আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

২৮- কসম-শপথ করার বিধান

হাদীস নং: ৪১১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৯-২
৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, পরে এর বিপরীত বিষয়কে তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে তার জন্য উত্তমটিই করা এবং কসমের কাফফারা দেওয়া মুস্তাহাব
৪১১৮। আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ আশআরী ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাথীরা তাদের জন্য সওয়ারী চাইতে আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট পাঠায়, যখন তারা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে ‘জায়শুল উসরা’ (সৎকারকালীন বাহিনী) (অর্থাৎ তাবুকের যুদ্ধে) তার সঙ্গে ছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমার সঙ্গীরা আমাকে আপনার নিকট তাদেরকে সওয়ারী দেয়ার জন্য পাঠিয়েছে। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের কোন বাহন দিব না। আর যখন আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করি তখন তিনি ক্রোধান্বিত ছিলেন, অথচ আমি বুঝতে পারিনি। আমি চিন্তিত মনে ফিরে আসি।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসম্মতির কারণে এবং এই ভয়ে যে, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উপর মনে মনে ক্রোধান্বিত হয়েছেন। তখন আমি আমার সাথীদের নিকট চলে আসি এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছেন তা তাদের জানাই। অল্পক্ষণ অতিবাহিত না করতেই হঠাৎ শুনতে পাই যে, বিলাল (রাযিঃ) ডাক দিচ্ছেন হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! আমি উত্তর দিলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ডাকে সাড়া দিন। তিনি আপনাকে ডাকছেন।

যখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসি, তখন তিনি বললেনঃ এ জোড়া নাও, এ জোড়া নাও এবং এ জোড়া নাও। ছয়টি উট সম্পর্কে বললেন, (যা তিনি তখনই সা’দ (রাযিঃ) কাছ থেকে কিনেছিলেন) এবং এগুলো নিয়ে তোমার সাথীদের কাছে যাও আর বলো যে, আল্লাহ অথবা বলেন, আল্লাহর রাসুল তোমাদের এগুলো বাহনের জন্য দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা এর উপর আরোহণ করো।

আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমি এগুলি নিয়ে আমার সাথীদের নিকট আসি এবং বলি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এগুলো তোমাদের বাহন হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ছাড়বো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ আমার সাথে সেই ব্যক্তির নিকট না যায়, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা শুনেছে, যখন আমি তার নিকট তোমাদের জন্য (বাহন) চেয়েছিলাম এবং তিনি প্রথমবারে নিষেধ করেন এবং পরে আমাকে তা প্রদান করেন। তোমরা ধারণা করোনা যে, আমি তোমাদের এমন কথা বলেছি যা তিনি বলেন নি।

তারা আমাকে বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি আমাদের নিকট অবশ্যই সত্যবাদী। আর আপনি যা চাইছেন তাও আমরা অবশ্যই করবো। তারপর আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের মধ্য থেকে করেকজনকে সাথে নিযে ঐসব লোকদের নিকটে এলেন যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা এবং তাদের দিতে তার নিষেধাজ্ঞা শুনেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর দেওয়া প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তারা তাদের কাছে হুবহু সেই বর্ণনাই দিলেন যা আবু মুসা (রাযিঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেছিলেন।
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ أَرْسَلَنِي أَصْحَابِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُهُ لَهُمُ الْحُمْلاَنَ إِذْ هُمْ مَعَهُ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ - وَهِيَ غَزْوَةُ تَبُوكَ - فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابِي أَرْسَلُونِي إِلَيْكَ لِتَحْمِلَهُمْ . فَقَالَ " وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ عَلَى شَىْءٍ " . وَوَافَقْتُهُ وَهُوَ غَضْبَانُ وَلاَ أَشْعُرُ فَرَجَعْتُ حَزِينًا مِنْ مَنْعِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمِنْ مَخَافَةِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَىَّ فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أَلْبَثْ إِلاَّ سُوَيْعَةً إِذْ سَمِعْتُ بِلاَلاً يُنَادِي أَىْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ . فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ أَجِبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوكَ . فَلَمَّا أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خُذْ هَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ - لِسِتَّةِ أَبْعِرَةٍ ابْتَاعَهُنَّ حِينَئِذٍ مِنْ سَعْدٍ - فَانْطَلِقْ بِهِنَّ إِلَى أَصْحَابِكَ فَقُلْ إِنَّ اللَّهَ - أَوْ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلاَءِ فَارْكَبُوهُنَّ " . قَالَ أَبُو مُوسَى فَانْطَلَقْتُ إِلَى أَصْحَابِي بِهِنَّ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلاَءِ وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ أَدَعُكُمْ حَتَّى يَنْطَلِقَ مَعِي بَعْضُكُمْ إِلَى مَنْ سَمِعَ مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ سَأَلْتُهُ لَكُمْ وَمَنْعَهُ فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ ثُمَّ إِعْطَاءَهُ إِيَّاىَ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ تَظُنُّوا أَنِّي حَدَّثْتُكُمْ شَيْئًا لَمْ يَقُلْهُ . فَقَالُوا لِي وَاللَّهِ إِنَّكَ عِنْدَنَا لَمُصَدَّقٌ وَلَنَفْعَلَنَّ مَا أَحْبَبْتَ . فَانْطَلَقَ أَبُو مُوسَى بِنَفَرٍ مِنْهُمْ حَتَّى أَتَوُا الَّذِينَ سَمِعُوا قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْعَهُ إِيَّاهُمْ ثُمَّ إِعْطَاءَهُمْ بَعْدُ فَحَدَّثُوهُمْ بِمَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَبُو مُوسَى سَوَاءً .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ৪১১৮ | মুসলিম বাংলা