আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৩২
৩৩. শহীদদের রূহ জান্নাতে আর তারা জীবিত, তারা তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে জীবিকাপ্রাপ্ত হন
৪৭৩২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) কে এ আয়াতটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যাতে আল্লাহ বলেনঃ যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনো তোমরা মৃত মনে করোনা বরং তাঁরা জীবিত তাঁদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তারা জীবিকা প্রাপ্ত। (৩-১৬৯।)
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি এ আয়াত সম্পর্কে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তিনি বললেনঃ তাদের রুহসমুহ সবুজ পাখির পেটে (রক্ষিত থাকে) যা আরশের সাথে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে। অবশেষে সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে।
একবার তাদের পালনকর্তা তাদের দিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের কি কোন আকাঙ্ক্ষা আছে? জবাবে তারা বললোঃ আমাদের আর কি আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে বিচরণ করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে এরূপ তিন তিনবার করলেন।
যখন তারা দেখলো, কিছু প্রার্থনা না করে থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বললোঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয় যদি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা তোমারই পথে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম। যখন (আল্লাহ) দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই অবশিষ্ট নাই, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না।)
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি এ আয়াত সম্পর্কে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তিনি বললেনঃ তাদের রুহসমুহ সবুজ পাখির পেটে (রক্ষিত থাকে) যা আরশের সাথে ঝুলন্ত দীপাধারে বাস করে। জান্নাতের সর্বত্র তারা যেখানে চায় সেখানে বিচরণ করে। অবশেষে সেই দীপাধারগুলোতে ফিরে আসে।
একবার তাদের পালনকর্তা তাদের দিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের কি কোন আকাঙ্ক্ষা আছে? জবাবে তারা বললোঃ আমাদের আর কি আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে আমরা তো যথেচ্ছভাবে জান্নাতে বিচরণ করছি। আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে এরূপ তিন তিনবার করলেন।
যখন তারা দেখলো, কিছু প্রার্থনা না করে থেকে রেহাই পাচ্ছে না তখন তারা বললোঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাঙ্ক্ষা হয় যদি আমাদের রুহগুলোকে আমাদের দেহসমূহে ফিরিয়ে দিতেন আর পুনরায় আমরা তোমারই পথে নিহত (শহীদ) হতে পারতাম। যখন (আল্লাহ) দেখলেন, তাদের আর কোন প্রয়োজনই অবশিষ্ট নাই, তখন তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হলো (আর প্রশ্ন করা হলো না।)
باب فِي بَيَانِ أَنَّ أَرْوَاحَ الشُّهَدَاءِ فِي الْجَنَّةِ وَأَنَّهُمْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَعِيسَى بْنُ يُونُسَ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْنَا عَبْدَ اللَّهِ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ( وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ) قَالَ أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " أَرْوَاحُهُمْ فِي جَوْفِ طَيْرٍ خُضْرٍ لَهَا قَنَادِيلُ مُعَلَّقَةٌ بِالْعَرْشِ تَسْرَحُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ ثُمَّ تَأْوِي إِلَى تِلْكَ الْقَنَادِيلِ فَاطَّلَعَ إِلَيْهِمْ رَبُّهُمُ اطِّلاَعَةً فَقَالَ هَلْ تَشْتَهُونَ شَيْئًا قَالُوا أَىَّ شَىْءٍ نَشْتَهِي وَنَحْنُ نَسْرَحُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ شِئْنَا فَفَعَلَ ذَلِكَ بِهِمْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لَنْ يُتْرَكُوا مِنْ أَنْ يُسْأَلُوا قَالُوا يَا رَبِّ نُرِيدُ أَنْ تَرُدَّ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا حَتَّى نُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مَرَّةً أُخْرَى . فَلَمَّا رَأَى أَنْ لَيْسَ لَهُمْ حَاجَةٌ تُرِكُوا " .


বর্ণনাকারী: