আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৪৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৪-২
৩৯. মুশরিক ও মুনাফিকদের হাতে নবী (ﷺ) এর দুঃখ কষ্ট ভোগ
৪৪৯৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সিজদারত ছিলেন এবং তার আশেপাশে কুরাইশের কিছু লোকজন জড়ো ছিল। এমন সময় উকবা ইবনে আবু মুআইত (উটনীর নাড়িভুঁড়িসহ) জরায়ু নিয়ে এল এবং তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পিঠের উপর নিক্ষেপ করলো। তিনি মাথা উঠাতে পারছিলেন না। তারপর ফাতিমা আসলেন এবং তা তার পিঠ থেকে সরিয়ে দিলেন এবং যে ব্যক্তি তা করেছে, তাকে বদ দুআ করলেন।
তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ!। তোমার উপরই কুরাইশ সম্প্রদায়ের আবু জাহল ইবনে হিশাম, উকবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, উকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালফ অথবা উবাই ইবনে খালফ (এদের বিচারের ভার) ন্যস্ত। রাবী শুবা (শেষের দুই নামের কোনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, সে ব্যাপারে) সন্দেহ করেন।
রাবী বলেন, এরপর আমি বদরের দিন তাদের দেখেছি যে, তারা সকলে নিহত হয়েছে এবং একটি কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কেবল উমাইয়া বা উবাই এর লাশ বাদ ছিল। কেননা তার লাশ জোড়ায় জোড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বিধায় কূপে নিক্ষেপ করা হয়নি।
তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ!। তোমার উপরই কুরাইশ সম্প্রদায়ের আবু জাহল ইবনে হিশাম, উকবা ইবনে রাবীআ, শায়বা ইবনে রাবীআ, উকবা ইবনে আবু মুআইত, উমাইয়া ইবনে খালফ অথবা উবাই ইবনে খালফ (এদের বিচারের ভার) ন্যস্ত। রাবী শুবা (শেষের দুই নামের কোনটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, সে ব্যাপারে) সন্দেহ করেন।
রাবী বলেন, এরপর আমি বদরের দিন তাদের দেখেছি যে, তারা সকলে নিহত হয়েছে এবং একটি কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। কেবল উমাইয়া বা উবাই এর লাশ বাদ ছিল। কেননা তার লাশ জোড়ায় জোড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বিধায় কূপে নিক্ষেপ করা হয়নি।
باب مَا لَقِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَذَى الْمُشْرِكِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاجِدٌ وَحَوْلَهُ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ عُقْبَةُ بْنُ أَبِي مُعَيْطٍ بِسَلاَ جَزُورٍ فَقَذَفَهُ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَخَذَتْهُ عَنْ ظَهْرِهِ وَدَعَتْ عَلَى مَنْ صَنَعَ ذَلِكَ فَقَالَ " اللَّهُمَّ عَلَيْكَ الْمَلأَ مِنْ قُرَيْشٍ أَبَا جَهْلِ بْنَ هِشَامٍ وَعُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَعُقْبَةَ بْنَ أَبِي مُعَيْطٍ وَشَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ أَوْ أُبَىَّ بْنَ خَلَفٍ " . شُعْبَةُ الشَّاكُّ قَالَ فَلَقَدْ رَأَيْتُهُمْ قُتِلُوا يَوْمَ بَدْرٍ فَأُلْقُوا فِي بِئْرٍ غَيْرَ أَنَّ أُمَيَّةَ أَوْ أُبَيًّا تَقَطَّعَتْ أَوْصَالُهُ فَلَمْ يُلْقَ فِي الْبِئْرِ .
