আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৪৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৫-১
৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে
৪৪৮২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবুল ওয়ায়েল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) সিফফিন দিবসে উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের (অধিক) হওয়ার সম্ভাবনামুক্ত মনে করবে। আমরা হুদায়বিয়ার দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ছিলাম। আমরা এটিকে (সিফফীনের চলমান বিরোধকে যথার্থ) যুদ্ধ মনে করলে অবশ্যই আমরা যুদ্ধ করতাম। আমি বলতে চাই সেই সন্ধির কথা যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং মুশরিকদের মধ্যে হয়েছিল।

তখন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি সত্যের উপর নই আর তারা বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের নিহত (শহীদ)রা কি জান্নাতী এবং তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়?। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে কী কারণে আমরা দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি মেনে নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে তাদের ও আমাদের মধ্যে আল্লাহর কোন ফয়সালা করেন নি!

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাব পুত্র! নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহর রাসুল। আর তিনি অবশ্যই কখনো আমাকে বিনাশ করবেন না। রাবী বলেন, তখন উমর (রাযিঃ) চলে গেলেন। তিনি ক্রোধে ধৈর্যধারণ করতে পারছিলেন না। তাই আবু বকরের কাছে এলেন এবং তাঁকে বললেন, হে আবু বকর! আমরা কি হকের উপর এবং তারা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেন, অবশ্যই। আবার তিনি বললেন, আমাদের নিহতরা কি জান্নাতী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়? বললেন, নিশ্চয়ই। তখন তিনি বললেনঃ তা হলে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে আমাদের এবং তাদের মধ্যে আল্লাহ কোন ফয়সালা দেননি! তখন তিনি বললেন, হে খাত্তাব পুত্র! নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ কখনও তাঁর বিনাশ করবেন না।

রাবী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে কুরআন অবতীর্ণ হলো। তখন তিনি উমরকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সম্মুখে তা পাঠ করলে তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কি বিজয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তাঁর অন্তর শান্ত হল এবং তিনি ফিরে গেলেন।
باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ سِيَاهٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَامَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ يَوْمَ صِفِّينَ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا أَنْفُسَكُمْ لَقَدْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَلَوْ نَرَى قِتَالاً لَقَاتَلْنَا وَذَلِكَ فِي الصُّلْحِ الَّذِي كَانَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ " بَلَى " . قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ " بَلَى " . قَالَ فَفِيمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ " يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَنِي اللَّهُ أَبَدًا " . قَالَ فَانْطَلَقَ عُمَرُ فَلَمْ يَصْبِرْ مُتَغَيِّظًا فَأَتَى أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ بَلَى . قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ بَلَى . قَالَ فَعَلاَمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَهُ اللَّهُ أَبَدًا . قَالَ فَنَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْفَتْحِ فَأَرْسَلَ إِلَى عُمَرَ فَأَقْرَأَهُ إِيَّاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَفَتْحٌ هُوَ قَالَ " نَعَمْ " . فَطَابَتْ نَفْسُهُ وَرَجَعَ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
rabi
বর্ণনাকারী: