২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন সা’দ (রাযিঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হন। কুরাইশের ইবনুল আরিকা নামক এক ব্যক্তি তাঁর (হাতের প্রধান) শিরায় তীর নিক্ষেপ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সা’দ (রাযিঃ) এর জন্যে মসজিদে একটি তাবু স্থাপন করে দিলেন, যেন নিকট থেকে তাকে দেখাশোনা করা যায়। যখন তিনি (রাসুল (ﷺ)) খন্দকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন অস্ত্র রেখে সবেমাত্র গোসলের কাজ সমাপ্ত করলেন। এমন সময় জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তার মাথা থেকে ধূলিবালি ঝড়তে ঝাড়তে আগমন করলেন।
এরপর বললেন, আপনি অস্ত্র রেখে দিয়েছেন? আল্লাহর শপথ! আমরা তো অস্ত্র রাখিনি। তাদের দিকে গমন করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কোন দিকে? তখন তিনি বনু কুরাইযার দিকে ইঙ্গিত করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সাথে যুদ্ধ করলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ফয়সালা মেনে নেয়ার শর্তে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিচারের ভার (তাদের নেতা) সা’দ (রাযিঃ) এর প্রতি অর্পণ করলেন। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, আমি ফয়সালা দিচ্ছি যে, তাদের মধ্যে যুদ্ধের উপযুক্ত (যুবক) লোকদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের সম্পদ সমূহ বণ্টন করা হবে।