আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১২১২
৭৬৭. নামাযে থাকাকালে পশু ছুটে গেলে।
১১৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (নামাযে) দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সূরা পাঠ করলেন, এরপর রুকু’ করলেন, আর তা দীর্ঘ করলেন। তারপর রুকু’ থেকে মাথা তুলেন এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করতে শুরু করলেন। পরে রুকু’ সমাপ্ত করে সিজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকআতেও এরূপ করলেন। তারপর বললেনঃ এ দু’টি (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ) আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমরা তা দেখলে গ্রহণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করবে। আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যা ওয়াদা করা হয়েছে তা সবই দেখতে পেয়েছি। এমন কি যখন তোমরা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেখেছিলে তখন আমি দেখলাম যে, জান্নাতের একটি (আঙুর) গুচ্ছ নেয়ার ইচ্ছা করছি। আর যখন তোমরা আমাকে পিছনে সরে আসতে দেখেছিলে, আমি দেখলাম জাহান্নাম,যার একাংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে ফেলছে, সেখানে আমর ইবনে লুহাইকে দেখলাম যে সায়িবাহ* প্রথা প্রবর্তন করেছিল।

* السَّوَائِبَ বহুবচন, একবচনে السائِبة অর্থ বিমুক্ত, পরিত্যাক্ত, বাঁধনমুক্ত। জাহিলী যুগে দেব-দেবীর নামে উট ছেড়ে দেওয়ার কু-প্রথা ছিল। এসব উটের দুধ পান করা এবং তাকে বাহনরূপে ব্যবহার করা অবৈধ মনে করা হত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন