আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৪৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৩
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৫। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হুরমুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নাজদা ইবনে আমির হারুরী (খারেজী) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট পত্র লিখে জানতে চাইলেন, জিহাদে উপস্থিত গোলাম ও মহিলাদের গনিমতের অংশ দেওয়া হবে কি? আর (শক্রপক্ষের) বালকদের হত্যা সম্পর্কে এবং ইয়াতীম সম্পর্কে যে, কখন তার ইয়াতীমতের অবস্থান ঘটবে? এবং যাবিল কুরবা বা (রাসুলের) নিকটাত্নীয় কারা? তখন তিনি ইয়াযীদকে বললেন, তুমি তাকে লিখ, তার নির্বুদ্ধিতায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে আমি তাকে পত্র লিখাতাম না। লিখ, তুমি আমাকে লিখেছে এ প্রশ্ন করে যে, যারা জিহাদে যোগ দিয়েছে এমন নারী এবং গোলামকে কি গনীমতের কিছু দেয়া হবে?

তাদের (নির্ধারিত) কিছুই দেয়া হবে না। তবে বখশীশরূপে অনুদান (রূপে) দেওয়া হবে। তুমি আমাকে প্রশ্ন করে লিখেছ বালকদের হত্যা সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও তাদেরকে হত্যা করেননি এবং তুমিও তাদেরকে হত্যা করবে না। যদি তুমি তাদের ব্যাপারে তা জানতে পারো যা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গী [খিযির (আলাইহিস সালাম)] জানতে পেরেছিলেন, যে ছেলেটিকে তিনি হত্যা করেছিলেন, তার সম্পর্কে তবে (তা স্বতন্ত্র কথা)। তার ইয়াতীম নাম ঘুচবে না যতক্ষণ না সে বালিগ হবে এবং তার মধ্যে বুদ্ধিমত্তা পরিলক্ষিত হবে। আর তুমি আমাকে যাবিল কুরবা, সম্বন্ধে প্রশ্ন করে লিখেছ যে, তারা কারা? আমরা মনে করতাম, আমরাই তারা। কিন্তু আমাদের (ক্ষমতাসীন) লোকেরা তা অস্বীকার করেছে।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَرُورِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنِ الْعَبْدِ، وَالْمَرْأَةِ يَحْضُرَانِ الْمَغْنَمَ هَلْ يُقْسَمُ لَهُمَا وَعَنْ قَتْلِ الْوِلْدَانِ وَعَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَطِعُ عَنْهُ الْيُتْمُ وَعَنْ ذَوِي الْقُرْبَى مَنْ هُمْ فَقَالَ لِيَزِيدَ اكْتُبْ إِلَيْهِ فَلَوْلاَ أَنْ يَقَعَ فِي أُحْمُوقَةٍ مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ اكْتُبْ إِنَّكَ كَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْمَرْأَةِ وَالْعَبْدِ يَحْضُرَانِ الْمَغْنَمَ هَلْ يُقْسَمُ لَهُمَا شَىْءٌ وَإِنَّهُ لَيْسَ لَهُمَا شَىْءٌ إِلاَّ أَنْ يُحْذَيَا وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنْ قَتْلِ الْوِلْدَانِ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقْتُلْهُمْ وَأَنْتَ فَلاَ تَقْتُلْهُمْ إِلاَّ أَنْ تَعْلَمَ مِنْهُمْ مَا عَلِمَ صَاحِبُ مُوسَى مِنَ الْغُلاَمِ الَّذِي قَتَلَهُ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَطِعُ عَنْهُ اسْمُ الْيُتْمِ وَإِنَّهُ لاَ يَنْقَطِعُ عَنْهُ اسْمُ الْيُتْمِ حَتَّى يَبْلُغَ وَيُؤْنَسَ مِنْهُ رُشْدٌ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنْ ذَوِي الْقُرْبَى مَنْ هُمْ وَإِنَّا زَعَمْنَا أَنَّا هُمْ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)