আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৪৪৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮০-১
৩১. মক্কা বিজয়
৪৪৭১। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু রাবাহ (রাহঃ) বলেন, আমি একটি প্রতিনিধি দলের সাথে (যার মধ্যে আবু হুরায়রা (রাযিঃ)ও ছিলেন) মুআবিয়া (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। সেই সময় ছিল রমযান মাস। তখন তাঁরা একে অন্যের জন্য খানা তৈরী করতেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) অধিকাংশ সময় আমাদেরকে তাঁর বাসস্থানে দাওয়াত করতেন। সুতরাং আমি মনে মনে বললাম, আমিও খানা তৈরী করবো এবং সলকেই আমার বাসস্থানে দাওয়াত করবো। আমি খানা তৈরীর নির্দেশ দিলাম। এরপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর সঙ্গে আমি বিকালে সাক্ষাত করলাম এবং বললাম, আজ রাতের দাওয়াত আমার বাসায়। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বললেন, আপনি আজ আমার পূর্বেই (দাওয়াত) দিয়ে দিলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। অতঃপর আমি তাদের দাওয়াত করলাম। তখন আবু হুরায়রা-(রাযিঃ) বললেন, হে আনসার সম্প্রদায়! আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের সম্পর্কে একটি হাদীস বর্ণনা করবে না?
তারপর তিনি মক্কা বিজয়ের ঘটনা বর্ণনা করতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কার দিকে অগ্রসর হলেন এবং পরিশেষে তিনি তথায় উপনীত হলেন। এরপর যুবাইর (রাযিঃ) কে মক্কার একদিকে এবং খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) কে অপর দিকে প্রেরণ করলেন। আর আবু উবাইদা (রাযিঃ) কে সেইসব লোকদের উপর নেতা বানিয়ে পাঠালেন যাদের কাছে লৌহ বর্ম ছিলনা। তারা উপত্যকার নিম্নভূমির পথ ধরে চললেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন একটি বড় সেনাদলের মধ্যে। তিনি তাকালেন এবং আমাকে দেখে বললেন,হে আবু হুরায়রা! আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি উপস্থিত। এরপর তিনি বললেন, আমার নিকট আনসার ব্যতীত আর কেউ যেন না আসে।
শায়বান ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারী অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তারপর তিনি বললেনঃ আনসারদেরকে আহবান কর। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আনসারগণ তার চারপাশে জমায়েত হলেন। এদিকে কুরাইশগণও তাদের বিভিন্ন গোত্রের লোক এবং অনুগতদেরকে একত্রিত করলো। এরপর তারা বলল, আমরা তাদেরকে আগে প্রেরণ করব। যদি তাদের ভাগে কিছু জুটে, তবে আমরাও তো তাদের সঙ্গেই আছি। আর যদি তারা বিপদের সম্মুখীন (আক্রান্ত) হয় তবে তারা (প্রতিপক্ষ) আমাদের কাছে যা চাইবে, তাই আমরা মেনে নেব।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি কুরাইশের বিভিন্ন গোত্রের লোক এবং তাদের অনুগতদেরকে দেখতে পাচ্ছ? এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর একহাত অপর হাতের উপর রেখে ইঙ্গিত করলেন, (মক্কার পথে যারা তোমাদের বাধা দেয় তোমরা তাদের খতম করে দিবে।) এরপর বললেন, অবশেষে সাফা পাহাড়ে তোমরা আমার সঙ্গে মিলিত হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা অগ্রসর হতে লাগলাম। আমাদের মধ্য হতে কেউ কাউকে হত্যা করতে চাইলেই তাকে হত্যা করতে পারছিল। তাই তাদের মধ্য হতে কেউই আমাদের উপর আক্রমণ করতে সাহস পায়নি।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু সুফিয়ান এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ কুরাইশ সম্প্রদায়ের সমষ্টিকে (রক্ত) হালাল করে দেওয়া হয়েছে। আজকের পরে আর কোন কুরাইশের অস্তিত্ব থাকবেনা। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। তখন আনসারগণ একে অপরের সাথে বলাবলি করতে লাগল যে, লোকটিকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) স্বদেশের প্রতি আকর্ষণ এবং নিজ গোত্রের প্রতি মমতা পেয়ে বসেছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন যে, তখনই ওহী অবতীর্ণ হল। যখন ওহী অবতীর্ণ হতো তখন তা আমাদের নিকট গোপন থাকত না। ঐ সময় কারো সাধ্য হতো না যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে চোখ তোলে দেখে, যতক্ষণ না ওহী শেষ হতো। এরপর যখন ওহী শেষ হল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আনসার সম্প্রদায়! তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার কাছে উপস্থিত। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা কি বলেছ যে, লোকটিকে স্বদেশের আকর্ষণ পেয়ে বসেছে। তখন তারা বললেন, এ রকম কিছু হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনও না। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর বান্দা এবং তার প্রেরিত রাসুল। আমি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগ করে তোমাদের উদ্দেশ্যে হিজরত করেছি। (আমার) জীবন তোমাদের জীবন ও মরণ তোমাদের মরণ।
তারা কাঁদতে কাঁদতে নবী (ﷺ) এর দিকে অগ্রসর হলেন এবং কাঁদতে লাগলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যা বলেছিলাম, তা ছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আমাদের ভালবাসা ও লোভ এর কারণে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমাদের বক্তব্য বিশ্বাস করেন এবং তোমাদের ওযর গ্রহণ করেছেন।
বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর মক্কার জনগণ আবু সুফিয়ানের বাড়ীর দিকে চলে গেল (জীবন রক্ষার জন্যে) আর অন্যান্য মানুষ আপন ঘরে দরজা লাগিয়ে বসে রইল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসওয়াদ’ এর নিকটবর্তী হয়ে একে চুম্বন এবং বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করলেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহর পার্শ্বে রক্ষিত একটি মূর্তির নিকটবর্তী হলেন, যাকে তারা উপাসনা করতো।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাতে তখন একটি ধনুক ছিল, তিনি এর এক প্রান্তে ধরে রেখেছিলেন। যখন তিনি মূর্তিটির নিকটবর্তী হলেন তখন তিনি তা দ্বারা এর চোখে খুচাতে লাগলেন এবং বললেন, “সত্য আগমন করেছে এবং বাতিল (মিথ্যা) চলে গিয়েছে।”
এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শেষে তিনি সাফা পাহাড়ের দিকে গমন করলেন। এরপর তাতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহর দিকে চেয়ে দেখলেন এবং দু'হাত উচু করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ করতে লাগলেন এবং তার যা দুআ করার ছিল সে বিষয়ে দুআ করলেন।
তারপর তিনি মক্কা বিজয়ের ঘটনা বর্ণনা করতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কার দিকে অগ্রসর হলেন এবং পরিশেষে তিনি তথায় উপনীত হলেন। এরপর যুবাইর (রাযিঃ) কে মক্কার একদিকে এবং খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) কে অপর দিকে প্রেরণ করলেন। আর আবু উবাইদা (রাযিঃ) কে সেইসব লোকদের উপর নেতা বানিয়ে পাঠালেন যাদের কাছে লৌহ বর্ম ছিলনা। তারা উপত্যকার নিম্নভূমির পথ ধরে চললেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন একটি বড় সেনাদলের মধ্যে। তিনি তাকালেন এবং আমাকে দেখে বললেন,হে আবু হুরায়রা! আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি উপস্থিত। এরপর তিনি বললেন, আমার নিকট আনসার ব্যতীত আর কেউ যেন না আসে।
শায়বান ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারী অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তারপর তিনি বললেনঃ আনসারদেরকে আহবান কর। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আনসারগণ তার চারপাশে জমায়েত হলেন। এদিকে কুরাইশগণও তাদের বিভিন্ন গোত্রের লোক এবং অনুগতদেরকে একত্রিত করলো। এরপর তারা বলল, আমরা তাদেরকে আগে প্রেরণ করব। যদি তাদের ভাগে কিছু জুটে, তবে আমরাও তো তাদের সঙ্গেই আছি। আর যদি তারা বিপদের সম্মুখীন (আক্রান্ত) হয় তবে তারা (প্রতিপক্ষ) আমাদের কাছে যা চাইবে, তাই আমরা মেনে নেব।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণকে বললেন, তোমরা কি কুরাইশের বিভিন্ন গোত্রের লোক এবং তাদের অনুগতদেরকে দেখতে পাচ্ছ? এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর একহাত অপর হাতের উপর রেখে ইঙ্গিত করলেন, (মক্কার পথে যারা তোমাদের বাধা দেয় তোমরা তাদের খতম করে দিবে।) এরপর বললেন, অবশেষে সাফা পাহাড়ে তোমরা আমার সঙ্গে মিলিত হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা অগ্রসর হতে লাগলাম। আমাদের মধ্য হতে কেউ কাউকে হত্যা করতে চাইলেই তাকে হত্যা করতে পারছিল। তাই তাদের মধ্য হতে কেউই আমাদের উপর আক্রমণ করতে সাহস পায়নি।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবু সুফিয়ান এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আজ কুরাইশ সম্প্রদায়ের সমষ্টিকে (রক্ত) হালাল করে দেওয়া হয়েছে। আজকের পরে আর কোন কুরাইশের অস্তিত্ব থাকবেনা। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। তখন আনসারগণ একে অপরের সাথে বলাবলি করতে লাগল যে, লোকটিকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) স্বদেশের প্রতি আকর্ষণ এবং নিজ গোত্রের প্রতি মমতা পেয়ে বসেছে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন যে, তখনই ওহী অবতীর্ণ হল। যখন ওহী অবতীর্ণ হতো তখন তা আমাদের নিকট গোপন থাকত না। ঐ সময় কারো সাধ্য হতো না যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে চোখ তোলে দেখে, যতক্ষণ না ওহী শেষ হতো। এরপর যখন ওহী শেষ হল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আনসার সম্প্রদায়! তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনার কাছে উপস্থিত। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা কি বলেছ যে, লোকটিকে স্বদেশের আকর্ষণ পেয়ে বসেছে। তখন তারা বললেন, এ রকম কিছু হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনও না। নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর বান্দা এবং তার প্রেরিত রাসুল। আমি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগ করে তোমাদের উদ্দেশ্যে হিজরত করেছি। (আমার) জীবন তোমাদের জীবন ও মরণ তোমাদের মরণ।
তারা কাঁদতে কাঁদতে নবী (ﷺ) এর দিকে অগ্রসর হলেন এবং কাঁদতে লাগলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যা বলেছিলাম, তা ছিল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আমাদের ভালবাসা ও লোভ এর কারণে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমাদের বক্তব্য বিশ্বাস করেন এবং তোমাদের ওযর গ্রহণ করেছেন।
বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর মক্কার জনগণ আবু সুফিয়ানের বাড়ীর দিকে চলে গেল (জীবন রক্ষার জন্যে) আর অন্যান্য মানুষ আপন ঘরে দরজা লাগিয়ে বসে রইল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসওয়াদ’ এর নিকটবর্তী হয়ে একে চুম্বন এবং বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করলেন। এরপর তিনি বায়তুল্লাহর পার্শ্বে রক্ষিত একটি মূর্তির নিকটবর্তী হলেন, যাকে তারা উপাসনা করতো।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাতে তখন একটি ধনুক ছিল, তিনি এর এক প্রান্তে ধরে রেখেছিলেন। যখন তিনি মূর্তিটির নিকটবর্তী হলেন তখন তিনি তা দ্বারা এর চোখে খুচাতে লাগলেন এবং বললেন, “সত্য আগমন করেছে এবং বাতিল (মিথ্যা) চলে গিয়েছে।”
এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শেষে তিনি সাফা পাহাড়ের দিকে গমন করলেন। এরপর তাতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহর দিকে চেয়ে দেখলেন এবং দু'হাত উচু করে আল্লাহর প্রশংসা প্রকাশ করতে লাগলেন এবং তার যা দুআ করার ছিল সে বিষয়ে দুআ করলেন।
باب فَتْحِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ وَفَدَتْ وُفُودٌ إِلَى مُعَاوِيَةَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ فَكَانَ يَصْنَعُ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ الطَّعَامَ فَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ مِمَّا يُكْثِرُ أَنْ يَدْعُوَنَا إِلَى رَحْلِهِ فَقُلْتُ أَلاَ أَصْنَعُ طَعَامًا فَأَدْعُوَهُمْ إِلَى رَحْلِي فَأَمَرْتُ بِطَعَامٍ يُصْنَعُ ثُمَّ لَقِيتُ أَبَا هُرَيْرَةَ مِنَ الْعَشِيِّ فَقُلْتُ الدَّعْوَةُ عِنْدِي اللَّيْلَةَ فَقَالَ سَبَقْتَنِي . قُلْتُ نَعَمْ . فَدَعَوْتُهُمْ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَلاَ أُعْلِمُكُمْ بِحَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِكُمْ يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ ثُمَّ ذَكَرَ فَتْحَ مَكَّةَ فَقَالَ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَبَعَثَ الزُّبَيْرَ عَلَى إِحْدَى الْمُجَنِّبَتَيْنِ وَبَعَثَ خَالِدًا عَلَى الْمُجَنِّبَةِ الأُخْرَى وَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ عَلَى الْحُسَّرِ فَأَخَذُوا بَطْنَ الْوَادِي وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كَتِيبَةٍ - قَالَ - فَنَظَرَ فَرَآنِي فَقَالَ " أَبُو هُرَيْرَةَ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " لاَ يَأْتِينِي إِلاَّ أَنْصَارِيٌّ " . زَادَ غَيْرُ شَيْبَانَ فَقَالَ " اهْتِفْ لِي بِالأَنْصَارِ " . قَالَ فَأَطَافُوا بِهِ وَوَبَّشَتْ قُرَيْشٌ أَوْبَاشًا لَهَا وَأَتْبَاعًا . فَقَالُوا نُقَدِّمُ هَؤُلاَءِ فَإِنْ كَانَ لَهُمْ شَىْءٌ كُنَّا مَعَهُمْ . وَإِنْ أُصِيبُوا أَعْطَيْنَا الَّذِي سُئِلْنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَرَوْنَ إِلَى أَوْبَاشِ قُرَيْشٍ وَأَتْبَاعِهِمْ " . ثُمَّ قَالَ بِيَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى ثُمَّ قَالَ " حَتَّى تُوَافُونِي بِالصَّفَا " . قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَمَا شَاءَ أَحَدٌ مِنَّا أَنْ يَقْتُلَ أَحَدًا إِلاَّ قَتَلَهُ وَمَا أَحَدٌ مِنْهُمْ يُوَجِّهُ إِلَيْنَا شَيْئًا - قَالَ - فَجَاءَ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُبِيحَتْ خَضْرَاءُ قُرَيْشٍ لاَ قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ . ثُمَّ قَالَ " مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ فَهُوَ آمِنٌ " . فَقَالَتِ الأَنْصَارُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ أَمَّا الرَّجُلُ فَأَدْرَكَتْهُ رَغْبَةٌ فِي قَرْيَتِهِ وَرَأْفَةٌ بِعَشِيرَتِهِ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَجَاءَ الْوَحْىُ وَكَانَ إِذَا جَاءَ الْوَحْىُ لاَ يَخْفَى عَلَيْنَا فَإِذَا جَاءَ فَلَيْسَ أَحَدٌ يَرْفَعُ طَرْفَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَنْقَضِيَ الْوَحْىُ فَلَمَّا انْقَضَى الْوَحْىُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ " . قَالُوا لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " قُلْتُمْ أَمَّا الرَّجُلُ فَأَدْرَكَتْهُ رَغْبَةٌ فِي قَرْيَتِهِ " . قَالُوا قَدْ كَانَ ذَاكَ . قَالَ " كَلاَّ إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ هَاجَرْتُ إِلَى اللَّهِ وَإِلَيْكُمْ وَالْمَحْيَا مَحْيَاكُمْ وَالْمَمَاتُ مَمَاتُكُمْ " . فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَبْكُونَ وَيَقُولُونَ وَاللَّهِ مَا قُلْنَا الَّذِي قُلْنَا إِلاَّ الضِّنَّ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُصَدِّقَانِكُمْ وَيَعْذِرَانِكُمْ " . قَالَ فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَى دَارِ أَبِي سُفْيَانَ وَأَغْلَقَ النَّاسُ أَبْوَابَهُمْ - قَالَ - وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَقْبَلَ إِلَى الْحَجَرِ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ - قَالَ - فَأَتَى عَلَى صَنَمٍ إِلَى جَنْبِ الْبَيْتِ كَانُوا يَعْبُدُونَهُ - قَالَ - وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَوْسٌ وَهُوَ آخِذٌ بِسِيَةِ الْقَوْسِ فَلَمَّا أَتَى عَلَى الصَّنَمِ جَعَلَ يَطْعُنُهُ فِي عَيْنِهِ وَيَقُولُ " جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ " . فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ طَوَافِهِ أَتَى الصَّفَا فَعَلاَ عَلَيْهِ حَتَّى نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يَحْمَدُ اللَّهَ وَيَدْعُو بِمَا شَاءَ أَنْ يَدْعُوَ .
