)-এর এ উক্তি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ উমর (রাযিঃ)-কে রহম করুন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেননি যে, আল্লাহ ঈমানদার (মৃত) ব্যক্তিকে, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে আযাব দিবেন। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কাফিরদের আযাব বাড়িয়ে দেন, তার জন্য তার পরিজনের কান্নার কারণে। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কুরআনই তোমাদের জন্য যথেষ্ট (ইরশাদ হয়েছেঃ) “বোঝা বহনকারী কোন ব্যক্তি অপরের বোঝা বহন করবেনা”। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহই (বান্দাকে) হাসান এবং কাঁদান। রাবী ইবনে আবু মুলাইকা (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! (একথা শুনে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কোন মন্তব্য করলেন না।
