আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৭৮১
৪৯. সাগরের বুকে জিহাদের (নৌযুদ্ধের) ফযীলত
৪৭৮১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাযিঃ) এর ঘরে যেতেন। তিনি তাকে আপ্যায়িত করতেন। (পরবর্তী সময়ে) উম্মে হারাম (রাযিঃ) ছিলেন, উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) এর স্ত্রী। একদা তিনি তাঁর ঘরে গেলেন এবং তিনি তাকে (চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী) আপ্যায়িত করলেন। তারপর তিনি তাঁর (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) মাথার উকুন দেখতে লাগলেন এবং এ অবস্হায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুমিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি যখন জাগলেন তখন তিনি হাসছিলেন।

উম্মে হারাম (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার হাসার কারণ কি? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের এমন কিছু লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হলো, যারা আল্লাহর রাহের যোদ্ধারূপে সাগরের বুকে আরোহণ করবে। তারা যেন সিংহাসনে আসীন রাজা-বাদশাহ। অথবা বলেছেন, রাজা-বাদশাহর মত সিংহাসনে আসীন হবেন। রাবী সন্দেহ পোষণ করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বাক্যটি বলেছেন।

উম্মে হারাম (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন যেন তিনি আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জন্যে দু'আ করলেন। এরপর তিনি মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন। আবার জেগে হাসতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে কিসে হাসাচ্ছে ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের কিছু সংখ্যক লোককে আমার সম্মুখে পেশ করা হয়, আল্লাহর রাহের যোদ্ধারূপে সাগরের বুকে আরোহণ করবে। তারা যেন সিংহাসনে আসীন রাজা-বাদশাহ। অথবা বলেছেন, রাজা-বাদশাহর মত সিংহাসনে আসীন হবেন।

তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন তিনি যেন আমাকেও তাদের সঙ্গে শামিল করেন। তিনি বললেনঃ তুমি হবে তাদের প্রথম দলের একজন।

পরবর্তী সময়ে উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাযিঃ) মুআবিয়া (রাযিঃ) এর আমলে সমূদ্রপৃষ্ঠে (সাইপ্রাসের যুদ্ধ উপলক্ষে) আরোহণ করেন এবং সমুদ্র থেকে নির্গমনকালে সওয়ারা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
باب فَضْلِ الْغَزْوِ فِي الْبَحْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي، طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْخُلُ عَلَى أُمِّ حَرَامٍ بِنْتِ مِلْحَانَ فَتُطْعِمُهُ وَكَانَتْ أُمُّ حَرَامٍ تَحْتَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَأَطْعَمَتْهُ ثُمَّ جَلَسَتْ تَفْلِي رَأْسَهُ فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَرْكَبُونَ ثَبَجَ هَذَا الْبَحْرِ مُلُوكًا عَلَى الأَسِرَّةِ أَوْ مِثْلَ الْمُلُوكِ عَلَى الأَسِرَّةِ " . يَشُكُّ أَيَّهُمَا قَالَ قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ فَدَعَا لَهَا ثُمَّ وَضَعَ رَأْسَهُ فَنَامَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَتْ فَقُلْتُ مَا يُضْحِكُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي عُرِضُوا عَلَىَّ غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ " . كَمَا قَالَ فِي الأُولَى قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ قَالَ " أَنْتِ مِنَ الأَوَّلِينَ " . فَرَكِبَتْ أُمُّ حَرَامٍ بِنْتُ مِلْحَانَ الْبَحْرَ فِي زَمَنِ مُعَاوِيَةَ فَصُرِعَتْ عَنْ دَابَّتِهَا حِينَ خَرَجَتْ مِنَ الْبَحْرِ فَهَلَكَتْ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন