আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৭৯-১
- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়
২৯. আল্লাহর পথে শাহাদাতের ফযীলত
৪৭১৮। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... নুমান ইবনে বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরের নিকটেই ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল ইসলাম গ্রহণের পর আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরওয়া নেই, তবে আমি হাজীদেরকে পানি পান করাব। (অর্থাৎ আমার মতে এটিই সর্বাধিক সাওয়াবের কাজ)। অপর একজন বলে উঠলো মুসলমান হওয়ার পর আমি আর কোন সৎ কাজই না করি তাতে আমার কোন পরোয়া নেই, তবে আমি মসজিদুল হারামের সংস্কার (প্রভৃতি) করে যাব। অপর একজন বলে উঠলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ তোমরা যা বলেছো তার চাইতে উত্তম।
তখন উমর (রাযিঃ) তাদেরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরের সামনে তোমরা চেঁচামেচি করো না। সেটা ছিল জুমআর দিন। বরং যখন জুমআর নামায হয়ে যাবে, তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে তোমরা যে ব্যাপারে বাদানুবাদ করছো, তা জিজ্ঞাসা করে নেবো, তখন আল্লাহ তাআলা (সেই প্রেক্ষিতে) নাযিল করলেনঃ
أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে তোমরা কি তাদেরকে ওদের সমজ্ঞান কর, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করে ......... (৯ঃ ১৯)।
তখন উমর (রাযিঃ) তাদেরকে ধমক দিয়ে বলে উঠলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মিম্বরের সামনে তোমরা চেঁচামেচি করো না। সেটা ছিল জুমআর দিন। বরং যখন জুমআর নামায হয়ে যাবে, তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে তোমরা যে ব্যাপারে বাদানুবাদ করছো, তা জিজ্ঞাসা করে নেবো, তখন আল্লাহ তাআলা (সেই প্রেক্ষিতে) নাযিল করলেনঃ
أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে তোমরা কি তাদেরকে ওদের সমজ্ঞান কর, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করে ......... (৯ঃ ১৯)।
كتاب الإمارة
باب فَضْلِ الشَّهَادَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى
حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلاَّمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَجُلٌ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أُسْقِيَ الْحَاجَّ . وَقَالَ آخَرُ مَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَعْمَلَ عَمَلاً بَعْدَ الإِسْلاَمِ إِلاَّ أَنْ أَعْمُرَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ . وَقَالَ آخَرُ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِمَّا قُلْتُمْ . فَزَجَرَهُمْ عُمَرُ وَقَالَ لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ عِنْدَ مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَلَكِنْ إِذَا صَلَّيْتُ الْجُمُعَةَ دَخَلْتُ فَاسْتَفْتَيْتُهُ فِيمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ) الآيَةَ إِلَى آخِرِهَا .