আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
৩০- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৫-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৮২। মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... সুলাইমান ইবনে বুরায়েদ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মা’ইয ইবনে মালিক নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দুর্ভাগা! ফিরে চলে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, লোকটি অল্পদূর চলে গিয়ে আবার ফিরে এলো। এরপর বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন নবী (ﷺ) পূর্বের মতই কথা বললেন। চতুর্থবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ কোন বিষয়ে আমি তোমাকে পবিত্র করবো? তখন সে বললো, ব্যভিচার হতে।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার (সঙ্গী সাথীদের নিকট) জিজ্ঞাসা করলেন, তার মধ্যে কি কোন পাগলামী আছে। তখন তাঁকে জানানো হল যে, সে পাগল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে মদ্যপান করেছে। তখন এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হল এবং তার মুখ শুকে দেখল, সে তার মুখ থেকে মদের গন্ধ পেল না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ব্যভিচার করেছ? প্রতি উত্তরে সে বললো, জ্বী, হ্যাঁ। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি (ব্যভিচারের শস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। এরপর ত্যকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।
পরে এ ব্যাপারে জনগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে গেল। একদল বলতে লাগল, নিশ্চয়ই সে (মা’ইয) ধ্বংস হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই তার পাপ তাকে ঘিরে ফেলেছে। দ্বিতীয় দল বলতে লাগল, মা’ইয-এর তাওবার চেয়ে উত্তম (তাওবার অনুশোচনা) আর হয় না। সে প্রথমে নবী (ﷺ) এর কাছে আগমন করলো এবং নিজের হাত তার হাতের উপর রাখলো। এরপর বললো আমাকে পাথর দ্বারা হত্যা করুন। বর্ণনা কারী বলেন যে, দু’তিন দিন পর্যন্ত মানুষ এ অবস্থায় অতিবাহিত করল।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগমন করলেন তখন তারা (সাহাবীগণ) বসে ছিলেন। তিনি সালাম দিলেন, এরপর বসলেন এবং বললেন, তোমরা মা’ইয ইবনে মালিক এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তখন তারা বললেন, আল্লাহ মা’ইয ইবনে মালিককে ক্ষমা করুন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে এমন তাওবা করেছে, যদি তার এক উম্মতের লোকদের মাঝে বন্টিত হয় তবে সকলের জন্যই তা যথেষ্ট হবে।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তার নিকট আযদ গোত্রের শাখা গামিদ পরিবারের এক মহিলা আগমন করলো এবং বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন বললেন, দুর্ভাগা! তুমি ফিরে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। তখন মহিলা বললো, আপনি কি ইচ্ছা করছেন যে, আমাকেও ফিরিয়ে দিবেন যেমনিভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইয ইবনে মালিককে? তখন তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে। মহিলা বলল, আমি ব্যভিচারের কারণে গর্ভবতী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন তুমিই? সে প্রতি উত্তরে বলল, জ্বী, হ্যাঁ।
তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার গর্ভের সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, এক আনসারী ব্যক্তি তার গর্ভের সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত তার দায়িত্ব গ্রহণ করল। বর্ণনাকারী বলেন, কিছুদিন পর ঐ ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলছেন, গামেদী মাহিলা তার সন্তান প্রসব করেছে। তখন তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তার ছোট শিশু সন্তানকে রেখে আমি তাকে রজম করতে পারিনা। কেননা তার শিশু সন্তানাকে দুধ পান করানোর মত কেউ নেই। তখন এক আনসারী লোক দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি তার দুধ পান করানোর দায়িত্ব নিলাম। তখন তিনি আদেশ প্রদান করলেন এবং তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করলেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার (সঙ্গী সাথীদের নিকট) জিজ্ঞাসা করলেন, তার মধ্যে কি কোন পাগলামী আছে। তখন তাঁকে জানানো হল যে, সে পাগল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে মদ্যপান করেছে। তখন এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হল এবং তার মুখ শুকে দেখল, সে তার মুখ থেকে মদের গন্ধ পেল না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ব্যভিচার করেছ? প্রতি উত্তরে সে বললো, জ্বী, হ্যাঁ। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি (ব্যভিচারের শস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। এরপর ত্যকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।
পরে এ ব্যাপারে জনগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে গেল। একদল বলতে লাগল, নিশ্চয়ই সে (মা’ইয) ধ্বংস হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই তার পাপ তাকে ঘিরে ফেলেছে। দ্বিতীয় দল বলতে লাগল, মা’ইয-এর তাওবার চেয়ে উত্তম (তাওবার অনুশোচনা) আর হয় না। সে প্রথমে নবী (ﷺ) এর কাছে আগমন করলো এবং নিজের হাত তার হাতের উপর রাখলো। এরপর বললো আমাকে পাথর দ্বারা হত্যা করুন। বর্ণনা কারী বলেন যে, দু’তিন দিন পর্যন্ত মানুষ এ অবস্থায় অতিবাহিত করল।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আগমন করলেন তখন তারা (সাহাবীগণ) বসে ছিলেন। তিনি সালাম দিলেন, এরপর বসলেন এবং বললেন, তোমরা মা’ইয ইবনে মালিক এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তখন তারা বললেন, আল্লাহ মা’ইয ইবনে মালিককে ক্ষমা করুন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে এমন তাওবা করেছে, যদি তার এক উম্মতের লোকদের মাঝে বন্টিত হয় তবে সকলের জন্যই তা যথেষ্ট হবে।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তার নিকট আযদ গোত্রের শাখা গামিদ পরিবারের এক মহিলা আগমন করলো এবং বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন বললেন, দুর্ভাগা! তুমি ফিরে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। তখন মহিলা বললো, আপনি কি ইচ্ছা করছেন যে, আমাকেও ফিরিয়ে দিবেন যেমনিভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইয ইবনে মালিককে? তখন তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে। মহিলা বলল, আমি ব্যভিচারের কারণে গর্ভবতী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন তুমিই? সে প্রতি উত্তরে বলল, জ্বী, হ্যাঁ।
তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার গর্ভের সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, এক আনসারী ব্যক্তি তার গর্ভের সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত তার দায়িত্ব গ্রহণ করল। বর্ণনাকারী বলেন, কিছুদিন পর ঐ ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলছেন, গামেদী মাহিলা তার সন্তান প্রসব করেছে। তখন তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তার ছোট শিশু সন্তানকে রেখে আমি তাকে রজম করতে পারিনা। কেননা তার শিশু সন্তানাকে দুধ পান করানোর মত কেউ নেই। তখন এক আনসারী লোক দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি তার দুধ পান করানোর দায়িত্ব নিলাম। তখন তিনি আদেশ প্রদান করলেন এবং তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করলেন।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ غَيْلاَنَ، - وَهُوَ ابْنُ جَامِعٍ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ " وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ " . قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ " . قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الرَّابِعَةُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فِيمَ أُطَهِّرُكَ " . فَقَالَ مِنَ الزِّنَى . فَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبِهِ جُنُونٌ " . فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَجْنُونٍ . فَقَالَ " أَشَرِبَ خَمْرًا " . فَقَامَ رَجُلٌ فَاسْتَنْكَهَهُ فَلَمْ يَجِدْ مِنْهُ رِيحَ خَمْرٍ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَزَنَيْتَ " . فَقَالَ نَعَمْ . فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَكَانَ النَّاسُ فِيهِ فِرْقَتَيْنِ قَائِلٌ يَقُولُ لَقَدْ هَلَكَ لَقَدْ أَحَاطَتْ بِهِ خَطِيئَتُهُ وَقَائِلٌ يَقُولُ مَا تَوْبَةٌ أَفْضَلَ مِنْ تَوْبَةِ مَاعِزٍ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتُلْنِي بِالْحِجَارَةِ - قَالَ - فَلَبِثُوا بِذَلِكَ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ جُلُوسٌ فَسَلَّمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ " اسْتَغْفِرُوا لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ " . قَالَ فَقَالُوا غَفَرَ اللَّهُ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ . - قَالَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ أُمَّةٍ لَوَسِعَتْهُمْ " . قَالَ ثُمَّ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ غَامِدٍ مِنَ الأَزْدِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي . فَقَالَ " وَيْحَكِ ارْجِعِي فَاسْتَغْفِرِي اللَّهَ وَتُوبِي إِلَيْهِ " . فَقَالَتْ أَرَاكَ تُرِيدُ أَنْ تُرَدِّدَنِي كَمَا رَدَّدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ . قَالَ " وَمَا ذَاكِ " . قَالَتْ إِنَّهَا حُبْلَى مِنَ الزِّنَا . فَقَالَ " آنْتِ " . قَالَتْ نَعَمْ . فَقَالَ لَهَا " حَتَّى تَضَعِي مَا فِي بَطْنِكِ " . قَالَ فَكَفَلَهَا رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ حَتَّى وَضَعَتْ قَالَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَدْ وَضَعَتِ الْغَامِدِيَّةُ . فَقَالَ " إِذًا لاَ نَرْجُمَهَا وَنَدَعَ وَلَدَهَا صَغِيرًا لَيْسَ لَهُ مَنْ يُرْضِعُهُ " . فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ إِلَىَّ رَضَاعُهُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ فَرَجَمَهَا .


বর্ণনাকারী: