আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৪- ইসলামী রাষ্ট্রনীতির অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৫৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৩-২
২. খলিফা মনোনয়ন করা এবং না করা
৪৫৬৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, ইবনে আবু উমর, মুহাম্মাদ রাফি এবং আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাফসা (রাযিঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান যে, তোমার পিতা কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না। আমি বললাম, তিনি এমনটা করবেন না। তিনি বললেন, তিনি তাই করবেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তখন আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে, আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলাপ করবো। এরপর আমি নীরব থাকলাম। পরের দিন ভোর পর্যন্ত আমি তাঁর সঙ্গে তা আলাপ করলাম। রাবী বলেন, আমার মনে হলো যেন, আমি আমার শপথের কারণে একটি পাহাড় বহন করেছি। অবশেষে আমি ফিরে এলাম এবং তাঁর (অর্থাৎ উমর (রাযিঃ) এর) কাছে প্রবেশ করলাম।

তিনি আমাকে লোকদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। আমি তাকে তা অবহিত করলাম। তারপর আমি তাঁকে বললাম, আমি লোকজনকে একটি কথা বলাবলি করতে শুনে আমি তা আপনাকে বলবো বলে শপথ করেছি। লোকেরা বলছে যে, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। অথচ আপনার যদি কোন উট রাখাল বা ছাগল রাখাল থাকে আর সে (রাখাল বিহীন রূপে) তার পাল পরিত্যাগ করে আপনার কাছে চলে আসে, তা হলে আপনি মনে করবেন যে, সে পশুপালের সর্বনাশ করেছে।

মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি তার চাইতেও গুরুতর। আমার কথা তার অন্তরে রেখাপাত করলো এবং তিনি কিছুক্ষণ মাথা নত করে রইলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, অবশ্যই মহিমান্বিত মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের হিফাযত করবেন। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত না করি তবে আল্লাহর রাসুল (ﷺ)ও তো কাউকে খলীফা মনোনীত করে যাননি। আর যদি আমি কাউকে খলীফা মনোনীত করি তবে আবু বকর (রাযিঃ) খলীফা মনোনীত করে গেছেন।

তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ) এর কথা উল্লেখ করলেন, তখনই আমি বুঝে ফেলি যে, তিনি আর কাউকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সমকক্ষ করবেন না এবং তিনি কাউকে খলীফাও মনোনীত করবেন না।
باب الاِسْتِخْلاَفِ وَتَرْكِهِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَلْفَاظُهُمْ، مُتَقَارِبَةٌ قَالَ إِسْحَاقُ وَعَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ فَقَالَتْ أَعَلِمْتَ أَنَّ أَبَاكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ قَالَ قُلْتُ مَا كَانَ لِيَفْعَلَ . قَالَتْ إِنَّهُ فَاعِلٌ . قَالَ فَحَلَفْتُ أَنِّي أُكَلِّمُهُ فِي ذَلِكَ فَسَكَتُّ حَتَّى غَدَوْتُ وَلَمْ أُكَلِّمْهُ - قَالَ - فَكُنْتُ كَأَنَّمَا أَحْمِلُ بِيَمِينِي جَبَلاً حَتَّى رَجَعْتُ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَأَلَنِي عَنْ حَالِ النَّاسِ وَأَنَا أُخْبِرُهُ - قَالَ - ثُمَّ قُلْتُ لَهُ إِنِّي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ مَقَالَةً فَآلَيْتُ أَنْ أَقُولَهَا لَكَ زَعَمُوا أَنَّكَ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ وَإِنَّهُ لَوْ كَانَ لَكَ رَاعِي إِبِلٍ أَوْ رَاعِي غَنَمٍ ثُمَّ جَاءَكَ وَتَرَكَهَا رَأَيْتَ أَنْ قَدْ ضَيَّعَ فَرِعَايَةُ النَّاسِ أَشَدُّ قَالَ فَوَافَقَهُ قَوْلِي فَوَضَعَ رَأْسَهُ سَاعَةً ثُمَّ رَفَعَهُ إِلَىَّ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَحْفَظُ دِينَهُ وَإِنِّي لَئِنْ لاَ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَسْتَخْلِفْ وَإِنْ أَسْتَخْلِفْ فَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَدِ اسْتَخْلَفَ . قَالَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلاَّ أَنْ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِيَعْدِلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَدًا وَأَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)