আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
২৩- চাষাবাদ ও সেচকার্য সম্পর্কিত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৯৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৯৪-৪
১৩. সুদ
৩৯৪২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু নাদরা (রাহঃ) এ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট এ ‘সারফ’ (মুদ্রা ও স্বর্ণ রৌপ্যের বিনিময়) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তারা এতে কোন দোষ মনে করেন নি। পরবর্তীকালে একবার আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। তার নিকট ‘সারফ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, যা অতিরিক্ত হবে তা সুদ। কিন্তু তাদের দু’জনের মতের কারণে আমি এর প্রতিবাদ করলাম। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসুলল্লাহ (ﷺ) থেকে যা শুনেছি তাই তোমার কাছে বর্ণনা করছি।
একদিন তার নিকট খেজুরের বাগানের এক মালিক এক সা’ উৎকৃষ্ট খেজুর নিয়ে আসে। আর নবী (ﷺ) এর খেজুরও এই শ্রেনীরই ছিল। নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন এ তুমি কোথায় পেলে? সে বলল, আমি দু’সা নিয়ে (বাজারে) যাই এবং তার বিনিময়ে এই এক সা’ ক্রয় করি। কেননা বাজারে এটার মূল্য এতো এবং ওটার মূল্য এতো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মন্দ তোমার কপাল! তুমি সুদের কারবার করেছ। যখন এরূপ করতে চাও, তখন তোমার খেজুর কোন বস্তুর বিনিময়ে বিক্রি করে দিবে। পরে তোমার বস্তুর বিনিময়ে যে প্রকার খেজুর চাও কিনে নিবে। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং খেজুরের বিনিময়ে খেজুর সুদ হওয়ার বিষয়টি প্রযোজ্য নাকি রৌপ্যের বিনিময়ে অতিরিক্ত রৌপ্য সুদ হওয়ার বিষয়টি।
রাবী বলেন, পরবর্তীকালে আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর নিকট এসেছি এবং তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন। আর আমি ইবনে আব্বাসের কাছে যাই নি। রাবী বলেন, আবুস সাহবা (রাহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাসের কাছে মক্কায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন তিনি তা অপছন্দ করেছেন।
একদিন তার নিকট খেজুরের বাগানের এক মালিক এক সা’ উৎকৃষ্ট খেজুর নিয়ে আসে। আর নবী (ﷺ) এর খেজুরও এই শ্রেনীরই ছিল। নবী (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন এ তুমি কোথায় পেলে? সে বলল, আমি দু’সা নিয়ে (বাজারে) যাই এবং তার বিনিময়ে এই এক সা’ ক্রয় করি। কেননা বাজারে এটার মূল্য এতো এবং ওটার মূল্য এতো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মন্দ তোমার কপাল! তুমি সুদের কারবার করেছ। যখন এরূপ করতে চাও, তখন তোমার খেজুর কোন বস্তুর বিনিময়ে বিক্রি করে দিবে। পরে তোমার বস্তুর বিনিময়ে যে প্রকার খেজুর চাও কিনে নিবে। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, সুতরাং খেজুরের বিনিময়ে খেজুর সুদ হওয়ার বিষয়টি প্রযোজ্য নাকি রৌপ্যের বিনিময়ে অতিরিক্ত রৌপ্য সুদ হওয়ার বিষয়টি।
রাবী বলেন, পরবর্তীকালে আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর নিকট এসেছি এবং তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন। আর আমি ইবনে আব্বাসের কাছে যাই নি। রাবী বলেন, আবুস সাহবা (রাহঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাসের কাছে মক্কায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন তিনি তা অপছন্দ করেছেন।
باب الرِّبَا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ وَابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الصَّرْفِ، فَلَمْ يَرَيَا بِهِ بَأْسًا فَإِنِّي لَقَاعِدٌ عِنْدَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الصَّرْفِ فَقَالَ مَا زَادَ فَهُوَ رِبًا . فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ لِقَوْلِهِمَا فَقَالَ لاَ أُحَدِّثُكَ إِلاَّ مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَهُ صَاحِبُ نَخْلِهِ بِصَاعٍ مِنْ تَمْرٍ طَيِّبٍ وَكَانَ تَمْرُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا اللَّوْنَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَنَّى لَكَ هَذَا " . قَالَ انْطَلَقْتُ بِصَاعَيْنِ فَاشْتَرَيْتُ بِهِ هَذَا الصَّاعَ فَإِنَّ سِعْرَ هَذَا فِي السُّوقِ كَذَا وَسِعْرَ هَذَا كَذَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَيْلَكَ أَرْبَيْتَ إِذَا أَرَدْتَ ذَلِكَ فَبِعْ تَمْرَكَ بِسِلْعَةٍ ثُمَّ اشْتَرِ بِسِلْعَتِكَ أَىَّ تَمْرٍ شِئْتَ " . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ أَحَقُّ أَنْ يَكُونَ رِبًا أَمِ الْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ قَالَ فَأَتَيْتُ ابْنَ عُمَرَ بَعْدُ فَنَهَانِي وَلَمْ آتِ ابْنَ عَبَّاسٍ - قَالَ - فَحَدَّثَنِي أَبُو الصَّهْبَاءِ أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْهُ بِمَكَّةَ فَكَرِهَهُ .


বর্ণনাকারী: