আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৬ - ১১৫৮
৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে নামায আদায় করে তাঁর ফযীলত।
১০৮৯। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর সময়ে আমি (এক রাতে) স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার হাতে একখণ্ড মোটা রেশমী কাপড় রয়েছে এবং যেন আমি জান্নাতের যে কোন স্থানে যেতে ইচ্ছা করছি, কাপড় (আমাকে) সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপর একটি স্বপ্নে আমি দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমার কাছে এসে আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তখন অন্য একজন ফিরিশতা তাঁদের সামনে এসে বললেন, তোমার কোন ভয় নেই। (আর ঐ দু’জনকে বললেন) তাকে ছেড়ে দাও।
(উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাযিঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি নবী (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) কত ভাল লোক! যদি সে রাতের বেলা নামায (তাহাজ্জুদ) আদায় করত। এরপর থেকে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) রাতের এক অংশে নামায আদায় করতেন।
সাহবীগণ নবী (ﷺ) এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্নের বর্ণনা দিলেন, লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন তা (রমযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।
(উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাযিঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি নবী (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) কত ভাল লোক! যদি সে রাতের বেলা নামায (তাহাজ্জুদ) আদায় করত। এরপর থেকে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) রাতের এক অংশে নামায আদায় করতেন।
সাহবীগণ নবী (ﷺ) এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্নের বর্ণনা দিলেন, লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন তা (রমযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।
باب فَضْلِ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى
1156 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّ بِيَدِي قِطْعَةَ إِسْتَبْرَقٍ، فَكَأَنِّي لاَ أُرِيدُ مَكَانًا مِنَ الجَنَّةِ إِلَّا طَارَتْ إِلَيْهِ، وَرَأَيْتُ كَأَنَّ اثْنَيْنِ أَتَيَانِي أَرَادَا أَنْ يَذْهَبَا بِي إِلَى النَّارِ، فَتَلَقَّاهُمَا مَلَكٌ، فَقَالَ: لَمْ تُرَعْ خَلِّيَا عَنْهُ،
1157 - فَقَصَّتْ حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى رُؤْيَايَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ» فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ،
1158 - وَكَانُوا لاَ يَزَالُونَ يَقُصُّونَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرُّؤْيَا أَنَّهَا فِي اللَّيْلَةِ السَّابِعَةِ مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ»
1157 - فَقَصَّتْ حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى رُؤْيَايَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ» فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ،
1158 - وَكَانُوا لاَ يَزَالُونَ يَقُصُّونَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرُّؤْيَا أَنَّهَا فِي اللَّيْلَةِ السَّابِعَةِ مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ»
