আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

৩০- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৪২৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৪-১
৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে
৪২৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আসলাম গোত্রের মা’ইয ইবনে মালিক নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, আমি তো এক অশ্লীল কাজ করে বসেছি। অতএব, এর জন্য আমার উপর শরীয়তের বিধান প্রয়োগ করুন। নবী (ﷺ) তাঁর এই স্বীকারোক্তি কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করলেন।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি ঐ ব্যক্তির গোত্রীয় লোকের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তারা বলল, আমরা তো তার সম্বন্ধে কোন খারাপ জানিনা। কিন্তু হঠাৎ করেই সে এমন কিছু করে ফেলেছে যে, সে এখন ভাবছে যে, তার প্রতি হদ (حد শরীয়তের বিধান) প্রয়োগ ব্যতীত তার আর কোন নিষ্কৃতি নেই।

বর্ণনাকারী বলেন যে, তখন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ফিরে এল। তখন তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপের জন্য আমাদের আদেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তখন তাকে ’বাকীউল গারকাদ’ নামক স্থানে নিয়ে গেলাম। আমরা তাকে বন্ধনমুক্ত করলাম না এবং তার জন্য গর্ত তৈরী করলাম না। এরপর আমরা তাকে হাড়, মাটির ঢিলা এবং পোড়া মাটির ভাঙ্গা টুকরা মারতে শুরু করলাম। সে দৌড়ে পালাল। আমরাও তার পিছনে ছুটলাম। অবশেষে সে “হাররা” নামক স্থানে উপনীত হল এবং আমাদের সামনে থেকে গেল। আমরা তাকে বারবার পাথর নিক্ষেপ করলাম। পরিশেষে সে নিশ্চল হয়ে গেল (অর্থাৎ মরে গেল)।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু বলার উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, আমরা যখনই আল্লাহর পথে কোন যুদ্ধে গমন করি তখন কোন না কোন ব্যক্তি আমাদের পরিবার পরিজনদের মাঝে থেকে যায় এবং পাঠার আওয়াযের ন্যায় আওয়ায করে। আমার উপর কর্তব্য হল যদি এমন কোন ব্যক্তিকে আমার কাছে আনা হয়, যে ঐরূপ কাজ করেছে, তবে আমি তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবো। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করেননি এবং কোনও গালি দেননি।
باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي، سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ يُقَالُ لَهُ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي أَصَبْتُ فَاحِشَةً فَأَقِمْهُ عَلَىَّ . فَرَدَّهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِرَارًا قَالَ ثُمَّ سَأَلَ قَوْمَهُ فَقَالُوا مَا نَعْلَمُ بِهِ بَأْسًا إِلاَّ أَنَّهُ أَصَابَ شَيْئًا يَرَى أَنَّهُ لاَ يُخْرِجُهُ مِنْهُ إِلاَّ أَنْ يُقَامَ فِيهِ الْحَدُّ - قَالَ - فَرَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَنَا أَنْ نَرْجُمَهُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا بِهِ إِلَى بَقِيعِ الْغَرْقَدِ - قَالَ - فَمَا أَوْثَقْنَاهُ وَلاَ حَفَرْنَا لَهُ - قَالَ - فَرَمَيْنَاهُ بِالْعَظْمِ وَالْمَدَرِ وَالْخَزَفِ - قَالَ - فَاشْتَدَّ فَاشْتَدَدْنَا خَلْفَهُ حَتَّى أَتَى عُرْضَ الْحَرَّةِ فَانْتَصَبَ لَنَا فَرَمَيْنَاهُ بِجَلاَمِيدِ الْحَرَّةِ - يَعْنِي الْحِجَارَةَ - حَتَّى سَكَتَ - قَالَ - ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا مِنَ الْعَشِيِّ فَقَالَ " أَوَكُلَّمَا انْطَلَقْنَا غُزَاةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَخَلَّفَ رَجُلٌ فِي عِيَالِنَا لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ عَلَىَّ أَنْ لاَ أُوتَى بِرَجُلٍ فَعَلَ ذَلِكَ إِلاَّ نَكَّلْتُ بِهِ " . قَالَ فَمَا اسْتَغْفَرَ لَهُ وَلاَ سَبَّهُ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)